প্রচ্ছদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রচ্ছদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

 পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত — আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন

পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত — আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন

 পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত — আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন
📍 ফুলপুর, ময়মনসিংহ

"সবার আগে পরিবেশ, তার পর আমার স্বদেশ" — এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে গত ২০ বছর ধরে ফুলপুর-তারাকান্দা এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন একদল নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ও চিকিৎসক।

প্রতিমাসেই ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার পয়ারী গ্রামে আয়োজিত হয় আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন-এর বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প। এই ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মরহুম আমজাদ আলী মিয়া'র স্মৃতির উদ্দেশ্যে। তাঁর পরিবারের ২৭ জন চিকিৎসক নিয়মিতভাবে এই মহৎ কাজ পরিচালনা করছেন।

আজকের কর্মসূচির শুরু হয় বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে—পরিবেশ রক্ষায় এক বলিষ্ঠ বার্তা দেয় এই আয়োজন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
🔹 Professor AKM Aminul Hoque
🔹 Brigadier General Azizul Hoque
🔹 Professor Dr. Sayedul Hoque
🔹 Professor Col. Awal Bhuiyan
🔹 Professor Firoza Khatun
🔹 Amdadul Hoque
🔹 Muzammel Hoque

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি-র মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed Rana) এবং পয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মফিজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার Iqbal Hossain সহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

ফাউন্ডেশনটি শুধু চিকিৎসা নয়, দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। সমাজ সেবায় আমজাদ আলী মিয়ার পরিবার সত্যিই বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

🌱 পরিবেশ রক্ষায় এবং সমাজ উন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ যেন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে—এই কামনায় দিনটির কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।





বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫

 মো. আকবর হোসেন এর কবিতা

মো. আকবর হোসেন এর কবিতা

বিশ্বাসই সম্পর্ক
কলমে: মো. আকবর হোসেন

সম্পর্কের জন্য চাই না ধন-সম্পদ,
নয় কোনো রাজপ্রাসাদ কিংবা বাহাদুরি পদ।
বয়স, জাত, বর্ণ—এসব তো শুধু ছায়া,
ভালোবাসা যেখানে থাকে, সেখানেই মেলে মায়া।

চাই না দামি গাড়ি, বিলাসী জীবন,
চাই শুধু একটি বিশ্বস্ত মন, একটুখানি মমতাবরণ।
সিনিয়র-জুনিয়র হিসাব করে লাভ নেই,
ভালোবাসা তো বয়স দেখে নয়—হৃদয় যেখানে ঢেউ খেলেই।

যার পকেটে টাকা না থাকলেও
হৃদয়ে থাকে অফুরন্ত ভালোবাসা,
যে কাঁধে ভর করে হাঁটতে পারি,
তুমুল ঝড়ে কিংবা নীরব আশ্বাসে।

সম্পর্কের জন্য দরকার শুধু—
একজন মানুষ, সত্যিকারের আপন,
যার চোখে ভরসা, কথায় শান্তি,
আর হৃদয়ে থাকে এক সমুদ্র ভালোবাসার ঘ্রাণ।

যার চোখে আছে ভরসার ছায়া,
যার স্পর্শে ঘুচে যায় দিনের ক্লান্তি-ব্যথা।
টাকা নেই, হোক! চলবে দু’জনে হাত ধরে,
ভালোবাসা থাকলেই জীবনটা হাসে প্রতিদিন ভোরে।

বিশ্বাস যেখানে, সম্পর্ক সেখানে টিকে,
ভালোবাসা শুধু শব্দ নয়—তা জীবনের ইতিকথা লিখে।
তাই, চাই না কিছুই অতিরিক্ত বা মিথ্যে সাজানো,
চাই শুধু একজন—যার হৃদয়টা একেবারে আমার জন্য গড়া। 



শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

 স্পেনের সেভিলাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)”-এর প্রাক্কালে নাগরিক সমাজের দাবি সকল অবৈধ ও জনবিরোধী ঋণ এখনই বাতিল করুন

স্পেনের সেভিলাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)”-এর প্রাক্কালে নাগরিক সমাজের দাবি সকল অবৈধ ও জনবিরোধী ঋণ এখনই বাতিল করুন

 স্পেনের সেভিলাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)”-এর প্রাক্কালে নাগরিক সমাজের দাবি সকল অবৈধ ও জনবিরোধী ঋণ এখনই বাতিল করুন

স্পেনের সেভিলাতে আগামী ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)’- বিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন যা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সম্মেলনে দেশীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, ঋণনীতি সংস্কার ও জলবায়ু অর্থায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আর্থিক ইস্যু আলোচিত হবে, যা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য খাতের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করলে বর্তমান এসডিজির উন্নয়নের বিপরীতে একটি অন্ধকার চেহারা দেখা যায়। যেমন, জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ তম বিপদাপন্ন দেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬% (প্রায় ৯০ মিলিয়ন) জলবায়ু ইস্যুতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। জাতীয় দারিদ্র্যের হার ১৮.৭%  এবং যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাল্য বিবাহের বর্তমান হার ৫১.৪০%, ইত্যাদি।

এ প্রেক্ষাপটে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “ঋণ নয়, চাই ন্যায্যতা: অন্যায় ঋণ বাতিল করো, ব্যবস্থা বদলাও” শীর্ষক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা দুর্নীতিপূর্ণ কর নীতি, অবৈধ অর্থ পাচার ও ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের শর্ত পূরণে সরকার জনগণের উপর চাপ সৃষ্টি করে কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকাকে বিপর্যস্ত করছে। বক্তারা জানান, ২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ৩৩% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ১৫ বছরে ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়েছে, যা বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের চেয়ে বেশি। তারা এই পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান। সেই সঙ্গে, বিশেষ করে মেগা প্রকল্পগুলোর ঋণ প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবিও জানান।

এ মানববন্ধনটি “গ্লোবাল ডে অফ অ্যাকশন অন ফাইন্যান্স” আন্দোলনের অংশ হিসেবে এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (APMDD) এর উদ্যোগে কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইক্যুইটিবিডি, টিইউএস, বিএসজেএফ, এনডিএফ, এনআরডিএস, সিপিআরডি, সিপিডি, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, উদয়ন বাংলাদেশ, প্রকাস ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন ইক্যুটিবিডি-সচিবালয় সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল আকন্দ।

ইক্যুটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, ইউএই, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম এই ধনী দেশগুলোকে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ গ্রহণ বন্ধ করতে হবে এবং সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে। তিনি বলেন, পূর্বে মেগা প্রকল্পে নেওয়া ঋণ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন না করেই গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি এসব অন্যায় ঋণ পরিশোধ না করা এবং মওকুফের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান এবং জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি গ্লোবাল টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান, যাতে অবৈধ অর্থপাচার বন্ধ করা যায়। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদের আলোচনার বাইরে যেন আর কোনো নতুন ঋণ অনুমোদন না হয়।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের শরীফ জামিল বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বসে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশভিত্তিক অভিযোজন ব্যবস্থাপনার জন্য অনুদানভিত্তিক অর্থায়নের দাবি জানানো উচিত। ইক্যুইটিবিডির মো. ইকবাল উদ্দিন বলেন, উন্নত দেশগুলো এখনো তাদের জিএনআই অনুপাতে অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্স (ODA) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি এবং তারা অনুদানের বদলে আমাদের উপর আরও ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে তাদের যে অঙ্গীকার তা বাস্তবায়নের দাবি জানান। প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি র মূখপাত্র এবং  এনডিএফের  চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবি জানান। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও অর্থ ফেরতের দাবি তোলেন।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোহাম্মদ আলী জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থতার জন্য জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। উদয়ন বাংলাদেশের শেখ আসাদুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়, তাই জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রকাস-এর এএসএম আমানুল হাসান তৈমুর ঋণের ক্রমবর্ধমান বোঝা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইক্যুইটিবিডির ওমর ফারুক ভূঁইয়া আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কর সংস্কারের সমালোচনা করেন এবং অবিলম্বে সব দ্বিপাক্ষিক,বহুপাক্ষিক ও বেসরকারি অবৈধ ঋণ বাতিলের দাবি জানান। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিক ফোরামের মো. মোতাহার হোসেন বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন আমাদের অধিকার, দয়া নয়।


সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

 স্পেনের ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের আহবান সহায়তা প্রদানের চেয়ে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন

স্পেনের ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের আহবান সহায়তা প্রদানের চেয়ে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন

 স্পেনের ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের আহবান
সহায়তা প্রদানের চেয়ে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন

ঢাকা, ২৩ জুন ২০২৫: ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট (এফএফডি-৪) বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ এখানে স্থানীয় সম্পদ আহরণ, বৈদেশিক দেনা বিষয়ক নীতিমালা এবং জলবায়ু অর্থায়ন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে যা আগামী বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বাংলাদেশ একটি অনুন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাবে। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য খাতের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু তথ্য  বিশ্লেষণ করলে বর্তমান এসডিজির উন্নয়নের বিপরীতে একটি অন্ধকার চেহারা দেখা যায়। যেমন, জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ তম বিপদাপন্ন দেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬% (প্রায় ৯০ মিলিয়ন) জলবায়ু ইস্যুতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। প্রায় ১.৭৮ মিলিয়ন শিশুরা শিশুশ্রমে নিযুক্ত। জাতীয় দারিদ্র্যের হার ১৮.৭%  এবং যা দেশটির সাম্প্রতিক দারিদ্র্যতা বৃদ্ধির হারকে নির্দেশ করছে। বাল্য বিবাহের বর্তমান হার ৫১.৪০%, ইত্যাদি।

আজ সহায়তা প্রদানের চেয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরৎ দিন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ এসব তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন যে, যখন বিদেশি উন্নয়ন সহায়তা  (ওডিএ) ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ কিভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে পারবে? অন্যদিকে আইএমএফ এর অন্যায্য কর ব্যবস্থা, মানি লন্ডারিং, বড় রকমের বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। বক্তারা আরো বলেন যে, গত ১৫ বছরে, বিদেশে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাচার হয়ে গেছে। এই অর্থ আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের সমান। এটি দেশের মোট বৈদেশিক দেনারও সমান। এই অর্থ যদি পাচার না করা হত তবে এটি বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত বৈদেশিক দেনাকে পরিশোধ করতে পারতো। বক্তারা এফএফডি-৪ সম্মেলনের প্রাক্কালে এই পাচারকৃত অর্থ ফেরতের জোর দাবি জানান।

কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইক্যুইটিবিডি, বিসিজেএফ, এনডিএফ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, উদয়ন এবং ওয়াটার কিপারর্স বাংলাদেশ যৌথভাবে এফএফডি-৪ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে আজ রাজধানী ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এফএফডি-৪  স্পেনের সেভিলা শহরে আগামী ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের মোঃ ইকবাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে মূল দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং ইক্যুইটিবিডির প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম চৌধুরী এতে সঞ্চালনা করেন।

মোঃ ইকবাল উদ্দিন বলেন যে, এফএফডি-৪ কে অবশ্যই বৈশ্বিক অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ইতোমধ্যে  পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ভূক্তভোগী দেশগুলোকে ফেরৎ দিতে হবে। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন যে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম ইতোমধ্যে তাদের বৈদেশিক সহায়তা প্রদান কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা আমাদের এসডিজি অর্জনে আর তেমন সহায়তা করতে পারবে না। তাই সহায়তা প্রদানের চেয়ে বরং তাদের বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরৎ দেয়া উচিৎ এবং অবৈধ অর্থ পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।

ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের শরীফ জামিল বলেন, যদি উন্নতদেশগুলোতে টাকা পাচারের ব্যবস্থা না থাকতো তাহলে আমাদের মতো দেশগুলো থেকে টাকা পাচার হওয়া বন্ধ হয়ে যেত। তিনি এফএফডি-৪ কে টাকা পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  বলেন। এনডিএফ এর ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি বৈশ্বিক দায়। বাংলাদেশের উপর এটি চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তিনি এর জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক  নিখিল চন্দ্র ভদ্র  পাচারকৃত অর্থ ফেরৎ এনে উপকূলের বিপদাপন্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যয় করার দাবি জানান। উদয়নের অসাদুজ্জান বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ি নয়। তাই বাংলাদেশের জলবায়ু সংক্রান্ত সকল অবৈধ দেনাগুলো বাতিল করতে হবে এবং সেগুলোকে সহায়তা আকারে প্রদান করতে হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের ওমর ফারুক ভূইয়া আইএমএফ এর কর ব্যবস্থা সংস্কারের সমালোচনা করে বলেন যে সেগুলো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেই যায়। তিনি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বৈশ্বিক ট্যাক্স কনভেনশনের আওতায় বাংলাদেশের কর ন্যায্যতা নির্ধারণের দাবি জানান।



রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে স্বদেশে ফিরে এসেছেন কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে স্বদেশে ফিরে এসেছেন কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে স্বদেশে ফিরে এসেছেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি, খ্যাতনামা কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন।

গত ১৮ জুন, বুধবার তিনি ঢাকায় আগমনের পর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে ছুটে যান বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা।

এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও এম-ট্যাব (M-TAB) কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, গুম-ফেরত নেতা দবির উদ্দিন খান তুষার এবং জনস্বার্থ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব ডি. এম. সাকলায়েন।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দবির উদ্দিন খান তুষার কৃষিবিদ তুহিনের সুস্থতা ও নিরাপদে হজ পালনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

দলের নেতাকর্মীরা আশা প্রকাশ করেন, হজব্রতের আধ্যাত্মিক শিক্ষা ও আত্মশুদ্ধির বার্তা নিয়ে কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ভবিষ্যতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশের কৃষক সমাজের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন।
 

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে

টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে

 টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে

ঢাকা, ১৮ জুন ২০২৫
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা টাঙ্গুয়ার হাওরকে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত কার্যকর ও সুনির্দিষ্ট সরকারিভাবে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণসহ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।

“বিপর্যয়ের হাত থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরকে বাঁচান”—এই মূল শ্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে হাওর অঞ্চলবাসী, ঢাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে হাওর অঞ্চলবাসী সমন্বয়ক ড.হালিমদাদ খান সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য জাকিয়া শিশির, প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মূখপাত্র এবং নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা প্রমুখ।  

বক্তারা বলেন, “টাঙ্গুয়ার হাওর শুধু সুনামগঞ্জবাসীর নয়, এটি জাতীয় সম্পদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। অথচ এটি প্রতিনিয়ত অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, অবৈধ শিকার, দূষণ এবং যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে হুমকির মুখে পড়ছে।”

তারা আরও বলেন, “সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে দায়িত্ব বিভাজনের অভাবে সঠিক ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হচ্ছে। তাই টাঙ্গুয়ার হাওরের সুরক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা জরুরি, যেখানে সংরক্ষণ, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা এবং টেকসই পর্যটনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।”

আয়োজক ‘হাওর অঞ্চলবাসী, ঢাকা’ জানিয়েছে, তারা এই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করবে এবং ভবিষ্যতেও ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

 




সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫

*বৃষ্টি আর সবুজের আহ্বান — বর্ষা বরণে পরিবেশপ্রেমীদের মিলনমেলা*

*বৃষ্টি আর সবুজের আহ্বান — বর্ষা বরণে পরিবেশপ্রেমীদের মিলনমেলা*

প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত ,প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর অংশগ্রহণে ১৫ জুন ১লা আষাঢ়  বর্ষা উৎসব উদযাপিত হয়। 

অনুষ্ঠানটি বিকাল ৫ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।

 আবহমান বাংলার প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ এর সাথে বর্ষার গুরুত্ব এবং বর্ষার অবদান নিয়ে আলোচনা, স্মৃতিচারণ, বর্ষার গান, বর-বধু বরণ কবিতা, কৌতুক, গল্প আড্ডায় মেতে উঠেন একদল প্রাণ প্রকৃতি প্রবীণ তারুণ্যময় পরিবেশ কর্মী। 

 

রাজধানীর বিজয় সরণী রেংগস টাওয়ার এর থাইচি রেস্টুরেন্ট এর খোলা বাড়ান্দায় বসে বর্ষা উপভোগ্য আড্ডা মেলায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি এড. শফিকুর রহমান।

বর্ষা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএমএইচ নজরুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন সাবেক এম্বাসেডর মাজেদা রফিকুন নেসা,  বিজিএমইএ ফ্যাশন টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসর, লেখক রাজা জলিল, জনপ্রীয় গীতিকবি ও লেখক শহীদুল্লাহ ফরায়েজি।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা এবং প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর সভাপতি শাহিদা ইসলাম ।

 

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে যারা ছিলেন-

প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর ভাইপ্রেসিডেন্ট, ফটোগ্রাফার ( সাবেক (রয়টার) রফিকুর রহমান।
নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লেখিকা নাসরিন আকতার।
প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ এবং প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা কমিটির সিনিয়র সদস্য রাজিয়া সুলতানা।

 সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আরজুমান্দ আরা বকুল। নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা
বিমান বাংলাদেশ এর সাবেক কর্মকর্তা দিলরুবা জেফু, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর সহ সভাপতি ইয়াকুব আলী ফকির, প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর সিনিয়র সহসভাপতি লেখক নুরুল করিম খসরু।

রাষ্ট সংস্কার আন্দোলন এরং প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য জাকিয়া শিশির, সৈয়দা রত্না, সমন্বয়ক, কলাবাগান তেতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলন।

মোঃ আকবর হোসেন, চেয়ারম্যান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, কে এম ওবায়েদুর রহমান, ডিরেক্টর, ওয়েস্ট নীট লিমিটেড। বহরম খান, সিনিয়র রিপোটার, ডেইলি স্টার,  আয়শা বেনজির, প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ।

 বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বেগম রোকেয়া ইসলাম এবং নির্বাহী সদস্য
লেখিকা মাহি ফারহানা, মেজর বদরুল আলম, বিজিবি, এমএস সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (অব)।
মহিউদ্দিন আহমেদ, আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।
মোস্তফা কামাল আকন্দ, পরিচালক, কোষ্ট ট্রাস্ট, জেসমিন আবেদিন, প্রধান শিক্ষক, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাকীম মোহাম্মদ শামীম, মোখলেসুর রহমান, পর্যটন গবেষক।


সহকারী এটনি জেনারেল এড. সুলতান মাহমুদ বান্না, ব্যাংকার সাফিয়ার রহমান, নাগরিক আন্দোলনের নেতা রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ডিউক হুদা। দুর্নীতি বিরোধী জোট এর জনাব হাবিবুর রহমান।ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান। প্রমুখ।

 

 

মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫

 একজন অসহায় রিক্সাচালকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সমাজসেবক নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম

একজন অসহায় রিক্সাচালকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সমাজসেবক নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম

 

             নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম এর পক্ষে নগদ টাকা তুলে দেন স্বদেশ মৃত্তিক মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আকবর হোসেন

  ঢাকা, ৯ জুন ২০২৫:

একজন হতভাগ্য রিক্সা চালক—নামটি হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু তাঁর কষ্ট, তাঁর যুদ্ধটা খুব বাস্তব। মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। জরুরি চিকিৎসা না করলে তার জীবন বাঁচানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু হাত ছিল খালি, চোখে ছিল একরাশ অনিশ্চয়তা।

ঠিক এমনই এক মুহূর্তে সাহস ও মানবতার দীপ্ত আলো হয়ে সামনে আসেন নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার অসাধারণ টিম।
সংগঠিতভাবে তারা দ্রুত অর্থ সংগ্রহ করেন, চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং এই অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়ান। 

এখন তিনি চিকিৎসাধীন, ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। ৯ জুন ২০২৫ রাতে বাড়ি ফিরেন তিনি। 

এই ঘটনা প্রমাণ করে, এখনও সমাজে এমন মানুষ আছেন যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ান।
নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিমের এই উদ্যোগ শুধু একটি প্রাণই রক্ষা করেনি—জাগিয়ে তুলেছে আশার আলো, ছড়িয়ে দিয়েছে মানবতার বার্তা।

 নুরুস সাবাহ মিঠু ও স্বদেশ মৃত্তিকার এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম সমাজে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পথের একজন সাধারণ রিক্সাওয়ালার জীবন বাঁচাতে তারা যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয়। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।


সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫

  মিঠু-সাবাহ টিমের সহযোগিতায় মানবিক কার্যক্রম সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মাংস বিতরণ

মিঠু-সাবাহ টিমের সহযোগিতায় মানবিক কার্যক্রম সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মাংস বিতরণ

 

ঢাকা, ৯ জুন:
"ত্যাগের আনন্দ হোক সবার জন্য"—এই স্লোগানকে ধারণ করে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এবং মিঠু-সাবাহ টিমের সার্বিক সহযোগিতায় অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মাংস বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন, উপদেষ্টা ডা. এস. এম. হাবিবুর রহমান, পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাগর, শিক্ষক সোহাগি আক্তারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
 
আয়োজকেরা জানান, এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত শিশুদের মুখে একটুখানি হাসি ফোটানো। মানবিক এই উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় এবং বিশেষভাবে মিঠু-সাবাহ টিমকে ধন্যবাদ জানানো হয় তাদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য।
অনুষ্ঠানটি শেষ হয় দোয়া ও শুভকামনার মাধ্যমে।

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যেগে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উদযাপন

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যেগে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উদযাপন

 

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৫ উদযাপন

 
“তামাক নয়, খাদ্য ফলান” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ ৩১ মে ২০২৫, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করছে সারা বাংলাদেশ, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল:👉 “তামাক নয়, খাদ্য ফলান”
এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে, প্রতি বছরের মতো এবারও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন যৌথভাবে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
 
দিবসটির তাৎপর্য উপলক্ষ্যে, আজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ও তৃণমূল মানুষদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তামাক ও ধূমপানের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে।
পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে তৈরি রঙিন পোস্টার নিয়ে স্লোগান দেয়। এতে যেমন দেখা যায় চিত্র, তেমনি ছিল বার্তা:
 
“তামাক ছাড়ুন, জীবন বাঁচান”
“সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য তামাক নয়, গাছ লাগান”
“ধূমপানে মৃত্যু, খাদ্যে জীবন”
 
🎙️ এ সময় উপস্থিত ছিলেন:
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন এর চেয়ারম্যান মো: আকবর হোসেন।
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাগর।
শিক্ষকবৃন্দ, রাশিদা আক্তার, সোহাগী আক্তার, যাবেদ হোসেন ও সুমনা আক্তার।
অভিভাবক ও স্থানীয় সমাজসেবীরা।
 
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও তারা ধূমপান ও তামাকবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, যাতে একটি সুস্থ, সবুজ ও সচেতন প্রজন্ম গড়ে ওঠে।

শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫

 বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত ইবনুল সাঈদ রানা

বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত ইবনুল সাঈদ রানা

 

 বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed) নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed) 

সম্প্রতি  Bio Diversity & Climate Conference 2025 এর আয়োজনে , পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য এক বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ সংরক্ষণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 একইসঙ্গে, প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় তার বলিষ্ঠ ভূমিকা জাতীয় পর্যায়েও প্রশংসিত হয়েছে। এই সম্মাননা তার দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা ও দেশের প্রতি অঙ্গীকারেরই একটি স্বীকৃতি।


 

Bio Diversity & Climate Conference 2025  শীর্ষক সেমিনার

Bio Diversity & Climate Conference 2025 শীর্ষক সেমিনার

 

 Bio Diversity & Climate Conference 2025  শীর্ষক সেমিনার

২৯ মে ২০২৫

প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি, বাংলাদেশ ইনন্টিটিউট অব প্লানারস BIP, CAPS, NDF, ASDF, প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং IPD যৌথ আয়োজনে পরিবেশ রক্ষা ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষার প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক একটি সেমিনার " Biodiversity & climate conference 2025 এর আয়োজন করা হয়।
 
অনুষ্টানে ৪টি সেশনে উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান এড. শফিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স এর সভাপতি প্রফেসর ড. আদিল মোহাম্মদ খান, প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসাইন ndc. বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন যুগ্নসচিব মো: হায়দার আলী-জয়েন চিফ, পরিকল্পনা কমিশন। প্রফেসর ডা. এ কে এম আমিনুল হক, আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ। সাবেক পরিচালক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং মৎস ও পশু সম্পদ বিভাগের পরিচালক হাসান আহাম্মদ চৌধুরী, UNDP র প্রতিনিধি সরদার আছাদুজ্জামান। প্রফেসর হোসাইন এম আজম।
উক্ত সেমিনারে দেশের প্রাণ প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্র্য স্ব স্ব বিষয়ে বিশিষ্ট জনেরা নিজ নিজ আঙ্গিকে বক্তব্য প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। 
 

অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কনফারেন্স কনভেনর জনাব আবু সাঈদ মো. সোহেল। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ASDF এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মাহবুব হোসেন। 
 
২য় সেশনে ক্যাপস CAPS এর নির্বাহী প্রফেসর কামরুজ্জামান মুজুমদার এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন সিনিয়র সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএমএইচ নজরুল ইসলাম, উপদেষ্টা জাতিসংঘ।
 
বিশেষ অতিথি সাবেক এম্বাসেডর মাজেদা রফিকুন নেসা ndc.
 
সেশন চেয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেম ইন্সটিটিউট অব প্লানারস এর সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদি আহসান।
 
 বায়োডাইভারসিটি বিশেষজ্ঞ প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ড. আব্দুল ওহাব,
 
 ERDA এর নির্বাহী পরিচালক জনাব মুনির হোসেন চৌধুরী, 
 
সহকারী অধ্যাপক (মেরিন ফিসারিজ) মীর মোহাম্মদ আলী, 
 
UNDP র মো. মাসুদ চৌধরী, প্রফেসর ড.খায়রুল চৌধুরী।
 
 OAB ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী আসাদুজ্জামান তুহিন।
 
 ASDF এর যুব প্রতিনিধি আয়শা আক্তার।
 
সমাপনি সেশনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আয়োজক সংগঠন প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মূখপাত্র এবং NDF এর চেয়ারম্যান জনাব ইবনুল সাঈদ রানা।
 
উক্ত কনফারেন্সটি চারটি সেশনে পরিচালিত হয়। বিকাল ৩ টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭.৩০টা পর্যন্ত চলে। উক্ত কনফারেন্স এ বর্ষনমুখর দিনে সারা দেশ থেকে এবং পরিবেশ ও সামাজিক সংগঠনের পরিবেশ সচেতন প্রায় ১২০জন উদ্যোগতা সুশিল নাগরিক, প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ এর সদস্যবৃন্দের সমন্বিত সমাবেশ ঘটে এবং নীতি নির্ধারণী আলোচনা হয়।

বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫

স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা পেলেন গীতিকবি কাজী ফারুক বাবুল

স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা পেলেন গীতিকবি কাজী ফারুক বাবুল

গীতিকবি কাজী ফারুক বাবুলকে সম্মাননা হাতে তুলে দেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন।



সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

   শিক্ষায় অনন্য অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন তানিয়া শেখ

শিক্ষায় অনন্য অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন তানিয়া শেখ

 শিক্ষায় অনন্য অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন তানিয়া শেখ
স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উদযাপনে গৌরবময় সম্মাননা

ঢাকা, ১২ মে ২০২৫:
শিক্ষাক্ষেত্রে দীর্ঘ দুই দশকের অবিচল ও নিষ্ঠাবান অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা পেলেন স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক তানিয়া শেখ। প্রতিষ্ঠানটির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

তানিয়া শেখ স্বদেশ মৃত্তিকার শুরু থেকেই জড়িত। প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকেই তিনি শিশুদের মানসম্মত ও মানবিক শিক্ষা প্রদানে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাঁর নেতৃত্বে স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং হয়ে উঠেছে একটি সামাজিক আন্দোলনের অংশ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “তানিয়া শেখ শুধু একজন শিক্ষক নন, তিনি শিক্ষার মাধ্যমে একটি প্রজন্মকে বদলে দেওয়ার সংগ্রামী প্রতীক।”

সম্মাননা গ্রহণের সময় আবেগাপ্লুত তানিয়া শেখ বলেন,

“এই সম্মান শুধু আমার একার নয়। এটি আমাদের স্কুলের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং যারা নীরবে-নিভৃতে এই পথচলায় পাশে ছিলেন, তাঁদের সকলের। শিক্ষাই পারে সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে—এই বিশ্বাস থেকেই আমি কাজ করে যাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, স্বদেশ মৃত্তিকা গত দুই দশক ধরে সমাজের নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য মানসম্মত ও মানবিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে আসছে। তাদের ব্যতিক্রমী পাঠদর্শন, জীবনমুখী শিক্ষা এবং মূল্যবোধনির্ভর শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যেই বহু শিক্ষার্থীকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছে।

এই সম্মাননা শুধুমাত্র একজন শিক্ষকের প্রাপ্তি নয়, এটি সমাজে পরিবর্তনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া হাজারো নির্ভীক মানুষের স্বীকৃতির প্রতীক।

স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন পরিবেশবিদ ইবনুল সাঈদ রানা

স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন পরিবেশবিদ ইবনুল সাঈদ রানা

 স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন পরিবেশবিদ ইবনুল সাঈদ রানা

 

সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন পরিবেশবিদ ইবনুল সাঈদ রানা

ঢাকা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয় সংস্থার উপদেষ্টা ও খ্যাতনামা পরিবেশবিদ ইবনুল সাঈদ রানা-কে।

শিক্ষা, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর নিরলস ভূমিকা ও মানবিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পরিবেশবান্ধব শিক্ষা বিস্তারে তাঁর প্রচেষ্টা এবং নীতিগত সহায়তা স্বদেশ মৃত্তিকার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাঁর অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সমাজে টেকসই পরিবর্তনের জন্য এমন উদ্যোগকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, “এই সম্মাননা আমাকে আরও দায়িত্বশীলভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও পরিবেশ, শিক্ষা ও মানবিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।”

স্বদেশ মৃত্তিকা দুই দশক ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ও মানবিক বিকাশে কাজ করে চলেছে, যা দেশের সামাজিক উন্নয়নের পথে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ভিজিট করতে: www.swadeshmrittika.org

বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫

স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে  সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন ড. তারিক উজ জামান

স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন ড. তারিক উজ জামান

 সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন ড. তারিক উজ জামান

স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয় স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট লেখক ড. তারিক উজ জামানকে।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে নিষ্ঠাভরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রজ্ঞা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক নেতৃত্ব স্বদেশ মৃত্তিকার কর্মকাণ্ডে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। স্বদেশ মৃত্তিকার মতো একটি মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে তাঁর সক্রিয় সম্পৃক্ততা এবং দিকনির্দেশনা অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে শত শত সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে, যারা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

এই সম্মাননা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত কৃতিত্বের স্বীকৃতি নয়, বরং এটি একটি আদর্শের সম্মান—যা তিনি জীবনের প্রতিটি পরতে বহন করে চলেছেন।

ড. তারিক উজ জামানকে অভিনন্দন ও শুভকামনা।

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫

 স্বদেশ মৃত্তিকা  ২০ বছর পূর্তিতে  শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক হিসেবে ‘স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম।

স্বদেশ মৃত্তিকা ২০ বছর পূর্তিতে শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক হিসেবে ‘স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম।

 স্বদেশ মৃত্তিকা  ২০ বছর পূর্তিতে শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক হিসেবে ‘স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম

ঢাকা, ৭ মে ২০২৫:
২০ বছর পূর্তিতে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা উদযাপন করলো তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দীর্ঘ দুই দশক ধরে শিক্ষা, সমাজসেবা ও মানবিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে আসা এই সংস্থাটি রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এই উৎসবের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে  শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক হিসেবে ‘স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম

শেখ নজরুল ইসলাম, যিনি বহু বছর ধরে বাংলাদেশ বেতারে  দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন,

 শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, "এই সম্মান আমার জন্য অনেক গর্বের। আমি বিশ্বাস করি, একজন উপস্থাপক শুধু কথা বলেন না, তিনি অনুভব তৈরি করেন, মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন। স্বদেশ মৃত্তিকার মতো একটি মানবিক সংস্থার অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।”

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও সিইও  মো. আকবর হোসেন, তিনি বলেন,
"আজকের এই দিনটি শুধু আমাদের অর্জনের উৎসব নয়—এটি তাদের সম্মান জানানোর দিন, যারা সমাজ পরিবর্তনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছেন। শেখ নজরুল ইসলাম তার সৃজনশীলতা ও কণ্ঠশক্তি দিয়ে আমাদের প্রতিটি আয়োজনকে আরও অর্থবহ করে তুলেছেন।”

অনুষ্ঠানে আরও ছিল সংস্থার  শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং আগত অতিথিদের উন্মুক্ত মতবিনিময়।

 এই আয়োজনে অতিথিরা বলেন, স্বদেশ মৃত্তিকার এই উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন   নারী উদ্যোক্তা হিসেবে রূপা আহমেদ বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে রূপা আহমেদ বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

 নারী উদ্যোক্তা হিসেবে রূপা আহমেদ বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত

ঢাকা, ৭ মে ২০২৫:
দীর্ঘ দুই দশক ধরে শিক্ষা ও মানব উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে আসা স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা উদযাপন করলো তাদের গৌরবময় ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। রাজধানীর এক জমকালো অনুষ্ঠানে সংস্থার বর্তমান ও সাবেক সদস্য, শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে এই দিনটি উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল সমাজ ও উন্নয়নে অবদান রাখা ব্যক্তিদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান।
এ বছর  নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন রূপা আহমেদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে নারী ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা নিয়ে কাজ করছেন।

রূপা আহমেদ বলেন,
"একজন নারী হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়া সহজ ছিল না। তবে আমি বিশ্বাস করি—উদ্যম, আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আজকের এই সম্মাননার জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং আরও বেশি নারীদের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার আহ্বান জানাই।"

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বদেশ মৃত্তিকার চেয়ারম্যান ও সিইও মো. অোকবর হোসেন  যিনি বলেন,
"আমরা বিশ্বাস করি—শিক্ষা, সমাজসেবা ও নারী উন্নয়নের মধ্য দিয়েই একটি টেকসই সমাজ গঠন সম্ভব। আজ যারা সম্মাননা পেয়েছেন, তারা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর।"

অনুষ্ঠানে আরও ছিল শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, 

অনুষ্ঠান শেষে আগামী ৫ বছরে দেশের ২০টি নতুন উপজেলায় কার্যক্রম বিস্তারের ঘোষণা দেওয়া হয়।



মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ”সমাজসেবায় বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হলেন এহসানুল হক সেতু”

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ”সমাজসেবায় বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হলেন এহসানুল হক সেতু”

              স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

                    সমাজসেবায় বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হলেন এহসানুল হক সেতু

ঢাকা, ৬ মে ২০২৫:
‘মানবতার জন্য শিক্ষা’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করলো স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা। রাজধানীর একটি স্থানীয় মিলনায়তনে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের অতিথিদের উপস্থিতিতে এক আবেগঘন পরিবেশে পালিত হয় এই গৌরবময় দিনটি।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিক্ষা ও সমাজসেবায় অবদানের জন্য গুণীজন সম্মাননা প্রদান। এ বছর এই সম্মাননা অর্জন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষা অনুরাগী এহসানুল হক সেতু। তাকে "সমাজ পরিবর্তনের অগ্রদূত" হিসেবে আখ্যায়িত করে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সিইও মো. আকবর হোসেন ক্রেস্ট  তুলে দেন।

এহসানুল হক সেতু তার বক্তব্যে বলেন,
“এই সম্মাননা শুধু আমার নয়—যারা সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়, তাদের সকলের প্রেরণা। আমি স্বদেশ মৃত্তিকার সঙ্গে পথচলা এখন থেকে শুরু করলাম শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর আশায়, আজ এই দীর্ঘ যাত্রায় সমাজের অনেক রূপান্তরের অংশ হতে পেরে গর্বিত।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সিইও মো. আকবর হোসেন, যিনি বলেন,
“২০ বছর আগে ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু করলেও আজ স্বদেশ মৃত্তিকা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। সমাজসেবায় জনাব এহসানুল হক সেতুর ভূমিকা আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়।”

এছাড়া অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, কৃতি শিক্ষকদের সম্মাননা এবং সংস্থার ২০ বছরের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা ও আরও বৃহৎ পরিসরে সমাজসেবার অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়।

সোমবার, ৫ মে, ২০২৫

স্বদেশ মৃত্তিকা’র ‘চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা পেলেন ড. জেসমিন রহমান

স্বদেশ মৃত্তিকা’র ‘চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা পেলেন ড. জেসমিন রহমান

 

স্বদেশ মৃত্তিকা’র ‘চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা পেলেন ড. জেসমিন রহমান

ঢাকা, ৫ মে ২০২৫ – আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন  নারী উদ্যোক্তা ড. জেসমিন রহমানকে স্বদেশ মৃত্তিকা কর্তৃক ‘স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসিতে কর্মরত।

ড. জেসমিন রহমান বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর উদ্যোগ ও নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদের জীবনে আশার আলো এনেছে। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁর অগ্রণী ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপই তাঁকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

পুরস্কার গ্রহণের সময় ড. জেসমিন বলেন, “এই সম্মাননা শুধু আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়, বরং এটি বাংলাদেশের সব নারী উদ্যোক্তার জন্য একটি প্রেরণা। আমি স্বপ্ন দেখি এমন একটি সমাজ, যেখানে প্রতিটি নারী স্বনির্ভর ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি স্বদেশ মৃত্তিকা পরিচালিত ‘স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন’-এর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার পাশে আছি এবং সব সময় থাকবো। এই শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ার পথে যে কোনো প্রয়োজনে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

স্বদেশ মৃত্তিকা প্রতি বছর সমাজ উন্নয়ন, মানবিকতা ও উদ্যোক্তা কর্মকাণ্ডে অসাধারণ অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। ২০২৫ সালের আয়োজনে ড. জেসমিনের পাশাপাশি আরও কয়েকজন খ্যাতনামা সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদকে সম্মানিত করা হয়।