প্রচ্ছদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রচ্ছদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সমকালীন রোমান্টিক উপন্যাস “ভালোবাসার অমর অশ্রু” প্রকাশিত

সমকালীন রোমান্টিক উপন্যাস “ভালোবাসার অমর অশ্রু” প্রকাশিত

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৬-এ প্রকাশিত হয়েছে প্রতিশ্রুতিশীল সাহিত্যিক মোঃ আকবর হোসেন রচিত সমকালীন রোমান্টিক উপন্যাস “ভালোবাসার অমর অশ্রু”। প্রকাশনার দায়িত্ব নিয়েছে সুপরিচিত ইচ্ছা শক্তি প্রকাশনী। বইমেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচনের পর থেকেই পাঠক মহলে বইটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ আগ্রহ।

উপন্যাসের মূল প্রেক্ষাপট

“ভালোবাসার অমর অশ্রু” একদিকে যেমন প্রেম ও আবেগের গল্প, অন্যদিকে এটি মানবিক সম্পর্ক, সমাজ ও জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন। লেখক কাহিনির প্রতিটি বাঁকে ফুটিয়ে তুলেছেন সুখ–দুঃখ, বিচ্ছেদ–মিলন, আশা–নিরাশার নানান অভিজ্ঞতা। উপন্যাসটি শুধু প্রেম নয়, বরং মানবিকতার গভীর মূল্যবোধকেও কেন্দ্র করে এগিয়েছে।

লেখকের বক্তব্য

লেখক মোঃ আকবর হোসেন বলেন,
“আমি ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য ও কবিতার প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করেছি। এই উপন্যাসে আমার মূল লক্ষ্য ছিল প্রেম ও মানবিকতার সংমিশ্রণে একটি এমন কাহিনি নির্মাণ করা, যা পাঠকের হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ ফেলবে। ভালোবাসা কেবল আবেগের বিষয় নয়, বরং জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে এটি ভিন্ন ভিন্নভাবে মানুষকে স্পর্শ করে। আমি চাই, পাঠক এই বই থেকে শুধু বিনোদন নয়, জীবনের নতুন এক উপলব্ধিও খুঁজে পাক।”

প্রকাশকের মন্তব্য

ইচ্ছা শক্তি প্রকাশনীর একজন প্রতিনিধি জানান,
“আমরা বিশ্বাস করি ভালোবাসার অমর অশ্রু বর্তমান প্রজন্মের পাঠকের কাছে বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। উপন্যাসে আবেগের পাশাপাশি যে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও মানবিকতার ছোঁয়া আছে, তা পাঠকদের মুগ্ধ করবে।”

পাঠকের প্রতিক্রিয়া

 উপন্যাসটি হাতে পেয়ে অনেক পাঠক জানিয়েছেন, লেখক আকবর হোসেনের লেখনীতে পাওয়া যায় সহজ ভাষার প্রবাহ, অথচ গভীর আবেগের প্রকাশ। কেউ কেউ বলেছেন, এই বই তাদের মনে পুরোনো ভালোবাসার স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছে, আবার কেউ কেউ বইয়ের কাহিনি থেকে জীবনের শিক্ষা খুঁজে পেয়েছেন।

সংগ্রহের সুযোগ

উপন্যাসটি বর্তমানে অনলাইনে Bikroy.com-এ পাওয়া যাচ্ছে। নিজের সংগ্রহে রাখার পাশাপাশি প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্যও এটি হতে পারে একটি অনন্য সংযোজন।

উপসংহার

সমকালীন সাহিত্য ধারায় “ভালোবাসার অমর অশ্রু” নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। প্রেম, আবেগ ও মানবিকতার সার্থক মেলবন্ধনে উপন্যাসটি পাঠককে এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেবে বলেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

📞 অর্ডার করতে এখনই ইনবক্স করুন-ইচ্ছা শক্তি প্রকাশনী- অথবা কল করুন: 01516379064 





২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে এস.এম শফিউল আযম পরিচালিত  মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘উদীয়মান সূর্য’

২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে এস.এম শফিউল আযম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘উদীয়মান সূর্য’

বিনোদন ডেস্কঃ  ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে এস.এম. শফিউল আযম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক  নতুন চলচ্চিত্র “উদীয়মান সূর্য”

 

বিনোদন ডেস্কঃ  ২৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে এস.এম. শফিউল আযম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক  নতুন চলচ্চিত্র “উদীয়মান সূর্য”

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সংগ্রামী মানুষের স্বপ্ন, ভালোবাসা ও ত্যাগের কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই ছবি দর্শকদের সামনে হাজির করবে এক নতুন আঙ্গিকের গল্প।

পরিচালক এস.এম. শফিউল আযম বলেন—

“মুক্তিযুদ্ধ আমাদের আত্মপরিচয়ের প্রতীক। নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতেই এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। আলো–ছায়া আর স্বপ্নের মিশেলে ‘উদীয়মান সূর্য’ দর্শকদের ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেবে।”

প্রচারণার অংশ হিসেবে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ছবির রোমান্টিক তিনটি গান। গানের কথা লিখেছেন এস.এম. কামাল। প্রকাশের পর থেকেই গানগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং শ্রোতাদের হৃদয়ে এনেছে ভিন্ন আবেগ।

মৌলিক গল্প ও গানে সমৃদ্ধ এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন—
সাদমান সামীর, কান্তা নুর, শিশির আহমেদ, তামান্না জুলি, ওবিদ রেহান, সাজ্জাদ সাজু, আনোয়ার সিরাজী, গুলশান আরা পপি, এবিএম সোহেল রশীদসহ আরও অনেকে।

 

লিনেট ফিল্মস প্রযোজিত “উদীয়মান সূর্য”-এর কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন এস.এম. শফিউল আযম।

শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

 ঈদ-এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে স্বদেশ মৃত্তিকা স্কুলে দোয়া মাহফিল

ঈদ-এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে স্বদেশ মৃত্তিকা স্কুলে দোয়া মাহফিল

 ঈদ-এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে স্বদেশ মৃত্তিকা স্কুলে দোয়া মাহফিল


ঢাকা: শনিবার  (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন শাখায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আয়োজনের উদ্যোগ নেয় হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশন।

দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা উপদেষ্টা ডা. হাবিবুর রহমান, আল মাইজভান্ডারি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মো. আকবর হোসেন।হাত বাড়িয়ে দাও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার হোসেন শিপলু ও আমজাদ হোসেন সুমন, নির্বাহী সদস্য মনির হোসেন সোহেল।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ও সাদমান সাব্বির এবং শিক্ষক সোহাগী আক্তার, জাবেদ হোসেন ও নুপুর আক্তার।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানবতার মুক্তির দিশারি। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করলেই সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। শিক্ষার্থীরা ইসলামের শান্তির বাণী এবং নবীর জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। অভিভাবকরা এ আয়োজনের জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

 সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল নোটবুক ও একবেলা আহার বিতরণ

সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল নোটবুক ও একবেলা আহার বিতরণ

 সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল নোটবুক ও একবেলা আহার বিতরণ


নরসিংদী, ২৭ আগস্ট ২০২৫:
আজ স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, নরসিংদী শাখার আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল নোটবুক ও একবেলা আহার বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষার প্রতি শিশুদের আগ্রহ বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো: আকবর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাগর, মিডিয়া অফিসার নুপুর আক্তার এবং একাউন্টস অফিসার সাদমান সাব্বির।

এসময় নরসিংদী শাখার প্রধান কান্তা শেখ, শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা এবং তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে স্বদেশ মৃত্তিকা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে এই শিশুরা আরও স্বপ্ন দেখতে এবং তা পূরণ করতে সক্ষম হবে।”

আয়োজকরা জানান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা নিয়মিতভাবে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সামগ্রী ও পুষ্টিকর খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।





রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

৫২তম বাংলাদেশ লিও ডে উদযাপন

৫২তম বাংলাদেশ লিও ডে উদযাপন

 

৫২তম বাংলাদেশ লিও ডে উদযাপন

 

Leo Club of Dhaka Aristocrat এবং Leo Club of Aristocrat Sunshine, স্পন্সরকৃত Lions Club of Dhaka AristocratLions Club of Dhaka Banani Model Town-এর উদ্যোগে এবং স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন-এর সহযোগিতায় আয়োজিত হলো দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠান।

২৩ আগস্ট, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো লিও আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এ বছর পালিত হলো ৫২তম বাংলাদেশ লিও ডে

অনুষ্ঠানে পাঁচটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়—
১. কুরআন তেলাওয়াত
২. গান
৩. নৃত্য
৪. কবিতা আবৃত্তি
৫. চিত্রাঙ্কন

শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অংশগ্রহণ করে এবং নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শন করে। বিচারকমণ্ডলীর সামনে প্রতিযোগীরা দুর্দান্ত পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। প্রতিটি ক্যাটাগরির সেরা প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়, যাতে তারা অনুপ্রাণিত হয়ে আরও বড় স্বপ্ন দেখতে পারে এবং জীবনে এগিয়ে যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে একটি কেক কাটা হয় এবং ১২০ জন অংশগ্রহণকারীর জন্য সুস্বাদু মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।

পুরো অনুষ্ঠানটি সম্মানিত অতিথিদের উপস্থিতিতে আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। উপস্থিত ছিলেন—

  • Past District Governor Ln. Halen Akhter Nasrin PMJF

  • Past District Governor Ln. Md. Lutfor Rahman MJF

  • Spouse of First Vice Governor (24-25) Ln. Rozina Shaheen Muna

  • Second Vice Governor (24-25) Ln. Dr. Khandaker Mazharul Anwar MJF

  • Region Chairperson (HQ) (24-25) Ln. Rafiqul Bari Mukta

  • Cabinet Secretary (23-24) Ln. Ashiquzzaman Chowdhury Emon

ক্লাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন—

  • Leo Club Advisor Ln. Shireen Akhter Ruby

  • Lions Club President Ln. Roksana Akhter

  • Lions Club Secretary Ln. Asma Akter

এছাড়াও স্বদেশ মৃত্তিকা থেকে উপস্থিত ছিলেন—

  • স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন

  • পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাগর

  • মিডিয়া অফিসার নুপুর আক্তার

  • শিক্ষক রাশিদা আক্তার, সোহাগী আক্তার ও জাবেদ হোসেন

দুই ক্লাবের ৩০ জন লিওস সদস্য যৌথভাবে অনুষ্ঠানের প্রতিটি ধাপ সুপরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এ অনুষ্ঠানের সব খরচ লিও সদস্যরা নিজেরাই বহন করেছেন, যা তাদের লিও আন্দোলনের প্রতি দায়বদ্ধতা ও নিবেদনকে প্রকাশ করে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা আর নেই

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা আর নেই

 বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা আর নেই

 


বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা (৭৯) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ২২শে আগস্ট রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৪৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভোলা জেলার সদর উপজেলার কানাই নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতা ছিলেন আলী হোসেন মিয়া এবং মাতা আছিয়া খাতুন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এপ্রিল মাসে তিন সপ্তাহের গেরিলা ট্রেনিং শেষে তৎকালীন এমপিএ তোফায়েল আহম্মেদের নেতৃত্বে এবং ভোলার হাইকমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান গ্রুপের সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাবাজারের টুনিরহাট, দেউলা তালুকদার বাড়ি, বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠ, দৌলতখান ও পেয়ার আলীর বেপারী বাড়ির ক্যাম্পে রাজাকার ও পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। ভোলাকে পাক হানাদার মুক্ত করতে তাঁর অবদান অনন্য।

যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর সহযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন ছিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ শাহাজাহান, মাফুজুর রহমানসহ আরও অনেকে। মুক্তিযুদ্ধকালে সংগ্রাম পরিষদের প্রধান হিসেবেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন ভোলা জেলা ইউনিটের প্রাক্তন জেলা কমান্ডার, ধনিয়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ভোলা আইন কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক, ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির ১৯৭৪-৭৬ মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক এবং হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। এছাড়া তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত হাইকোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ভোলা সদরের মতিয়র রহমানের কন্যা হাসিনা বেগমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যার জনক। বড় ছেলে মোহাম্মদ খায়রুল হাসান বাংলা৫২নিউজের এইচআর এডমিন এবং ছোট ছেলে মো. মেহেদী হাসান (শিমুল) হাইকোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী।

গত বছর ১৩ই সেপ্টেম্বর তাঁর সহধর্মিনী হাসিনা বেগম মৃত্যুবরণ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্টে বাদ জোহর এবং দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তাঁর বাসস্থান পল্লবীর মোল্লা জামে মসজিদে। জানাজা শেষে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল অবদান, ত্যাগ ও কর্মজীবন আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

সুমন-সোলাইমান-রনির নেতৃত্বে কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

সুমন-সোলাইমান-রনির নেতৃত্বে কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা

স্বদেশ সময় প্রতিবেদক 

কদমতলী থানা সাংবাদিক ক্লাবের এক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ১ বছরের জন্য ২৩ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন উদ্যমী সাংবাদিক ও সুসংগঠক সুমন চৌধুরী (নতুন সময়), সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পেশাদার সাংবাদিক মোঃ সোলাইমান (মানবকণ্ঠ), আর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কর্মঠ ও পরিচিত মুখ রনি মজুমদার (ভোরের পাতা)।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় কদমতলী থানার রায়েরবাগে ক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এই কমিটির গঠনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত বার্ষিক ফল উৎসবের। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই তুহিন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জাকির মাঝি। সেদিনই উপস্থিত সাংবাদিকদের সম্মতিক্রমে সুমন চৌধুরী ও মোঃ সোলেমানকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার সফল বাস্তবায়ন আজ সম্পন্ন হলো।

নবনির্বাচিত ২৩ সদস্যের কমিটি:

সভাপতি: সুমন চৌধুরী (নতুন সময়), সিনিয়র সহ-সভাপতি: হাসান কবির জনি (বিজনেস জার্নাল), সহ-সভাপতি: রুবেল গাজী (CIN টিভি), সাধারণ সম্পাদক: মোঃ সোলেমান (মানবকণ্ঠ), সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক: আশরাফ উদ্দিন (আজকের টাইমস), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক: ইবনে ফরহাদ তুরাগ (বাংলাদেশের আলো), সাংগঠনিক সম্পাদক: রনি মজুমদার (ভোরের পাতা), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: নুরুন্নবী শরীফ অর্নব (আলোর জগত), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক: মোস্তাফিজুর রহমান মিলন (CNN বাংলা টিভি), দপ্তর সম্পাদক: রাকিব হোসেন মিলন (আজকের টাইমস), সাহিত্য, প্রকাশনা ও অর্থ সম্পাদক: বাবলু শেখ (স্বাধীন সংবাদ), আইন সম্পাদক: অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুন্নবী বিপ্লব (সকালের সময়),  তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক: নাসির উদ্দীন মোল্লা ( ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস), সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক: এম এ এইচ মাসুদ (বার্তা বিচিত্রা), সমাজ কল্যাণ সম্পাদক: শাহজালাল ফারুক (সময়ের কাগজ), সহ-দপ্তর ও আইসিটি সম্পাদক: নয়ন সমাদ্দর রুদ্র (দুর্নীতি সমাচার), প্রচার সম্পাদক: লিটন গাজী (সাহারা টিভি), পাঠাগার সম্পাদক: এস ইসলাম জয় (আমাদের সময় ডটকম), ক্রীড়া সম্পাদক: দীপু ভুঁইয়া (আওয়ার বাংলাদেশ), কার্যনির্বাহী সদস্য: জেসমিন জুঁই (ডেইলি ট্রাইবুনাল), কার্যনির্বাহী সদস্য: মিজানুর রহমান সুমন (আমাদের কণ্ঠ), কার্যনির্বাহী সদস্য: ফারদিন আহমেদ ইমন (নয়াদিগন্ত), কার্যনির্বাহী সদস্য: মোঃ আক্তারুজ্জামান (দৈনিক নিরপেক্ষ)।  

নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের পেশাগত উন্নয়ন, অধিকার সুরক্ষা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সভাপতি সুমন চৌধুরী বলেন, "এই সংগঠন হবে ঢাকা-৪ ও ঢাকা -৫ অঞ্চলের সাংবাদিকদের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর।" সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলাইমান জানান, "সবাইকে নিয়ে একটি সক্রিয় ও স্বচ্ছ নেতৃত্ব দিতে আমরা প্রস্তুত।"

সাংগঠনিক সম্পাদক রনি মজুমদার বলেন, "আমরা মাঠে, মানুষের পাশে, সাংবাদিকের পাশে—এই মূলমন্ত্রে কাজ করব।"

কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা নিয়মিত কর্মসূচি, পেশাগত প্রশিক্ষণ আয়োজন, মানবিক সহায়তা এবং সাংবাদিক নির্যাতন মোকাবেলায় আইনি সহায়তা প্রদানের মতো কার্যক্রম বাস্তবায়নে সক্রিয় থাকবেন।

 

নরসিংদীতে স্বদেশ মৃত্তিকার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, একবেলা আহার ও অভিভাবক সমাবেশ

নরসিংদীতে স্বদেশ মৃত্তিকার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, একবেলা আহার ও অভিভাবক সমাবেশ

ভালোবাসার ছায়ায় শিক্ষার আলো

স্বপ্ন দেখে যারা বইয়ের পাতায়, কলমের আঁচড়ে, সেইসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে আজ হাসি ফুটেছে—স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, নরসিংদী শাখার আঙিনায়।

১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার, সকাল ১০টায়
স্থান: স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, নরসিংদী

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আন্তরিক প্রয়াসে অনুষ্ঠিত হলো এক মহতী আয়োজন—শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, একবেলা আহার ও অভিভাবক সমাবেশ।

 
শত শত নিষ্পাপ মুখের আনন্দে মুখর ছিলো পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।

এই আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন, যিনি শুধু একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেননি—নির্বাক শিশুর স্বপ্নে রেখেছেন আশার আলো।

উপস্থিত ছিলেন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ, ভাইস-চেয়ারমযান-জান্নাতুন নাঈম ইরা , যুগ্ম মহাসচিব মো. বাবুল হোসেন, মো. আকবর হোসেন নান্নু, পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাগর, নরসিংদী শাখা প্রধান কান্তা শেখ এবং শিক্ষকবৃন্দ সান্তা শেখ, সানজিদা আক্তার, রুমিসহ আরও অনেকেই।

অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার গুরুত্ব, সন্তানদের ভবিষ্যৎ গঠন এবং সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে সংবেদনশীল আলোচনা হয়। শিক্ষকদের হাতে, অভিভাবকদের আশ্বাসে ও অতিথিদের ভালোবাসায় দিনটি হয়ে ওঠে সত্যিকারের "আলোকিত দিন"।

চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন-এর হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্য বলেন:

“আজ যখন দেখি, ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের চোখে স্বপ্নের দীপ্তি—তখন মনে হয়, আমাদের পরিশ্রম সার্থক। এই শিশুরা একসময় পথে ঘুরে বেড়াতো, বই খাতা ছিল না, ছিল না কোনো ঠিকানা। আজ তারা স্কুলের বেঞ্চে বসে, কলম ধরে, স্বপ্ন আঁকে।স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন শুধুমাত্র একটি স্কুল নয়—এটি ভালোবাসার প্রতীক, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন।

আমি বিশ্বাস করি, একটা বই, একমুঠো খাবার আর একটু ভালোবাসা যদি দিতে পারি—তবে আমরা একটি প্রজন্ম বদলে দিতে পারবো। আমাদের এই যাত্রায় আপনারা পাশে থাকুন, তাহলেই শিশুগুলো আলোর মুখ দেখবে।”
 

 আকবর হোসেন নান্নু- বলেন :
“এই শিশুদের চোখের দিকে তাকালেই বুঝি, তারা কী চায়—একটু মমতা, একটু সুযোগ, একটু আলোর পথ।
আমরা চেষ্টা করি তাদের সেই পথটা দেখাতে। প্রতিদিন যখন দেখি কেউ একজন নিজের নাম লিখতে শিখেছে, ছোট্ট করে একটা কবিতা বলছে, তখন বুকটা গর্বে ভরে যায়।

এই স্কুল শুধু আমাদের দায়িত্ব নয়, এটা আমাদের হৃদয়ের টান। যতদিন বাঁচি, ততদিন এসব নিষ্পাপ মুখের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাবো।

 ভাইস-চেয়ারমযান-জান্নাতুন নাঈম ইরা বলেন :
আমরা চাই না তারা দয়া পাক, আমরা চাই তারা অধিকার পাক—শিক্ষার অধিকার, ভালো থাকার অধিকার।”

 
এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়—একটি বই, একটি খাতা, একটি কলম আর কিছু ভালোবাসা বদলে দিতে পারে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ। 

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

🌍 “জলবায়ু নয়, বদল হোক আমাদের মনোভাব!” ✍️ মো. আকবর হোসেন

🌍 “জলবায়ু নয়, বদল হোক আমাদের মনোভাব!” ✍️ মো. আকবর হোসেন


🌍 জলবায়ু পরিবর্তনের আমাদের করণীয়,  ✍️ মো. আকবর হোসেন

জলবায়ু পরিবর্তন আজ বৈশ্বিক সংকট। উষ্ণতা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়া, অনিয়মিত বৃষ্টি, খরা, ঘূর্ণিঝড়—এসবই এর ভয়াবহতা প্রতিনিয়ত আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আজ শুধু সচেতনতা নয়, বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণও জরুরি।

বিশ্বের ধনী ও উন্নত দেশগুলো যতটা দায়ী শিল্পায়নের জন্য, ততটাই দায় আমাদেরও নিজেদের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার জন্য। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের নিতে হবে কিছু তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ।
 

করণীয়:

১️. ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা গড়ে তোলা:

প্রতিদিনকার ছোট ছোট অভ্যাস—বিদ্যুৎ অপচয় না করা, পানির অপচয় রোধ, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো ইত্যাদি—বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।

২️. গাছ লাগানো ও সবুজায়ন:

প্রতিটি মানুষ বছরে অন্তত ২টি গাছ লাগালে দেশের বনায়ন বাড়বে, বায়ু থাকবে বিশুদ্ধ, জলবায়ুর ভারসাম্য কিছুটা হলেও ফিরে আসবে।
 

৩। নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া:

সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ—এইসব পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

৪️. প্রশাসনিক ও সামাজিক উদ্যোগ:

শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলবায়ু শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৫️. শিশু-কিশোরদের পরিবেশ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা:

পরবর্তী প্রজন্মকে এখন থেকেই পরিবেশ সচেতনতায় শিক্ষিত করলে ভবিষ্যতে এর সুফল পাওয়া যাবে। 

জলবায়ু পরিবর্তনের দায় শুধু বড় দেশগুলোর নয়। আমাদের প্রত্যেকের জীবনধারায় পরিবর্তন আনাই পারে এই পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য করে তুলতে। আমরা যদি এখনই না জাগি, তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে দায়ী থাকতে হবে আমাদেরই।


“জলবায়ু নয়, বদল হোক আমাদের মনোভাব!”


মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

 প্রিয়পাতা ও Green Stem এর মধ্যে ব্যবসায়িক সমঝোতা: ইনডোর প্লান্টে নতুন মাত্রা

প্রিয়পাতা ও Green Stem এর মধ্যে ব্যবসায়িক সমঝোতা: ইনডোর প্লান্টে নতুন মাত্রা

 

আজ রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের জেনেটিক প্লাজায় অনুষ্ঠিত হলো মাসিক পত্রিকা প্রিয়পাতা এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ Green Stem Indoor Plants Shop এর মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সমঝোতা চুক্তি।

প্রিয়পাতার সম্পাদক নাসরীন সুলতানা এবং Green Stem-এর স্বত্বাধিকারী ও পরিবেশ আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী জনাব ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed) উভয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে উভয় পক্ষ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে পরস্পরকে সহযোগিতা করার এবং একটি সুন্দর, সবুজ ও নান্দনিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

Green Stem হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যারা প্রথমবারের মতো সিরামিক টবে ইনডোর প্লান্ট সরবরাহ শুরু করেছে। এই অভিনব উদ্যোগ ইতোমধ্যেই সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে। সিরামিক টবের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি গৃহসজ্জায় ইনডোর গাছ রাখার সংস্কৃতি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

এ বিষয়ে প্রিয়পাতা সম্পাদক নাসরীন সুলতানা বলেন, “প্রতিটি ঘরে যেন একটি করে ইনডোর প্লান্ট থাকে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।” তিনি আরও বলেন, “প্রিয়পাতার সার্কুলেশন এবং নান্দনিক প্রকাশনা ভবিষ্যতে আরও সবার প্রিয় হয়ে উঠবে।”

এদিকে Green Stem-এর স্বত্বাধিকারী এবং প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, “বাংলাদেশে পরিবেশ উন্নয়নে আমরা নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। প্রিয়পাতা ও Green Stem মিলে এই পথে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।”

এই সমঝোতা চুক্তি নিঃসন্দেহে পরিবেশ সচেতনতা, নান্দনিকতা এবং গৃহসজ্জার আধুনিক চর্চাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।



শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

 পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত — আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন

পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত — আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন

 পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত — আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন
📍 ফুলপুর, ময়মনসিংহ

"সবার আগে পরিবেশ, তার পর আমার স্বদেশ" — এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে গত ২০ বছর ধরে ফুলপুর-তারাকান্দা এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন একদল নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ও চিকিৎসক।

প্রতিমাসেই ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার পয়ারী গ্রামে আয়োজিত হয় আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন-এর বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প। এই ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মরহুম আমজাদ আলী মিয়া'র স্মৃতির উদ্দেশ্যে। তাঁর পরিবারের ২৭ জন চিকিৎসক নিয়মিতভাবে এই মহৎ কাজ পরিচালনা করছেন।

আজকের কর্মসূচির শুরু হয় বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে—পরিবেশ রক্ষায় এক বলিষ্ঠ বার্তা দেয় এই আয়োজন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
🔹 Professor AKM Aminul Hoque
🔹 Brigadier General Azizul Hoque
🔹 Professor Dr. Sayedul Hoque
🔹 Professor Col. Awal Bhuiyan
🔹 Professor Firoza Khatun
🔹 Amdadul Hoque
🔹 Muzammel Hoque

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি-র মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed Rana) এবং পয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মফিজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার Iqbal Hossain সহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ফাউন্ডেশনটি শুধু চিকিৎসা নয়, দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। সমাজ সেবায় আমজাদ আলী মিয়ার পরিবার সত্যিই বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

🌱 পরিবেশ রক্ষায় এবং সমাজ উন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ যেন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে—এই কামনায় দিনটির কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।





বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫

 মো. আকবর হোসেন এর কবিতা

মো. আকবর হোসেন এর কবিতা

বিশ্বাসই সম্পর্ক
কলমে: মো. আকবর হোসেন

সম্পর্কের জন্য চাই না ধন-সম্পদ,
নয় কোনো রাজপ্রাসাদ কিংবা বাহাদুরি পদ।
বয়স, জাত, বর্ণ—এসব তো শুধু ছায়া,
ভালোবাসা যেখানে থাকে, সেখানেই মেলে মায়া।

চাই না দামি গাড়ি, বিলাসী জীবন,
চাই শুধু একটি বিশ্বস্ত মন, একটুখানি মমতাবরণ।
সিনিয়র-জুনিয়র হিসাব করে লাভ নেই,
ভালোবাসা তো বয়স দেখে নয়—হৃদয় যেখানে ঢেউ খেলেই।

যার পকেটে টাকা না থাকলেও
হৃদয়ে থাকে অফুরন্ত ভালোবাসা,
যে কাঁধে ভর করে হাঁটতে পারি,
তুমুল ঝড়ে কিংবা নীরব আশ্বাসে।

সম্পর্কের জন্য দরকার শুধু—
একজন মানুষ, সত্যিকারের আপন,
যার চোখে ভরসা, কথায় শান্তি,
আর হৃদয়ে থাকে এক সমুদ্র ভালোবাসার ঘ্রাণ।

যার চোখে আছে ভরসার ছায়া,
যার স্পর্শে ঘুচে যায় দিনের ক্লান্তি-ব্যথা।
টাকা নেই, হোক! চলবে দু’জনে হাত ধরে,
ভালোবাসা থাকলেই জীবনটা হাসে প্রতিদিন ভোরে।

বিশ্বাস যেখানে, সম্পর্ক সেখানে টিকে,
ভালোবাসা শুধু শব্দ নয়—তা জীবনের ইতিকথা লিখে।
তাই, চাই না কিছুই অতিরিক্ত বা মিথ্যে সাজানো,
চাই শুধু একজন—যার হৃদয়টা একেবারে আমার জন্য গড়া। 



শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

 স্পেনের সেভিলাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)”-এর প্রাক্কালে নাগরিক সমাজের দাবি সকল অবৈধ ও জনবিরোধী ঋণ এখনই বাতিল করুন

স্পেনের সেভিলাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)”-এর প্রাক্কালে নাগরিক সমাজের দাবি সকল অবৈধ ও জনবিরোধী ঋণ এখনই বাতিল করুন

 স্পেনের সেভিলাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)”-এর প্রাক্কালে নাগরিক সমাজের দাবি সকল অবৈধ ও জনবিরোধী ঋণ এখনই বাতিল করুন

স্পেনের সেভিলাতে আগামী ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)’- বিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন যা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সম্মেলনে দেশীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, ঋণনীতি সংস্কার ও জলবায়ু অর্থায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আর্থিক ইস্যু আলোচিত হবে, যা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য খাতের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করলে বর্তমান এসডিজির উন্নয়নের বিপরীতে একটি অন্ধকার চেহারা দেখা যায়। যেমন, জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ তম বিপদাপন্ন দেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬% (প্রায় ৯০ মিলিয়ন) জলবায়ু ইস্যুতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। জাতীয় দারিদ্র্যের হার ১৮.৭%  এবং যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাল্য বিবাহের বর্তমান হার ৫১.৪০%, ইত্যাদি।

এ প্রেক্ষাপটে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “ঋণ নয়, চাই ন্যায্যতা: অন্যায় ঋণ বাতিল করো, ব্যবস্থা বদলাও” শীর্ষক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা দুর্নীতিপূর্ণ কর নীতি, অবৈধ অর্থ পাচার ও ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের শর্ত পূরণে সরকার জনগণের উপর চাপ সৃষ্টি করে কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকাকে বিপর্যস্ত করছে। বক্তারা জানান, ২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ৩৩% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ১৫ বছরে ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়েছে, যা বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের চেয়ে বেশি। তারা এই পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান। সেই সঙ্গে, বিশেষ করে মেগা প্রকল্পগুলোর ঋণ প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবিও জানান।

এ মানববন্ধনটি “গ্লোবাল ডে অফ অ্যাকশন অন ফাইন্যান্স” আন্দোলনের অংশ হিসেবে এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (APMDD) এর উদ্যোগে কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইক্যুইটিবিডি, টিইউএস, বিএসজেএফ, এনডিএফ, এনআরডিএস, সিপিআরডি, সিপিডি, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, উদয়ন বাংলাদেশ, প্রকাস ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন ইক্যুটিবিডি-সচিবালয় সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল আকন্দ।

ইক্যুটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, ইউএই, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম এই ধনী দেশগুলোকে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ গ্রহণ বন্ধ করতে হবে এবং সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে। তিনি বলেন, পূর্বে মেগা প্রকল্পে নেওয়া ঋণ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন না করেই গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি এসব অন্যায় ঋণ পরিশোধ না করা এবং মওকুফের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান এবং জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি গ্লোবাল টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান, যাতে অবৈধ অর্থপাচার বন্ধ করা যায়। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদের আলোচনার বাইরে যেন আর কোনো নতুন ঋণ অনুমোদন না হয়।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের শরীফ জামিল বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বসে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশভিত্তিক অভিযোজন ব্যবস্থাপনার জন্য অনুদানভিত্তিক অর্থায়নের দাবি জানানো উচিত। ইক্যুইটিবিডির মো. ইকবাল উদ্দিন বলেন, উন্নত দেশগুলো এখনো তাদের জিএনআই অনুপাতে অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্স (ODA) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি এবং তারা অনুদানের বদলে আমাদের উপর আরও ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে তাদের যে অঙ্গীকার তা বাস্তবায়নের দাবি জানান। প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি র মূখপাত্র এবং  এনডিএফের  চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবি জানান। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও অর্থ ফেরতের দাবি তোলেন।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোহাম্মদ আলী জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থতার জন্য জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। উদয়ন বাংলাদেশের শেখ আসাদুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়, তাই জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রকাস-এর এএসএম আমানুল হাসান তৈমুর ঋণের ক্রমবর্ধমান বোঝা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইক্যুইটিবিডির ওমর ফারুক ভূঁইয়া আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কর সংস্কারের সমালোচনা করেন এবং অবিলম্বে সব দ্বিপাক্ষিক,বহুপাক্ষিক ও বেসরকারি অবৈধ ঋণ বাতিলের দাবি জানান। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিক ফোরামের মো. মোতাহার হোসেন বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন আমাদের অধিকার, দয়া নয়।


সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

 স্পেনের ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের আহবান সহায়তা প্রদানের চেয়ে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন

স্পেনের ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের আহবান সহায়তা প্রদানের চেয়ে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন

 স্পেনের ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের আহবান
সহায়তা প্রদানের চেয়ে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন

ঢাকা, ২৩ জুন ২০২৫: ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট (এফএফডি-৪) বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ এখানে স্থানীয় সম্পদ আহরণ, বৈদেশিক দেনা বিষয়ক নীতিমালা এবং জলবায়ু অর্থায়ন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে যা আগামী বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বাংলাদেশ একটি অনুন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাবে। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য খাতের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু তথ্য  বিশ্লেষণ করলে বর্তমান এসডিজির উন্নয়নের বিপরীতে একটি অন্ধকার চেহারা দেখা যায়। যেমন, জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ তম বিপদাপন্ন দেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬% (প্রায় ৯০ মিলিয়ন) জলবায়ু ইস্যুতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। প্রায় ১.৭৮ মিলিয়ন শিশুরা শিশুশ্রমে নিযুক্ত। জাতীয় দারিদ্র্যের হার ১৮.৭%  এবং যা দেশটির সাম্প্রতিক দারিদ্র্যতা বৃদ্ধির হারকে নির্দেশ করছে। বাল্য বিবাহের বর্তমান হার ৫১.৪০%, ইত্যাদি।

আজ সহায়তা প্রদানের চেয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরৎ দিন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ এসব তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন যে, যখন বিদেশি উন্নয়ন সহায়তা  (ওডিএ) ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ কিভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে পারবে? অন্যদিকে আইএমএফ এর অন্যায্য কর ব্যবস্থা, মানি লন্ডারিং, বড় রকমের বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। বক্তারা আরো বলেন যে, গত ১৫ বছরে, বিদেশে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাচার হয়ে গেছে। এই অর্থ আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের সমান। এটি দেশের মোট বৈদেশিক দেনারও সমান। এই অর্থ যদি পাচার না করা হত তবে এটি বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত বৈদেশিক দেনাকে পরিশোধ করতে পারতো। বক্তারা এফএফডি-৪ সম্মেলনের প্রাক্কালে এই পাচারকৃত অর্থ ফেরতের জোর দাবি জানান।

কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইক্যুইটিবিডি, বিসিজেএফ, এনডিএফ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, উদয়ন এবং ওয়াটার কিপারর্স বাংলাদেশ যৌথভাবে এফএফডি-৪ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে আজ রাজধানী ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এফএফডি-৪  স্পেনের সেভিলা শহরে আগামী ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের মোঃ ইকবাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে মূল দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং ইক্যুইটিবিডির প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম চৌধুরী এতে সঞ্চালনা করেন।

মোঃ ইকবাল উদ্দিন বলেন যে, এফএফডি-৪ কে অবশ্যই বৈশ্বিক অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ইতোমধ্যে  পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ভূক্তভোগী দেশগুলোকে ফেরৎ দিতে হবে। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন যে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম ইতোমধ্যে তাদের বৈদেশিক সহায়তা প্রদান কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা আমাদের এসডিজি অর্জনে আর তেমন সহায়তা করতে পারবে না। তাই সহায়তা প্রদানের চেয়ে বরং তাদের বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরৎ দেয়া উচিৎ এবং অবৈধ অর্থ পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।

ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের শরীফ জামিল বলেন, যদি উন্নতদেশগুলোতে টাকা পাচারের ব্যবস্থা না থাকতো তাহলে আমাদের মতো দেশগুলো থেকে টাকা পাচার হওয়া বন্ধ হয়ে যেত। তিনি এফএফডি-৪ কে টাকা পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  বলেন। এনডিএফ এর ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি বৈশ্বিক দায়। বাংলাদেশের উপর এটি চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তিনি এর জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক  নিখিল চন্দ্র ভদ্র  পাচারকৃত অর্থ ফেরৎ এনে উপকূলের বিপদাপন্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যয় করার দাবি জানান। উদয়নের অসাদুজ্জান বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ি নয়। তাই বাংলাদেশের জলবায়ু সংক্রান্ত সকল অবৈধ দেনাগুলো বাতিল করতে হবে এবং সেগুলোকে সহায়তা আকারে প্রদান করতে হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের ওমর ফারুক ভূইয়া আইএমএফ এর কর ব্যবস্থা সংস্কারের সমালোচনা করে বলেন যে সেগুলো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেই যায়। তিনি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বৈশ্বিক ট্যাক্স কনভেনশনের আওতায় বাংলাদেশের কর ন্যায্যতা নির্ধারণের দাবি জানান।



রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে স্বদেশে ফিরে এসেছেন কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে স্বদেশে ফিরে এসেছেন কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে স্বদেশে ফিরে এসেছেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি, খ্যাতনামা কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন।

গত ১৮ জুন, বুধবার তিনি ঢাকায় আগমনের পর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে ছুটে যান বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা।

এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও এম-ট্যাব (M-TAB) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, গুম-ফেরত নেতা দবির উদ্দিন খান তুষার এবং জনস্বার্থ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব ডি. এম. সাকলায়েন।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দবির উদ্দিন খান তুষার কৃষিবিদ তুহিনের সুস্থতা ও নিরাপদে হজ পালনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

দলের নেতাকর্মীরা আশা প্রকাশ করেন, হজব্রতের আধ্যাত্মিক শিক্ষা ও আত্মশুদ্ধির বার্তা নিয়ে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ভবিষ্যতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশের কৃষক সমাজের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন।
 

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে

টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে

 টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে

ঢাকা, ১৮ জুন ২০২৫
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা টাঙ্গুয়ার হাওরকে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত কার্যকর ও সুনির্দিষ্ট সরকারিভাবে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণসহ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।

“বিপর্যয়ের হাত থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরকে বাঁচান”—এই মূল শ্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে হাওর অঞ্চলবাসী, ঢাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে হাওর অঞ্চলবাসী সমন্বয়ক ড.হালিমদাদ খান সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য জাকিয়া শিশির, প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মূখপাত্র এবং নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা প্রমুখ।  

বক্তারা বলেন, “টাঙ্গুয়ার হাওর শুধু সুনামগঞ্জবাসীর নয়, এটি জাতীয় সম্পদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। অথচ এটি প্রতিনিয়ত অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, অবৈধ শিকার, দূষণ এবং যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে হুমকির মুখে পড়ছে।”

তারা আরও বলেন, “সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে দায়িত্ব বিভাজনের অভাবে সঠিক ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হচ্ছে। তাই টাঙ্গুয়ার হাওরের সুরক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা জরুরি, যেখানে সংরক্ষণ, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা এবং টেকসই পর্যটনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।”

আয়োজক ‘হাওর অঞ্চলবাসী, ঢাকা’ জানিয়েছে, তারা এই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করবে এবং ভবিষ্যতেও ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

 




সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

*বৃষ্টি আর সবুজের আহ্বান — বর্ষা বরণে পরিবেশপ্রেমীদের মিলনমেলা*

*বৃষ্টি আর সবুজের আহ্বান — বর্ষা বরণে পরিবেশপ্রেমীদের মিলনমেলা*

প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত ,প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর অংশগ্রহণে ১৫ জুন ১লা আষাঢ়  বর্ষা উৎসব উদযাপিত হয়। 

অনুষ্ঠানটি বিকাল ৫ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।

 আবহমান বাংলার প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ এর সাথে বর্ষার গুরুত্ব এবং বর্ষার অবদান নিয়ে আলোচনা, স্মৃতিচারণ, বর্ষার গান, বর-বধু বরণ কবিতা, কৌতুক, গল্প আড্ডায় মেতে উঠেন একদল প্রাণ প্রকৃতি প্রবীণ তারুণ্যময় পরিবেশ কর্মী। 

 

রাজধানীর বিজয় সরণী রেংগস টাওয়ার এর থাইচি রেস্টুরেন্ট এর খোলা বাড়ান্দায় বসে বর্ষা উপভোগ্য আড্ডা মেলায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি এড. শফিকুর রহমান।

বর্ষা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএমএইচ নজরুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন সাবেক এম্বাসেডর মাজেদা রফিকুন নেসা,  বিজিএমইএ ফ্যাশন টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসর, লেখক রাজা জলিল, জনপ্রীয় গীতিকবি ও লেখক শহীদুল্লাহ ফরায়েজি।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা এবং প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর সভাপতি শাহিদা ইসলাম ।

 

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে যারা ছিলেন-

প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর ভাইপ্রেসিডেন্ট, ফটোগ্রাফার ( সাবেক (রয়টার) রফিকুর রহমান।
নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লেখিকা নাসরিন আকতার।
প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ এবং প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা কমিটির সিনিয়র সদস্য রাজিয়া সুলতানা।

 সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আরজুমান্দ আরা বকুল। নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা
বিমান বাংলাদেশ এর সাবেক কর্মকর্তা দিলরুবা জেফু, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর সহ সভাপতি ইয়াকুব আলী ফকির, প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর সিনিয়র সহসভাপতি লেখক নুরুল করিম খসরু।

রাষ্ট সংস্কার আন্দোলন এরং প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য জাকিয়া শিশির, সৈয়দা রত্না, সমন্বয়ক, কলাবাগান তেতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলন।

মোঃ আকবর হোসেন, চেয়ারম্যান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, কে এম ওবায়েদুর রহমান, ডিরেক্টর, ওয়েস্ট নীট লিমিটেড। বহরম খান, সিনিয়র রিপোটার, ডেইলি স্টার,  আয়শা বেনজির, প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ।

 বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বেগম রোকেয়া ইসলাম এবং নির্বাহী সদস্য
লেখিকা মাহি ফারহানা, মেজর বদরুল আলম, বিজিবি, এমএস সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (অব)।
মহিউদ্দিন আহমেদ, আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।
মোস্তফা কামাল আকন্দ, পরিচালক, কোষ্ট ট্রাস্ট, জেসমিন আবেদিন, প্রধান শিক্ষক, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাকীম মোহাম্মদ শামীম, মোখলেসুর রহমান, পর্যটন গবেষক।


সহকারী এটনি জেনারেল এড. সুলতান মাহমুদ বান্না, ব্যাংকার সাফিয়ার রহমান, নাগরিক আন্দোলনের নেতা রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ডিউক হুদা। দুর্নীতি বিরোধী জোট এর জনাব হাবিবুর রহমান।ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান। প্রমুখ।

 

 

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫

 একজন অসহায় রিক্সাচালকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সমাজসেবক নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম

একজন অসহায় রিক্সাচালকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সমাজসেবক নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম

 

             নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম এর পক্ষে নগদ টাকা তুলে দেন স্বদেশ মৃত্তিক মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আকবর হোসেন

  ঢাকা, ৯ জুন ২০২৫:

একজন হতভাগ্য রিক্সা চালক—নামটি হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু তাঁর কষ্ট, তাঁর যুদ্ধটা খুব বাস্তব। মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। জরুরি চিকিৎসা না করলে তার জীবন বাঁচানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু হাত ছিল খালি, চোখে ছিল একরাশ অনিশ্চয়তা।

ঠিক এমনই এক মুহূর্তে সাহস ও মানবতার দীপ্ত আলো হয়ে সামনে আসেন নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার অসাধারণ টিম।
সংগঠিতভাবে তারা দ্রুত অর্থ সংগ্রহ করেন, চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং এই অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়ান। 

এখন তিনি চিকিৎসাধীন, ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। ৯ জুন ২০২৫ রাতে বাড়ি ফিরেন তিনি। 

এই ঘটনা প্রমাণ করে, এখনও সমাজে এমন মানুষ আছেন যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ান।
নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিমের এই উদ্যোগ শুধু একটি প্রাণই রক্ষা করেনি—জাগিয়ে তুলেছে আশার আলো, ছড়িয়ে দিয়েছে মানবতার বার্তা।

 নুরুস সাবাহ মিঠু ও স্বদেশ মৃত্তিকার এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম সমাজে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পথের একজন সাধারণ রিক্সাওয়ালার জীবন বাঁচাতে তারা যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয়। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।


সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫

  মিঠু-সাবাহ টিমের সহযোগিতায় মানবিক কার্যক্রম সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মাংস বিতরণ

মিঠু-সাবাহ টিমের সহযোগিতায় মানবিক কার্যক্রম সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মাংস বিতরণ

 

ঢাকা, ৯ জুন:
"ত্যাগের আনন্দ হোক সবার জন্য"—এই স্লোগানকে ধারণ করে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এবং মিঠু-সাবাহ টিমের সার্বিক সহযোগিতায় অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মাংস বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন, উপদেষ্টা ডা. এস. এম. হাবিবুর রহমান, পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাগর, শিক্ষক সোহাগি আক্তারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
 
আয়োজকেরা জানান, এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত শিশুদের মুখে একটুখানি হাসি ফোটানো। মানবিক এই উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং বিশেষভাবে মিঠু-সাবাহ টিমকে ধন্যবাদ জানানো হয় তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য।
অনুষ্ঠানটি শেষ হয় দোয়া ও শুভকামনার মাধ্যমে।

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যেগে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উদযাপন

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যেগে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উদযাপন

 

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উদযাপন

 
“তামাক নয়, খাদ্য ফলান” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ৩১ মে ২০২৫, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করছে সারা বাংলাদেশ, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল:👉 “তামাক নয়, খাদ্য ফলান”
এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে, প্রতি বছরের মতো এবারও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন যৌথভাবে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
 
দিবসটির তাৎপর্য উপলক্ষ্যে, আজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ও তৃণমূল মানুষদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তামাক ও ধূমপানের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে।
পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে তৈরি রঙিন পোস্টার নিয়ে স্লোগান দেয়। এতে যেমন দেখা যায় চিত্র, তেমনি ছিল বার্তা:
 
“তামাক ছাড়ুন, জীবন বাঁচান”
“সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য তামাক নয়, গাছ লাগান”
“ধূমপানে মৃত্যু, খাদ্যে জীবন”
 
🎙️ এ সময় উপস্থিত ছিলেন:
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন এর চেয়ারম্যান মো: আকবর হোসেন।
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাগর।
শিক্ষকবৃন্দ, রাশিদা আক্তার, সোহাগী আক্তার, যাবেদ হোসেন ও সুমনা আক্তার।
অভিভাবক ও স্থানীয় সমাজসেবীরা।
 
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও তারা ধূমপান ও তামাকবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, যাতে একটি সুস্থ, সবুজ ও সচেতন প্রজন্ম গড়ে ওঠে।