অর্থনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অর্থনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪

১৩টি তামাক বিরোধী সংগঠনের বাজেট প্রতিক্রিয়া : সিগারেটের কর হার বৃদ্ধির উদ্যোগ ইতিবাচক

১৩টি তামাক বিরোধী সংগঠনের বাজেট প্রতিক্রিয়া : সিগারেটের কর হার বৃদ্ধির উদ্যোগ ইতিবাচক

এবারের বাজেট প্রস্তাবে সিগারেটের সকল স্তরে কর হার বৃদ্ধির প্রস্তাবকে ইতিবাচক বলে জানিয়েছে দেশে কর্মরত ১৩টি তামাক বিরোধী সংগঠন। বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে আজ শনিবার (৮ জুন ২০২৪) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় একথা জানিয়েছে তারা। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দীর্ঘদিন পর মধ্যম, উচ্চ ও অতিউচ্চ স্তরের সিগারেটের করহার ১% বৃদ্ধি এবং নিম্ন স্তরের করহার গত বছরের চেয়ে ২বৃদ্ধি রাজস্ব বৃদ্ধি এবং কোম্পানির মুনাফা হ্রাসের ক্ষেত্রে ইতিবাচক। কিন্তু তামাকজাত দ্রব্যের যথেষ্ট মূল্য বৃদ্ধি না হওয়ায় তা তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের লক্ষ্যকে কঠিন করে তুলবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে  বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।

 

তাদের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় আরো বলা হয়েছে, বাজেটে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম নিম্ন ন্তরে ৫ টাকা, মধ্যম স্তরে ৩ টাকা এবং উচ্চ ও অতিউচ্চ স্তরের যথাক্রমে ৭ টাকা ও ১০ টাকা করা হয়েছে। এই পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি তামাকের ব্যবহার কমাতে কার্যকর অবদান রাখবে না বরং তামাক কোম্পনির অযাচিত মুনাফা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে।

 

প্রতিক্রিয়ায় আরো বলা হয়েছে, প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৩ টাকা এবং গুলের দাম ২ টাকা বৃদ্ধির এবং বিড়ির মূল্য অপরিবর্তিত রাখায় জর্দা, গুল ও বিড়ির ব্যবহার বাড়বে যা একইসাথে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপর মারাত্বক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে তামাক ব্যবহারজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাবে যা রূপকল্প ২০৪১ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 

বাজেট প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তামাক কর বিষয়ক নলেজ হাব বিএনটিটিপি এর আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, এবারের বাজেট প্রস্তাবে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনেকগুলো ইতিবাচক প্রস্তাব রয়েছে। অনেক বছর পর সিগারেটের চারটি স্তরেই মূল্য ও করহার বৃদ্ধি পেয়েছে, বিড়ি ও ধোঁয়াবিহীন তামাকে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ হয়েছে। সিগারেটের খুচরা শলাকা ভাঙতি পয়সা মুক্ত হয়েছে, নিম্ন স্তরে মূল্য বৃদ্ধির হার বেশি এবং বিড়ির কাগজের ওপর কর হার বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ কম হওয়ায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। তিনি বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব অনুসারে বাজেট প্রস্তাব সংশোধনের পরামর্শ দেন।

 

তিনি আরো বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপে প্রচলিত অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতির পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা হলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি তামাকের ব্যবহার কমাতে কার্যকর অবদান রাখতো। পাশাপশি তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কমতো।

 

এইড ফাউন্ডেশন, আর্ক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি), ডেভলপমেন্ট একটিভিটি অব সোসাইটি (ডাস), ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, মাদকাসক্তি ও নেসা নিরোধ সংস্থা (মানস), জাতীয় যক্ষা নিরোধ সংস্থা (নাটাব), প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট সম্মিলিতভাবে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪

 দেশের বাজারে ওয়ানপ্লাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা

দেশের বাজারে ওয়ানপ্লাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি ওয়ানপ্লাস ডিভাইস উন্মোচন

[ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৪] স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ানপ্লাস আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের স্মার্টফোন বাজারে যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল (১৪ মে) সন্ধ্যায় ঢাকারবঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি করা স্মার্টফোন - নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি উন্মোচন করা হয়।
আনুষ্ঠানিক এই যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সকল ব্যবহারকারীর জন্য ব্যতিক্রমধর্মী বিক্রয়- পরবর্তী সেবা, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সাপোর্ট সিস্টেম নিশ্চিত করবে ওয়ানপ্লাস। পাশাপাশি, ওয়ারেন্টি স্ট্যাটাস বিবেচনায় না নিয়ে ওয়ানপ্লাসের গ্লোবাল ভার্সনের স্মার্টফোনে ভার্টিকাল লাইনের সমস্যার ক্ষেত্রে বিনামূল্যে রিপেয়ার সেবা দিবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ৩৫টি স্থানে (২২টি সার্ভিস সেন্টার ও ১৩টি সার্ভিস পয়েন্ট) বিক্রয়-পরবর্তী সেবা পাওয়া যাবে।
একইসাথে, গ্লোবাল ভার্সনের পণ্যের ক্ষেত্রে ৭ দিনের স্মার্টফোন রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি ও ১২
মাসের স্মার্টফোন সার্ভিস দিবে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ’র আফটার-সেলস সার্ভিস ডিরেক্টর মো. রুবায়েত ফেরদৌস চৌধুরী
বলেন, “আমরা নির্ভরযোগ্য বিক্রয়-পরবর্তী সেবার গুরুত্ব বুঝি। তাই, দেশের সকল ওয়ানপ্লাস
ব্যবহারকারীর জন্য ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের গ্লোবাল ভার্সন
স্মার্টফোনের ডিসপ্লের ভার্টিকাল লাইনের সমস্যায় ফ্রি রিপেয়ার সার্ভিস দিবো।”
স্থানীয় উৎপাদনের শুরুতেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টফোন ‘বিগার, লাউডার,
ফাস্টার’ ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। নতুন এই ডিভাইসে
মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬০২০ ফাইভজি প্ল্যাটফর্ম ও ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ে
সক্ষম এমন শক্তিশালী ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে
উৎপাদিত প্রথম মডেল নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি’র মধ্য দিয়ে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশে তৈরি
ফাইভজি স্মার্টফোনের বিস্তৃত সমাহার নিয়ে আসবে ওয়ানপ্লাস।
আজ ১৫ মে থেকে ডিভাইসটি প্রি-অর্ডার করা যাচ্ছে; আর মাত্র ১৫,৯৯৯ টাকায় ৪ জিবি র‍্যাম ও
১২৮ জিবি রম ভ্যারিয়েন্টটি শোরুমে পাওয়া যাবে আগামী ২২ মে থেকে। পাশাপাশি, র‍্যাফেল ড্র’র
মাধ্যমে (স্বাগত অফার) ওয়ানপ্লাস গ্রাহকদের মাত্র ৩০ টাকায় ডিভাইসটি কেনা বা ওয়ানপ্লাস
নর্ড বাডস ২ বা একটি টি-শার্ট জিতে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে এই ব্র্যান্ডটি। এমন আকর্ষণীয়
অফারের মধ্য দিয়েই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মডেল নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি’র যাত্রা শুরু হলো।
এ বিষয়ে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ’র সিইও মেঙ্ক ওয়াং বলেন, “সারাবিশ্বের মানুষের জন্য সর্বাধুনিক
প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য; আর বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করার মধ্য দিয়ে
আমাদের এই লক্ষ্য পূরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম। স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে
আমরা একটি প্রোডাক্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করবো, যা ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্যে
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
দেশের সকল প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের জন্য স্মার্টফোন প্রযুক্তির সর্বাধুনিক উদ্ভাবন ব্যবহারের
সুযোগ নিশ্চিত করতে ওয়ানপ্লাস এর ফ্ল্যাগশিপ মডেল থেকে শুরু করে নর্ড সিরিজের সকল পণ্য
বাংলাদেশ নিয়ে আসছে। এছাড়া, ব্যবহারকারীর ডিজিটাল জীবনযাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করতে
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২, ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ সহ আরও নানান আইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে এসেছে
ব্র্যান্ডটি। প্রযুক্তিপ্রেমীরা নিচের লিঙ্ক থেকে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন -
https://www.oneplus.com/bd/n30-se ।


বুধবার, ৮ মে, ২০২৪

 ‘ভরসার নতুন জানালা’ প্রকল্পের অধীনে বরগুনার ১৮৫ কৃষি উদ্যোক্তার জন্য  দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন ইউসিবির

‘ভরসার নতুন জানালা’ প্রকল্পের অধীনে বরগুনার ১৮৫ কৃষি উদ্যোক্তার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন ইউসিবির

[ঢাকা, ০৭ মে, ২০২৪] আজ (০৭ মে) বরগুনার আরডিএফ মিলনায়তনে ‘ভরসার নতুন জানালা’
শীর্ষক কৃষিবিষয়ক সহায়তা উদ্যোগের আওতায় এক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন
করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী,
করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) প্রকল্পের অংশ হিসেবে সম্ভাবনাময় কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে আসছে ইউসিবি পিএলসি।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ও কোম্পানি সচিব এটিএম তাহমিদুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিভির কৃষি-
ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’ -এর জনপ্রিয় উপস্থাপক ও কৃষি তথ্য-বিশ্লেষক রেজাউল করিম
সিদ্দিক। এছাড়াও, আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বরগুনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-
পরিচালক ড. আবু মো. জোবায়দুল আলম, বরগুনার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম,
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন এবং বরগুনার ইউএও মো. মোস্তাফিজুর রহমান।


মোট ১৮৫ জন্য কৃষি উদ্যোক্তা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আধুনিক কৃষি অনুশীলনী সম্পর্কে জানার
সুযোগ পান। অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে বক্তারা অনুষ্ঠানে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, বিপণন
কৌশল ও কৃষি প্রণোদনা সংশ্লিষ্ট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।


অনুষ্ঠানে ইউসিবি পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব এটিএম
তাহমিদুজ্জামান বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিভিন্ন জেলার কৃষি উদ্যোক্তারা
যেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে সফল হতে পারেন এজন্য তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতার মানোন্নয়নে
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করে চলেছে ইউসিবি পিএলসি। আমাদের বিশ্বাস,
এ কর্মসূচি তাদের কৃষি বিষয়ক অনুশীলনী সম্পর্কিত কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে, যা
দীর্ঘমেয়াদে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে ভূমিকা রাখবে।”


ইতোমধ্যেই, ‘ভরসার নতুন জানালা’ প্রকল্পের অধীনে তালগাছ রোপণ, কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ
এবং এআই-চালিত ‘আরও মাছ (মোরফিশ)’ ডিভাইসের মতো কৃষি-সম্পর্কিত স্মার্ট ডিভাইস
বিতরণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪

 প্রবৃদ্ধিশীল ফ্রিল্যান্সিং খাতে গুরুত্বারোপ করে কুমিল্লায় ফ্রিল্যান্সার  মিটআপ

প্রবৃদ্ধিশীল ফ্রিল্যান্সিং খাতে গুরুত্বারোপ করে কুমিল্লায় ফ্রিল্যান্সার মিটআপ

ফ্রিল্যান্সারদের কাজকে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে উপায় ও ইউসিবি

[কুমিল্লা, ০২ মে, ২০২৪] ফ্রিল্যান্সিং খাতের প্রবৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করে সম্প্রতি
ফ্রিল্যান্সার নিয়ে এক মিটআপ আয়োজন করে জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান
উপায় ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। অনুষ্ঠিত এ সভায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের
সাথে সম্পর্কিত নানারকম প্রতিবন্ধকতা এবং ব্যাংকিং সেবা ও সময়োপযোগী সমাধানের মাধ্যমে
সেসব চিহ্নিত করার কথা উঠে আসে।

কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে অবস্থিত কুমিল্লা ক্লাবে সম্প্রতি এই সভার আয়োজন করা হয়।
খাতসংশ্লিষ্ট প্রায় ১শ’ জন ফ্রিল্যান্সার এ সভায় অংশ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেড (উপায়) ও ইউসিবির স্থানীয় শাখার
কর্মকর্তাগণ।

‘ফ্রিল্যান্সার্স কন্ট্রিবিউশন টু বিল্ডিং স্মার্ট বাংলাদেশ অ্যান্ড এমএফএস অ্যাজ গ্রোথ
ফ্যাসিলিটেটর’ শীর্ষক এই সভায় ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত নানান প্রাসঙ্গিক বিষয় উঠে আসে।
ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পর্কিত বিষয় ও স্বীকৃতির অভাবসহ
নানাধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন। সভায় বক্তারা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে
ফ্রিল্যান্সারদের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ এবং একইসাথে, তাদের সহায়তার ক্ষেত্রে ব্যাংক ও
এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
উক্ত সভায় উপস্থিত সবার আলোচনায় ফ্রিল্যান্সারদের কঠোর পরিশ্রম এবং দেশের অর্থনৈতিক
প্রবৃদ্ধিতেও তাদের উল্লেখযোগ্য অবদানের বিষয়টি উঠে এসেছে। উপস্থিত ফ্রিল্যান্সারদের
বক্তব্যে জানা যায় যে, প্রায়শই পেমেন্ট ও স্বীকৃতি সম্পর্কিত নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন
তারা। এক্ষেত্রে, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে
ফ্রিল্যান্সারদের পাশে থাকার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপায় এবং ইউসিবির
কর্মকর্তাগন। উদাহরণ হিসেবে, ইউসিবি স্বাধীন অ্যাকাউন্ট (ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বৈদেশিক

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মুদ্রা অ্যাকাউন্ট) ও এমএফএস প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের সমস্যা চিহ্নিত করতে
নিবিড়ভাবে কাজ করে যাওয়ার পাশাপাশি এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত
করেছেন তারা।


এছাড়া সভায় ফ্রিল্যান্সিং খাতের সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ খাতের সম্ভাবনা,
উন্নয়নের সুযোগ এবং কীভাবে উপায় ও ইউসিবি নানারকম সেবার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের
প্রচেষ্টাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয় সভায়।
উল্লেখ্য, ইউসিবি-উপায় কো-ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড নিয়ে এসেছে উপায়। এই কার্ড দিয়ে
ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে ফান্ড ব্যবহার, অনলাইন ও অফলাইনে মার্চেন্ট পেমেন্ট
এবং বিশ্বের যেকোনো এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা পেওনিয়ার
থেকে পেমেন্ট গ্রহণ এবং উপায় অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সবচেয়ে কম খরচে ক্যাশআউট করতে
পারবেন। বিশেষায়িত এই ফিচারগুলো ফ্রিল্যান্সারদের জীবনকে সহজ ও স্বাচ্ছদ্যদায়ক করতে
অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

 ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ সেশনের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান  আয়োজিত

ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ সেশনের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান আয়োজিত

[ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪] ডিপিএস এসটিএস সিনিয়র স্কুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছে
ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ক্লাস অব ২০২৪-এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান। স্কুল থেকে ২০২৩-২৪
শিক্ষাবর্ষে মোট ১১৪ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।

ক্লাস অব ২০২৪-এর জন্য স্মরণীয় এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার
প্রিন্সিপাল ড. শিবানন্দ সিএস, ভাইস প্রিন্সিপাল তারানা মজিদ আহমেদ, হেড অব মার্কেটিং
অ্যান্ড অ্যাডমিশনস নবমিতা মমতাজ, হেড অব আপার-সেকেন্ডারি সেকশন (৯-১২ গ্রেড) শেগুফতা
হাসান খান, ডিন অব অ্যাকাডেমিকস ফর দ্য আপার-সেকেন্ডারি সেকশন সঙ্গীতা ডিডওয়ানিয়া টংক,
হেড অব লোয়ার-সেকেন্ডারি (৫-৮ গ্রেড) জেসমিন সুলতানা, ডিন অব অ্যাকাডেমিকস ফর দ্য লোয়ার
সেকেন্ডারি ইলহাম আদনান আলম, হেড অব দ্য বিজনেস স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট ও গ্রেড-১২
কোঅর্ডিনেটর আফরিন খান, ৯-১২ গ্রেডের সকল শিক্ষকসহ ডিপিএস এসটিএস সিনিয়র স্কুল
অ্যাডমিন টিমের সদস্য এবং এসটিএস গ্রুপের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।


সূরা তেলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া আয়োজনটিতে শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন
স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল। এরপর, প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল সকল গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীর
হাতে সনদ তুলে দেন। পরে, শিক্ষকদের সাথে সেকশন-ভিত্তিক গ্রুপ ছবি তোলা হয়। এর পাশাপাশি,
সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা ও ব্যাচের ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১২ বছর একসাথে কাটানো
নিয়ে স্কুল ও সহপাঠীদের উৎসর্গ করে আবেগময় স্মৃতিচারণ করেন ক্লাস অব ২০২৪-এর ডিপিএস
এসটিএস ভ্যালিডিক্টোরিয়ান আফনান হায়দার।


এ বিষয়ে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার প্রিন্সিপাল ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর
জন্য গ্র্যাজুয়েশন ডে অত্যন্ত স্মরণীয় মুহূর্ত, যেখানে তারা একটি যাত্রা শেষ করে কঠোর পরিশ্রম
ও অর্জনের মধ্য দিয়ে আরেকটি যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নেয়। তরুণ এই গ্র্যাজুয়েটরা শিক্ষা ও
জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। তারা তাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে যেখানেই থাকুক না কেন
জীবনে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখবে বলে আশাবাদী আমরা।”

 এনার্জিপ্যাকের সাথে চীনের আনহুই প্রাদেশিক গণ-কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

এনার্জিপ্যাকের সাথে চীনের আনহুই প্রাদেশিক গণ-কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

[ঢাকা, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪] চীনের আনহুই প্রাদেশিক গণ-কংগ্রেসের একটি উচ্চপর্যায়ের

প্রতিনিধিদল সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁও এর এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র
করপোরেট অফিস এনার্জি সেন্টার পরিদর্শন করেন। আনহুই প্রাদেশিক গণ-কংগ্রেসের ভাইস
চেয়ারম্যান ওয়েই জিয়াওমিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) ও নবায়নযোগ্য
জ্বালানি সহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও চীনের সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি চীনা প্রতিনিধিদল জাতীয় সংসদ, বিসিসিসিআই (বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স
অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি) ও ডিএনসিসি (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন) পরিদর্শন করেন।


উৎপাদন খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এনার্জিপ্যাকের কমিটমেন্ট হিসেবে এই
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষায়িত যানবাহন (স্পেশাল পারপাস ভেহিকল) ও বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি)
অ্যাসেম্বল ও উৎপাদনের ওপর গুরুত্বারোপ করে জ্যাক ও হেলির মতো বৃহৎ চীনা প্রতিষ্ঠানের
একমাত্র পরিবেশক হিসেবে এনার্জিপ্যাকের চলমান প্রকল্পগুলোর খুঁটিনাটি প্রতিনিধিদলের সামনে
তুলে ধরা হয়।


এ বিষয়ে এনার্জিপ্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন, “বাংলাদেশে আমরা
জ্যাক ও হেলির একমাত্র পরিবেশক। আমরা গত প্রায় দুই দশক ধরে তাদের সাথে কাজ করছি এবং
প্রতিনিয়ত তাদের নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আমাদের বাজারে নিয়ে আসছি। আমরা, ইতিমধ্যে
বিশ্বখ্যাত হেলি ব্র্যান্ডের ইলেক্ট্রিক লিফটিং মেশিনারিজ আনতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতে আরও
নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। খুব শীঘ্রই আমরা পরিবেশবান্ধব টেকসই
বিদ্যুচালিত (ইলেকট্রিক) বাস ও ট্রাক বাজারে আনতে যাচ্ছি।”


উল্লেখ্য, দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রতিনিধিদলের
বাংলাদেশ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরিদর্শনে বাংলাদেশে বিশেষ করে
বিদ্যুৎচালিত গাড়ি, বাণিজ্যিক যানবাহন ও কৃষিপ্রযুক্তির মতো উৎপাদন খাতে আনহুই প্রদেশের
বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় ওয়েই জিয়াওমিং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক
শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বাংলাদেশের চীনা দূতাবাস ও বাংলাদেশ
চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সমন্বয় ও প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা
করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ও আনহুই প্রদেশের মধ্যে ২০২৩ সালে ৩১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের
বাণিজ্য হয়েছে এবং সামনে এই সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে চীনা বিনিয়োগকারীদের প্রবল আগ্রহের বিষয়টি আনহুই
প্রতিনিধিদলের এনার্জিপ্যাক অফিস পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। ভবিষ্যৎ
সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই পক্ষই তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামীতে যা দুই দেশেরই আর্থিক
সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে।

রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

 বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত  হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম

বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম

[ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪] বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শেহজাদ মুনীমের

স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মনীষা আব্রাহাম, যা আগামী ০১ জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। বিএটি
বাংলাদেশের ১১৪ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম নারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে যাচ্ছেন তিনি।
এফএমসিজি (ফাস্ট-মুভিং কনজ্যুমার গুডস) ও তামাক সহ বিভিন্ন খাতে বিপণন ও সাধারণ
ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৩০ বছরের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে মনীষার।
মনীষা গত বছরের মার্চ থেকে বিএটি বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদে একজন অ-নির্বাহী পরিচালক
(নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিএটি গ্রুপের অংশ সিলন
টোব্যাকো কোম্পানি পিএলসি থেকে বিএটি বাংলাদেশে যোগ দিচ্ছেন। সিলন টোব্যাকো কোম্পানিতে
তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কর্মজীবনে তিনি এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের একাধিক দেশে বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৫ সালে আবুধাবিতে কর্মজীবন শুরু করার
আগে মনীষা ভারতের জ্যোতি নিবাস কলেজ থেকে বি.কম ও বিরলা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে
মার্কেটিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিষয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।
এক বার্তায় নতুন এই দায়িত্বের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মনীষা বলেন, “১১৪ বছর ধরে এই
অঞ্চলে কাজ করার ক্ষেত্রে সফলতা ও ইতিবাচক প্রভাবের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে এমন একটি
প্রতিষ্ঠান (বিএটি বাংলাদেশ) নেতৃত্বের জন্য আমার ওপর আস্থা রাখায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
বিএটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির যাত্রা এগিয়ে নিতে ও সর্বোচ্চ সততার সাথে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা
বজায় রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতা ও সরকারের টেকসই উন্নয়ন
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদার হিসেবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। আমার দক্ষতা
ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সকলের জন্য একটি সম্ভাবনাময় আগামী নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে
নেয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী আমি।”
মনীষা আব্রাহাম শেহজাদ মুনীমের স্থলাভিষিক্ত হবেন, যিনি ব্যবসায়িক সফলতা ও দূরদর্শী
নেতৃত্বের মাধ্যমে বিএটি বাংলাদেশে একটি দৃঢ় পরম্পরা তৈরি করেছেন। শেহজাদ মুনিম বিএটি
বাংলাদেশের একজন টেরিটরি অফিসার হিসেবে ১৯৯৭ সালে যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালে
প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। অবিচল
নেতৃত্বের মাধ্যমে শেহজাদ কেবল তার প্রতিষ্ঠানের মানুষদেরই অনুপ্রাণিত করেননি, একইসাথে
দেশের করপোরেট খাতের বাকিদের মধ্যেও স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার বুনন করেছেন।
মনীষা আগামী ০১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু
করবেন। অসাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি তার নেতৃত্ব গুণাবলী প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ও দেশের
প্রবৃদ্ধি অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।

 ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেল প্রাইম ব্যাংক পিএলসি

ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেল প্রাইম ব্যাংক পিএলসি

ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪: কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকান্স্যুরেন্স ব্যবসা শুরুর অনুমতি পেল বেসরকারি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী প্রাইম ব্যাংকের
কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরীর হাতে অনুমোদনের এ চিঠি হস্তান্তর করেন।


অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিআরপিডি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক
মোহাম্মদ আশফাকুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক আশরাফুল আলম। এছাড়াও প্রাইম ব্যাংকের চিফ
ব্যাংকান্স্যুরেন্স অফিসার মিয়া মোহাম্মদ রবিউল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকাস্যুরেন্স মূলত ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব, যেখানে ব্যাংক কর্পোরেট এজেন্ট
হিসেবে বীমা কোম্পানীর পণ্যগুলো তাদের নিজস্ব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রয় করবে। গ্রাহকদের
বিস্তর পরিসরে বিভিন্ন সেবা সরবরাহ এবং সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ন্যাশনাল
লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড-এর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে
প্রাইম ব্যাংক।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে প্রাইম ব্যাংক ব্যাংকান্স্যুরেন্স সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে
গ্রাহকদের ইন্স্যুরেন্সের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৪

 দেশে প্রথমবারের মতো এমএফএস কো-ব্রান্ডেড প্রিপেইড কার্ড নিয়ে এলো উপায় ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল    ব্যাংক পিএলসি

দেশে প্রথমবারের মতো এমএফএস কো-ব্রান্ডেড প্রিপেইড কার্ড নিয়ে এলো উপায় ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি

আর্থিক সেবা এবং লেনদেন হবে এখন আরও স্বাচ্ছন্দ্যে

[ঢাকা, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪] ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র সাথে যৌথ উদ্যোগে মোবাইল আর্থিক

সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান উপায় নিয়ে এসেছে দেশের প্রথম এমএফএস কো-ব্রান্ডেড প্রিপেইড কার্ড।

সম্প্রতি, নতুন এ সেবা চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাজারে প্রচলিত অন্য কার্ডের মত এই কার্ড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া এবং ব্যাংকে না গিয়েই পেতে পারেন

গ্রহকরা। ডুয়েল কারেন্সি সহ ফ্রি লোডের মত অন্যান্য সুবিধা থাকায়, কার্ডটি এর গ্রাহক ব্যবহার করতে

পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যে। এই কার্ডের মাধ্যমে ইউসিবি এবং উপায় আর্থিক সেবায় অন্তর্ভুক্তি এবং আর্থিক

স্বাধীনতার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। কোন কাগজপত্র জমা দেয়ার ঝামেলা ছাড়া ডিজিটাল

পদ্ধতিতে এই কার্ডের আবেদন করতে পারবেন উপায় গ্রাহকগণ। উপায়ের গ্রাহক নিজের অ্যাপ কিংবা

উপায়ের নির্দিষ্ট এজেন্ট পয়েন্ট থেকে এই কার্ডের আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়া, গ্রাহক নিজে কিংবা উপায়ের যেকোন এজন্টের (দেশব্যাপী এক লাখ ত্রিশ হাজারের বেশি এজেন্ট

রয়েছে) মাধ্যমে এই কার্ডে লোড করতে পারবেন। ডুয়াল কারেন্সি সমর্থিত এই প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে

গ্রাহকগণ দেশের পাশাপাশি বিদেশী মুদ্রায় লেনদেনও করতে পারবেন। বিশ্বব্যাপী মার্চেন্টে পেমেন্টের পরিসর

বৃদ্ধিতে কার্ডটি গ্রাহকের জন্য দারুণ সুবিধা নিশ্চিত করবে বলে জানা গেছে। কার্ডটির মাধ্যমে এর

ব্যবহারকারীরা দেশে-বিদেশে এটিএম সুবিধা, মার্চেন্ট পেমেন্ট (অনলাইন ও অফলাইন) এবং ডিজিটাল

মার্কেটিং পেমেন্ট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

টাকা উত্তোলন এবং পেমেন্ট সুবিধা ছাড়াও এই কার্ডে নূন্যতম ব্যাল্যান্স রাখার কোন বাধ্যবাধকতা থাকছে

না। ঘরে বসে কার্ডের আবেদন, কার্ডে লোডের পাশাপাশি এই কার্ডের ব্যাল্যান্স চেক এবং লেনদেন বিবরণীও

গ্রাহক উপায় অ্যাপ থেকে দেখতে পারবেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ডিজিটাল

পেমেন্টের যে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, ইউসিবি-উপায় কো-ব্রান্ডেড এই কার্ড সে যাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত

করতে সহায়তা করবে। শুধু তাই নয়, সামগ্রিকভাবেই কার্ডটির মাধ্যমে উপায় এমএফএস সেবা উপভোগের

অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে।

উপায়:

২০২১ সালের ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘উপায়।‘ বর্তমানে ‘উপায়’

দেশব্যাপী এমএফএস সেবা প্রদান করছে ইউএসএসডি এবং মোবাইল অ্যাপ উভয়ের মাধ্যমে। উপায় এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সব ধরনের

আর্থিক লেনদেন যেমন: ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট ও ই-কমার্স পেমেন্ট; রেমিট্যান্স, বেতন ও

সরকারি ভাতা গ্রহণ এবং মোবাইল রিচার্জ ছাড়াও ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট এবং ভারতীয় ভিসা ফি পেমেন্টের মতো সেবা গ্রহণ করতে

পারছেন।

শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই ই-সিগারেটের লাগাম টানতে হবে, নিষিদ্ধ করা জরুরি- সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই ই-সিগারেটের লাগাম টানতে হবে, নিষিদ্ধ করা জরুরি- সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এখনই ই-সিগারেটের লাগাম টানতে হবে, নিষিদ্ধ করা জরুরি- সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

 সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন”-র সংশোধনী প্রস্তাবে ই-সিগারেটের প্রচার, প্রসার, আমদানি, রপ্তানি, পরিবেশন, বিপণন নিষিদ্ধের প্রস্তাব দেওয়ার পর কয়েকটি বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানি বিভিন্ন উপায়ে দেশে অত্যন্ত ক্ষতিকর এ পণ্যের প্রচারে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ই-সিগারেট উৎপাদন ও প্রসারে সিগারেট কোম্পানির উদ্যোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম সংকটের কারণ হতে পারে। আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর ২০২৩) বিকেল ৩ টায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত ২২টি সংগঠন যৌথভাবে ‘ই-সিগারেট/ভেপিং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি : নিষিদ্ধ জরুরি’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিদেশী সিগারেট কোম্পানি বিএটি  সম্প্রতি বাংলাদেশে ভোক্তাদের আধুনিক জীবনধারার কথা উল্লেখ করে নতুন কিছু আর্ন্তজাতিক মানের পণ্যের আমদানি করার অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে তারা এধরণের পণ্যের চাহিদা নিরুপণে  দেশের বাজারে এসকল পণ্য বিক্রয় করবে এবং পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে এ পণ্যের উৎপাদন, পরিবেশন, বিপণন ও রপ্তানি করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। তাদের এ ধরনের প্রচেষ্টা দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। গণমানুষের কথা চিন্তা করে অতিদ্রুত ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি বিশিষ্ট ক্যান্সার বিষেশজ্ঞ ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক সিগারেট কোম্পানির মিথ্যাচার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কম ক্ষতিকর টার্ম ব্যবহার করে তামাক কোম্পানিগুলো তরুণ-যুবক এবং ধূমপায়ীদের ই-সিগারেটে আকৃষ্ট করছে। ই-সিগারেট কম ক্ষতিকর নয়, বরং খুবই ক্ষতিকর একটি পণ্য। ই-সিগারেটের ব্যবহার ও বাজার সম্প্রসারণের জন্য কোম্পানিগুলো ভ্যাপিং উৎসবের আয়োজন করছে, যা যুব সমাজ নতুন ভাবে অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী এর স্বপক্ষে বিভিন্ন মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডেমোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়ায় ই-সিগারেট বন্ধের সুপারিশ করেছে। দেশের প্রায় ১৫০ জনের বেশি সংসদ সদস্য ই-সিগারেট বন্ধের সুপারিশ করেছে এবং সরকার তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত ই-সিগারেটের প্রচার ও প্রসার খুব বেশি বৃদ্ধি পায়নি। এমতাবস্থায় এখনই ই-সিগারেটের লাগাম টেনে না ধরলে পরবর্তীতে আইন করেও একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। তামাক কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যেই ই-সিগারেট কম ক্ষতিকর এবং এটি ধূমপান ছাড়তে সহায়ক হিসেবে তাদের মিথ্যা প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা আহসানিয়া মিশনের পরিচালক (হেলথ এন্ড ওয়াস) ইকবাল মাসুদ বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (ব্যবহার) নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০০৫ অনুসারে তামাক কোম্পানির সিএসআর এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্রচার নিষিদ্ধ। কিন্তু সিগারেট কোম্পানি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংস্থাকে ব্যবহার করে শুধু আইনভঙ্গই করছে না, ই-সিগারেট প্রমোশনের চেষ্টা করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি বিদেশী সিগারেট কোম্পানি বিএটি ই-সিগারেট প্রসারের লক্ষ্যে গোপনে কাজ করছে এবং ঢাকায় তাদের সহযোগীতায় পরিচালিত প্রায় ৩০ টিরও বেশি ই-সিগারেট দোকান পাওয়া গিয়েছে।

প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, দেশের মানুষকে তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত করে সরকারের উপর চিকিৎসার দায় বাড়িয়ে সিগারেট কোম্পানিগুলো মুনাফার পাহাড় গড়ছে। প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার দেশের বাইরে নানাভাবে পাচার করছে এ সিগারেট কোম্পানি। এ লাভে তারা তুষ্ট নয়, এদেশের মানুষকে আরো বেশি সিগারেটে আক্রান্ত করে, আরো মুনাফার পাহাড় গড়তে ই-সিগারেট/ভেপিং বাজার সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে।

সভাপতিত্ব করেন মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. অরুপ রতন চৌধূরী বলেন, সরকারের তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এসডিজি অর্জনের অঙ্গীকার, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সংবিধানিক দায়বদ্ধতা, আদালতের নির্দেশনার পরও সিগারেট কোম্পানিগুলো এ দেশে আইন লঙ্ঘন করে ব্যবস্থা করছে।  

সংবাদ সম্মেলনে ই-সিগারেট বন্ধে ৯টি সুপারিশ করা হয় ১.বাংলাদেশে ই-সিগারেটের আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন, বিক্রয়, বিপণন, পরিবেশন, বিজ্ঞাপন বা প্রচার-প্রচারণা বন্ধে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; ২. নাটক, সিনেমা, ওয়েব সিরিজে ই-সিগারেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা; ৩. অনলাইন বিজনেস সাইটসহ ই-সিগারেটের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা; ৪. বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আমদানি নীতিতে ই-সিগারেট জাতীয় পণ্য আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করা; ৫. অর্থ বিভাগ ও রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ই-সিগারেট, এর ডিভাইস, ই-লিকুইড, রিফিলসহ এ জাতীয় সকল পণ্যের এইচআর কোড পণ্যের তালিকা প্রত্যাহার করা; ৬. সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশে ই-সিগারেট, ভ্যাপ বা অন্য কোন নতুন নেশা জাতীয় বা তামাক জাতীয় অথবা নিকোটিন আছে এমন কোন পণ্যের অনুমোদন না দেয়া; ৭. ই-সিগারেট প্রসারে কার্যরত সিগারেট কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের গোপন তৎপরতা অনুসন্ধান করে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া; ৮. ই-সিগারেট বা ভেপিং জাতীয় পণ্যের ট্রেডমার্ক বা যে কোন ধরনের নিবন্ধন বাতিল করা; ৯. অতিদ্রুত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত খসড়া পাশ করে বাংলাদেশকে ই-সিগারেট মুক্ত করা।

টিসিআরসির প্রোগ্রাম অফিসার ফারহানা জামান লিজার উপস্থাপনায় সাংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, ডাসের উপদেষ্টা আমিনুল ইসলাম বকুল প্রমুখ। আজকের সংবাদ সম্মেলনটি ২২টি সংগঠন আয়োজন করে।

 

সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বাজারে এল নতুন স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৫১ দারাজ ফ্ল্যাশ সেলে পাওয়া যাবে আকর্ষণীয় দামে

বাজারে এল নতুন স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৫১ দারাজ ফ্ল্যাশ সেলে পাওয়া যাবে আকর্ষণীয় দামে

 

 [ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩] তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি চ্যাম্পিয়ন সিরিজের স্মার্টফোন সি৫১
উন্মোচন করেছে। এই সিরিজের লক্ষ্য কোনো আপোষ ছাড়াই নির্দিষ্ট স্মার্টফোন সেগমেন্টে অবিশ্বাস্য সব
ফিচার নিয়ে আসা। ‘নো লিপ, নো লঞ্চ,’ ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সি৫১ -এ
ব্যবহারকারীদের কাছে প্রয়োজনীয় ফিচারগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ১৫,৯৯৯ টাকা দামের
ফোনটিতে চারটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড নিয়ে আসা হয়েছে।
সি৫১ -এ রয়েছে চমৎকার ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, সুপার-ফাস্ট ৩৩ ওয়াটের সুপারভুক চার্জ এবং
স্টাইলিশ গ্লিটারিং ডিজাইন; আর সাথে থাকছে ৬৪ জিবির স্টোরেজ। উন্মোচন উপলক্ষে দারাজে অনলাইন
ফ্ল্যাশ সেল আয়োজন করেছে রিয়েলমি। নতুন সি৫১ ফোনটি অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে কিনতে পারবেন
আগ্রহীরা। ফ্ল্যাশ সেল চলাকালে, দারাজ ভাউচার ব্যবহার করে সি৫১ কেনা যাবে ছাড়কৃত মাত্র ১৪,৯৯৯
টাকায়। পাশাপাশি, ক্রেতারা বিনাসুদে সহজ মাসিক কিস্তি সুবিধা, এক্সপ্রেস ডেলিভারি ও ব্র্যান্ড ওয়্যারেন্টি
উপভোগ করবেন। আকর্ষণীয় এ অফার উপভোগে ভিজিট করুন: https://cutt.ly/C51FlashSale.
রিয়েলমি সি৫১ স্মার্টফোন মাত্র ২৮ মিনিট চার্জে ৫০ শতাংশ চার্জ হবে। ১০ ওয়াটের সি৩১ স্মার্টফোনের
তুলনায়, সি৫১ এ চার্জিং গতি দ্বিগুণ। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল
ব্যাটারি। সি৫১ -এর চার্জিং পারফরমেন্স ব্যবহারকারীর প্রতিদিনকার ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা করবে
সমৃদ্ধ ও ঝামেলাবিহীন। ফটোগ্রাফি নিয়ে আগ্রহীদের জন্য ডিভাইসটিতে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা,
সাথে এফ/১.৮ অ্যাপারচার এবং একটি ৫ মেগাপিক্সেল লেন্স, যা সকল অ্যাঙ্গেল থেকে এইচডি ছবি তুলতে
ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, যা আনন্দদায়ক মুহূর্তকে নিখুঁত ডিটেইলে
ফ্রেমবন্দী করবে। পাশাপাশি, বিস্তৃত পরিসরের উদ্ভাবনী সব ইমেজ ফাংশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের
পছন্দের স্টাইলে ছবি তুলতে পারবেন সি৫১ দিয়ে।
রিয়েলমি সি৫১ -এ ব্যবহারকারীদের স্টোরেজ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না – দুশ্চিন্তাবিহীন স্মার্টফোন
ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দিতে ফোনটিতে রয়েছে ৬৪ জিবি স্টোরেজ। এর ডায়নামিক র‍্যাম এক্সপানশন প্রযুক্তির
ফলে সিয়েলমি সি৫১ র‍্যাম বৃদ্ধি করা যাবে ৪ জিবি পর্যন্ত এবং ৮ জিবি’র মতো অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি, সি৫১ -এ একইসাথে দু’টি ন্যানো সিম কার্ড এবং ১টি মাইক্রোএসডি ব্যবহার করা যাবে, যার
ফলে স্টোরেজ এক্সপানশন করা যাবে ২ টেরাবাইট পর্যন্ত।
ডিভাইসটির ৭.৯৯ মিলিমিটারের পেছনের অংশে রয়েছে স্টাইলিশ গ্লিটারিং ডিজাইন। ডিভাইসটি পাওয়া যাবে
দু’টি রঙে – মিন্ট গ্রিন ও কার্বন ব্ল্যাক। বিভিন্ন টেক্সচারের সন্নিবেশ এবং সমৃদ্ধ ও নিখুঁত ডিটেইল
স্মার্টফোনটির সামগ্রিক ডিজাইনকে করে তুলেছে আরও ডায়নামিক ও ফ্যাশনেবল। সি৫১ এর ৬.৭৪ ইঞ্চির
ফুল স্ক্রিনের পিক ব্রাইটনেস হচ্ছে ৫৬০ নিটস এবং ফোনটির ওপরে রয়েছে একটি মিনি-ড্রপ নচ; এর ফলে,
ফোনটিতে কিছু দেখার ক্ষেত্রেও স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন ব্যবহারকারীরা। সি৫১ -এ মিনি ক্যাপসুলের
অভিজ্ঞতা পাবেন, যা স্মার্টভাবে ডিসপ্লের সাথে মানিয়ে যায়। ব্যাটারির তিন ধরনের অবস্থা যথা: সম্পূর্ণ
চার্জ অবস্থায় রয়েছে, চার্জ হচ্ছে এবং লো ব্যাটারি – এ তিন ক্ষেত্রে তিন ধরনের ডায়নামিক লাইট দেখা
যাবে। এর পাশাপাশি, ব্যবহারকারীরা ডেটা ইউসেজ ও স্টেপ স্ট্যাট ফাংশনও ব্যবহার করতে পারবেন।


সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩

 পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রিয়েলমি’র ফ্যান ফেস্ট’২৩ অনুষ্ঠিত

পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রিয়েলমি’র ফ্যান ফেস্ট’২৩ অনুষ্ঠিত


 

[ঢাকা, ২৮ আগস্ট ২০২৩] রিয়েলমি সম্প্রতি তাদের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্যান ফেস্ট’২৩
আয়োজন করে। ফর্টিস ডাউনটাউন রিসোর্টে অনুষ্ঠিত এই ফ্যান ফেস্টে ব্র্যান্ডটির লিপ আপ স্পিরিট উদযাপন করতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড।

অল্প সময়ে তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা রিয়েলমির ফ্যানদের সাথে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাফল্যের
আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এই ফ্যান ফেস্টের আয়োজন করা হয়। এ বছরের ফ্যান ফেস্টের থিম ছিল ‘লিপআপ’। এই থিম ব্যবহারকারীদের সকল প্রতিকূলতা উতরে নিজস্ব প্রতিভার বিকাশের মাধ্যমে নিজেদের সুপ্ত প্রতিভা অন্বেষণ করতে অনুপ্রাণিত করবে। এ বছরের উদযাপন অন্য বছরের তুলনায় ছিল অনেক বেশি উৎসবমূখর। নিজেদের মধ্যে (রিয়েলমি কমিউনিটি) যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই আয়োজন।

এই জমকালো আয়োজনে ৪০ জন ফ্যানসহ মোট ৫০ জন অতিথি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় টেকভিউয়ার স্যামজোনও উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টকে আরও আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করে তুলতে ব্যাকইয়ার্ড অবসট্যাকল, জিপ লাইন ও অন্যান্য গ্রুপ টাস্কের আয়োজন করা হয়। এছাড়া, অতিথিদের জন্য ইউআইইউ’র মহোমায়া ব্যান্ড, স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে স্কিলড ব্যান্ড এবং ডিজে নাইরা ডিজে শো পরিবেশন করেন।

এছাড়া, পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রিয়েলমি ফ্যানদের জন্য নিয়ে এসেছে দুর্দান্ত এক ক্যাম্পেইন।
দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজে এই মেগা ডিল উপভোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
রিয়েলমি ফ্যান ফেস্ট পুরো আগস্ট মাস চলবে। ফ্যানফেস্ট ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা সি৩০এস, সি৫৩, সি৫৫, জিটি মাস্টার এডিশন ও বিভিন্ন এআইওটি গ্যাজেট কেনার সময় ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন। ডিভাইসগুলোর সাথে থাকবে ব্র্যান্ড ওয়ারেন্টি এবং ইন্টারেস্টবিহীন ইএমআই সুবিধা। সাথে থাকছে এক্সপ্রেস ডেলিভারি সুবিধা।


রিয়েলমি ফ্যানদের অফুরন্ত ভালবাসার প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এই ফ্যান ফেস্টের আয়োজন করা হয়। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে মাইলফলক অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে ফ্যানদের এই নিঃস্বার্থ ভালবাসা ও সমর্থন।

শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩

জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো এবং সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর পার্টনার গ্রামীণফোন

জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো এবং সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর পার্টনার গ্রামীণফোন

স্বদেশসময়২৪.কম:

                              
[ঢাকা, জুন ১০,২০২৩] গর্বিত টেলিকম পার্টনার হিসেবে জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট, এক্সপো
এবং সিওয়াইই অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এ যুক্ত হয়েছে গ্রামীণফোন। ০৯ এবং ১০ জুন, ২০২৩ তারিখে
ঢাকার আইসিসিবি’তে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে জাতির বহুল আকাঙ্খিত স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর
এবং এর সাথে সম্পৃক্ত নানা দিককে কেন্দ্র করে আলোচনা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা
হয়।
সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন "স্মার্ট বাংলাদেশ" রূপকল্প
বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। স্মার্ট রূপান্তরের দৃঢ় প্রত্যয়কে পুঁজি করে
গ্রামীণফোন গত বছর দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সফলভাবে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করেছে।
এ উপলক্ষে জিপিহাউসে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উদ্বোধনের মাধ্যমে ফাইভজি অগ্রযাত্রার শুভ সূচনা
করেন বিটিআরসি’র সম্মানিত চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। ট্রায়ালের মাধ্যমে গ্রামীণফোন
বর্তমানের ফোরজি সক্ষমতার তুলনায় বহুগুণ বেশি গতির কানেক্টিভিটি অর্জনের বিস্ময়কর
মাইলফলক স্পর্শ করে। গ্রামীণফোনের এই অনন্য অর্জন ফাইভজি সংযোগের সূত্র ধরে স্মার্ট
নাগরিক গঠন এবং স্মার্ট রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপনে সহায়তা করেছে।
অগ্রগতির নিরলস প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় গ্রামীণফোন গত বছর সর্বোচ্চ অনুমোদিত ৬০
মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বরাদ্দ নেয়, যা দেশের মানুষের জন্য প্রতিষ্ঠানটির অনন্য ডিজিটাল
সম্ভাবনা তৈরির দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। পাশপাশি, নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ, নতুন
টাওয়ার চালু করা, ক্রমান্বয়ে অতিরিক্ত স্পেকট্রাম কাজে লাগানো এবং গত বছর ফাইবারাইজেশন ও
দ্বিগুণ করেছে গ্রামীণফোন। অবকাঠামোগত বিনিয়োগের বাইরেও গ্রামীণফোন একটি সমৃদ্ধশালী
ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং অন্যান্য
সরকারি বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারি নানা সংস্থার সাথে সক্রিয়ভাবে অংশীদারিত্বের সম্পর্ক
স্থাপন করে চলেছে। সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন দেশের স্মার্ট রূপান্তর
এবং ডিজিটাল উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের সমমনা ব্যক্তিদের মাঝে আন্তঃসংযোগ স্থাপন ও উদ্ভাবনী ধারণা বিনিময়ের
সুযোগ তৈরির পাশপাশি প্রযুক্তির নতুন নতুন ধারা অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ
গঠনের জন্য নিজেদের প্রস্তুতি ও দক্ষতা মূল্যায়নের অনন্য এক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে
জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট। আয়োজনে তরুণ উদ্যোক্তা, পেশাদার, বিনিয়োগকারী, নীতি
নির্ধারক এবং ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরাও অংশগ্রহণ ছিল উন্মুক্ত। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি
প্রধান স্তম্ভকে কেন্দ্র করে আয়োজনে চারটি তথ্যবহুল সেশন পরিচালিত হয়। গ্রামীণফোনের
প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান একটি সেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায়
তিনি আগামীর বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য স্মার্ট নাগরিকদের আইসিটি জ্ঞানের
কার্যকরী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেন।
ইয়াসির আজমান বলেন, “একটি স্মার্ট জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের অন্যতম পূর্বশর্ত হল
কানেক্টিভিটির মত মৌলিক চাহিদার যথাযথ পূরণ – যে ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন শতভাগ
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন স্মার্ট নাগরিকেরা একটি
ভবিষ্যতমুখী, দায়িত্বশীল সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন। শুরু থেকেই আমরা ডিজিটাল দক্ষতার

ক্ষেত্রে বিভাজন কমিয়ে আনার লক্ষ্যে, তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতমুখী করে তুলতে,
ফ্রিল্যান্সার এবং আম-চাষী থেকে আরম্ভ করে হাতিয়ার মত বিচ্ছিন্ন ও প্রত্যন্ত জনপদে বিভিন্ন
মানুষের ক্ষমতায়নে কানেক্টিভিটি সুবিধা নিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি, ব্যক্তি এবং ব্যবসায় উভয়
পরিসরে ই-সিম এবং ফাইভজি সেবার মতো নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবনের নেতৃত্ব দিয়েছি।
বিভিন্ন কমিউনিটিকে পরিবর্তনের চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত করে আমরা বাংলাদেশকে আগামীর
বিশ্বের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে প্রস্তুত হয়ে উঠতে সক্ষম করে তুলতে চাই”।
তিনি আরও বলেন, “আমি আশাবাদী, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে এবং আমাদের
দীর্ঘদিনের স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ উন্নত ক্ষমতার
পাওয়ারহাউজ হয়ে উঠবে”।
আয়োজনে গ্রামীণফোনের নিজস্ব প্যাভিলিয়নে (প্যাভিলিয়ন নং এমপি০০৪) দর্শনার্থীরা ইমারসিভ
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও রোবোটিক হাতের সাথে যোগাযোগের মত ফাইভজি প্রযুক্তি সমর্থিত নানা
প্রদর্শনীতে মুগ্ধ হন। চিকিৎসা, কৃষি, অবকাঠামো ও বিনোদনের মত বিভিন্ন খাতে ফাইভজি
প্রযুক্তির অনন্য রূপান্তর সক্ষমতা জানার পাশপাশি মাইজিপি অ্যাপের ডিজিটাল বইমেলা সহ
স্টলের নানা ফিচার উপভোগ করেন তারা।
জেসিআই স্মার্ট বাংলাদেশ সামিটে গ্রামীণফোনের অংশগ্রহণ মূলত উন্নত কানেক্টিভিটির অপার
সম্ভাবনাকে ভিত্তি করে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। গ্রামীণফোন ব্যক্তি ও সমাজের সহযোগিতা, উদ্ভাবন এবং
ক্ষমতায়ন চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যা দেশকে ক্রমশ ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে পরিচালিত
করতে সক্ষম।

সোমবার, ৮ মে, ২০২৩

 দেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতের জন্য মাসব্যাপী সেমিনার আয়োজন হুয়াওয়ের

দেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতের জন্য মাসব্যাপী সেমিনার আয়োজন হুয়াওয়ের

 দেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতের জন্য মাসব্যাপী সেমিনার আয়োজন হুয়াওয়ের

[ঢাকা, ৮ মে, ২০২৩] বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি ইক্যুইপমেন্ট ও সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে
বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিকম খাতের সহযোগীদের জন্য মাসব্যাপী সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন
করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ‘গাইড টু দ্য ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই
সেমিনারে বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক বর্তমান বিশ্বের নতুন অনেক উদ্ভাবন ও সল্যুশন নিয়ে আলোচনা
করা হবে।
এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে: গাইড (জিইউআইডিই), যার পূর্ণ রূপ হচ্ছে: গিগাভার্স ইনিশিয়েটিভ,
আল্ট্রা-অটোমেশন স্পিডআপ, ইনটেলিজেন্ট কম্পিউটিং অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অ্যাজ আ সার্ভিস,
ডিফারেনশিয়েটেড এক্সপেরিয়েন্স অন ডিমান্ড, ও এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভার্নেন্স। আগামী
কয়েক সপ্তাহ হুয়াওয়ে-সহ এইসকল খাতের অন্যান্য অংশীজনরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, প্রয়োগ
ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
রাজধানী ঢাকার গুলশানে অবস্থিত হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের প্রথম দিনে একটি
মিডিয়া সেশন আয়োজন করা হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া অফিসের প্রিন্সিপাল
মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান এবং হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ম্যানেজার এস এম নাজমুল হাসান বলেন, “বিভিন্ন খাতে দৈনন্দিন
কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, টেকসই
উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ও ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আমাদের সঠিক প্রযুক্তিগত সমাধান
চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে সে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। উদ্ভাবন হুয়াওয়ের মূল চালিকাশক্তি; আমাদের
প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকেরও বেশি কর্মী গবেষণা ও উন্নয়ন (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- আরঅ্যান্ডডি)
কর্মী হিসেবে নিয়োজিত। আমাদের বিনিয়োগের একটি বড় অংশই ব্যয় হয় গবেষণা ও উন্নয়নে। শুধুমাত্র ২০২২
সালেই আমাদের আয়ের ২৫.১ শতাংশ (প্রায় দুই লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা) গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ
করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের সমাধান ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে আমরা বিস্তৃত
অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। বাংলাদেশের ইকোসিস্টেমের জন্যও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন উদ্ভাবন ও
খাতের অগ্রগতির ক্ষেত্রে মত বিনিময় আমাদের দেশের রূপান্তরে ও দেশকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা
পালন করবে আমাদের বিশ্বাস। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে আমরা আরেকটু
এগিয়ে যাবো।”
বিভিন্ন খাতের অতিথিদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অতিথিরা পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী এসে
আয়োজনটি ঘুরে দেখবেন ও হুয়াওয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সরাসরি অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, হুয়াওয়ে বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর এমার্জিং মার্কেটস, ফাইভজি ইন্ডাস্ট্রি চ্যালেঞ্জ, বেস্ট
মোবাইল টেকনোলোজি ব্রেকথ্রু ও বেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য এমডব্লিউসি
বার্সেলোনা ২০২৩ ফর গ্লোমো’র চারটি পুরস্কার অর্জন করেছে।


 বাংলাদেশে নতুন আংগীকে নতুন সাজে বৃহত্তম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া Mfacelook

বাংলাদেশে নতুন আংগীকে নতুন সাজে বৃহত্তম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া Mfacelook

 স্বদেশসময়২৪.কম:

Mfacelook হলো একটি বিশ্বের সর্ব বৃহত্তর সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইট কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি যা ব্যবহারকারীদের কাছে।যারা বিনামূল্যে প্রোফাইলে সাইন-আপ করে বন্ধুদের সাথে, কাজের সহকর্মী,আত্মীয় এবং অচেনা বন্ধুদের সাথে সংযোগ স্থাপনের অনুমতি দেয়।Mfacelook ব্যবহারকারীদের ছবি,ভিডিও,সংগীত,বানী এবং নিবন্ধন করার পাশাপাশি নিজস্ব চিন্তাধারা,অনুভুতি এবং মতামত প্রকাশ শেয়ার করার অনুমতি দেয় যদিও এটি অনেক জনসংখ্যা পছন্দ করে।Mfacelook হল একটা অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং নেটওয়ার্ক সাইট ও বাংলাদেশী কোম্পানি মালিকানাধীন সামাজিক নেটওয়ার্ক পরিষেবা। ২৬শে মার্চ ২০২৩ইং মোঃ মাসুদ হাসান সিইও ও সহপ্রতিষ্ঠাতা আনুষ্ঠানিক ভাবে Mfacelook চালু করেন। 

 Mfacelook কোম্পানির মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের জন্য অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কর্মীদের নিযুক্ত করেছে।কোম্পানি বিশ্বাস করে যে গ্রাহকের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সোস্যাইল সাইট এবং প্রক্রিয়াকরনের নিশ্চিত করা যায় যা যেকোন সমস্যা সমাধান করে দেয়। একটি নিখুত কাজ করার জন্য এই এই ধরনের বুঝাপড়ার জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান,প্রশিক্ষন এবং অভিজ্ঞতা থাকা লোকদের প্রয়োজন হয় নিযুক্ত করা হয় এবং ভিতরে বিকাশও করা হয়।

Mfacelook এর মিশন হল বিশ্বের সেরা গ্রাহক অভিজ্ঞতা পরিবেশন করে সোশ্যাল মিডিয়া সেক্টরে সব চেয়ে সফল স্পোশযাল মিডিয়া সাইট কোম্পানী হওয়া। ফ্রিলন্সারদের জন্য Mfacelook একটি নতুন এবং উন্নত দ্বার উম্মচন করতে যাচ্ছে। যেখানে আপনি খুব সহজেই আপনার কাঙ্ক্ষিত কাজটি পেয়ে যাবেন। সুতরাং আর নয় চাকরীর পিছনে ছুটা এখন চাকুরী আপনার পিছনে ছুটবে তাই Mfacelook এ খুব দ্রুত ফ্রি সাইন-আপ করুন খুব সহজেই গুগল প্লে-ষ্টোর থেকে। Mfacelook তার ব্যাবহারকারীদের বহুবিদ আয়ের সুযোগ নিয়ে আসছে খুব দ্রুত।

Mfacelook এর লক্ষ্য হলো বিশ্বের সবচেয়ে প্রশংসিত এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির মধ্যে থাকা, আন্তর্জাতিক মানের কাস্টমার কেয়ার এবং সেখানে সমস্ত ব্যভারকারীর জন্য উচ্চতর মান তৈরি করা।

রবিবার, ৭ মে, ২০২৩

"ওয়াশ ফর আরবান পুওর প্রকল্প" এর রিতীয় ধাডপর চুরি স্বাক্ষর ও যাত্রা শুরু, উপকৃত হবেণ সহস্রারধক মানুষ

"ওয়াশ ফর আরবান পুওর প্রকল্প" এর রিতীয় ধাডপর চুরি স্বাক্ষর ও যাত্রা শুরু, উপকৃত হবেণ সহস্রারধক মানুষ

  স্বদেশসময়২৪.কম: 

 [ঢাকা, ০৭ মে’২০২৩] বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের সাথে অংশীদারিত্বে ‘ওয়াশ ফর আরবান পুওর (ওয়াশফরআপ) প্রকল্প’ এর দ্বিতীয় ধাপ উন্মোচন করেছে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ। ‘ওয়াশফরআপ ফেইজ ২ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পটি দেশের নির্দিষ্ট কিছু শহরাঞ্চলের পরিবেশের সামগ্রিক অবস্থা ও এর টেকসই-সক্ষমতার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। রাজধানীর গুলশান ২-এ অবস্থিত সুইডেন দূতাবাসে এই প্রকল্পেরচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাসের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এর হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ও ডেপুটি হেড অব মিশন, মারিয়া স্ট্রিডসম্যান এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনসংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান।


তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটি বিগত বছরগুলোয় ব্যবহৃত সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ
দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে। প্রকল্পটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, পাইকগাছা, সখিপুর ও সৈয়দপুরে বাস্তবায়িত
হবে। প্রকল্পটির লক্ষ্য হল সমাজে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং
জলবায়ু-সহনশীল এবং ওয়াশ কার্যক্রমে সকলের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্ট
সমস্যা লাঘব করা।


প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বসবাসকারী মানুষ, বিশেষত নারীদের জীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।নারীদের প্রায়শই দীর্ঘ সময়ের জন্য পানি বোঝাই পাত্র বহন করতে হয়, যা তাদের স্বাস্থ্যের ওপর
নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হল সবাই, বিশেষ করে যারা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়
বসবাস করছেন, তাদের প্রয়োজনে জরুরি সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখা। সেই সাথে, প্রকল্পটি পথচারী ও নগরবাসীর সুবিধাতেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। এর মাধ্যমে ৯৫ লাখ
পাবলিক-পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা ব্যবহারকারী এবং ১৮ হাজার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মী, সংশ্লিষ্ট
সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তাদের পরিবারের সদস্যগণ উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ পাবেন। পাশপাশি, ১৫ হাজার মানুষ এর ফিকাল স্লাজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এফএসটিপি)-র মাধ্যমে নিরাপদে পরিচালিত স্যানিটেশন পরিষেবা পাবেন, এবং ৪ হাজার পরিবার সরাসরি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহায়তা পাবেন।
এ প্রসঙ্গে ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর, হাসিন জাহান বলেন, “বাংলাদেশে ওয়াশফরআপ প্রকল্পের
দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য সুইডেন দূতাবাসের সাথে আমাদের যৌথ প্রচেষ্টাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিভিন্ন সামাজিক সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ)সুবিধা নিশ্চিত করা এবং এ প্রসঙ্গে সচেতনতা গঠনের লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা সমূহের উল্লেখযোগ্যপ্রভাব ইতোমধ্যেই পরিলক্ষিত হচ্ছে, এবং দেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও উন্নত করতে এই অগ্রগতিঅব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।

শনিবার, ৬ মে, ২০২৩

  প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা

প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ৩ হাজার ৭৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা

স্বদেশসময়২৪.কম: [ঢাকা, ০৬ মে, ২০২৩] 

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিক: সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও  শক্তিশালী ইবিআইটিডিএ মার্জিন নিয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি 

২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে ৩,৭৩৪.৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৮ শতাংশ বেশি। প্রথম তিন মাসে ১০ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোনের সাথে যুক্ত হয়েছেন, ফলে বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৪.৩ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন, যা গত প্রান্তিকের চেয়ে ০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশে গ্রাহকদের সেবা
প্রদানের এবং সমাজের ক্ষমতায়নের ২৫ বছর উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন। এ মাইলফলক নিয়ে
আমরা ২০২৩ সালে প্রবেশ করেছি। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি এবং ছয় মাস শেষে, নিয়ন্ত্রক
সংস্থা গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা ও গ্রাহক সন্তুষ্টি বারবার মূল্যায়নের পরে
গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। আমাদের সিম বিক্রি পুনরায়
চালু হওয়ার পরে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা আবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসে এবং আমরা ৮
কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের অব্যাহত নেটওয়ার্কে বিনিয়োগের কারণে তরঙ্গ ও সাইট চালু
করার ক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটে। আমরা আমাদের ফাইবার কানেক্টিভিটি
দ্বিগুণ করেছি এবং সবমিলে ২০ হাজারের বেশি সাইট চালু করেছি। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত উপযোগী
ডেটা নেটওয়ার্কের ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের জন্য উন্নতর
অভিজ্ঞতা প্রদান এবং দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। প্রোডাক্ট
পোর্টফোলিও উন্নত করতে আমরা উল্লেখযোগ্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি – একে আরও
স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও গ্রাহকদের জন্য আরও উপযোগী করে তোলা হয়েছে। আমাদের সেবাগুলো
যেনো আরও গ্রাহক-কেন্দ্রিক ও কার্যকরী হয় তা নিশ্চিতে এবং আমাদের গ্রাহকদের
ক্রমবর্ধ্মান চাহিদা মেটাতে এটা জরুরি ছিল। আমাদের চলমান আধুনিকায়ন ও রূপান্তর যাত্রায়
ইতিবাচক ফল আসা শুরু হয়েছে, যা আমাদের সক্ষমতা, দক্ষতা, টুলস ও অংশীদারিত্বের
সমন্বয়ে ভবিষ্যতের উপযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে। আমাদের ভবিষ্যৎ
প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে আমরা নিরলস কাজ করে যাবো।”

গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার বলেন, “২০২৩ সালের
প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী আর্থিক ফলাফল প্রদান করছে।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার
মতো নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ও ইবিআইটিডিএ’র ক্ষেত্রে
টানা আট প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে গ্রামীণফোন। দৈনিক সাবক্রিপশন ও ট্র্যাফিক
রাজস্বে ২.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কারণে এ প্রান্তিকে মোট রাজস্ব ২.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে
দাঁড়িয়েছে ৩৭৩৪.৮ কোটি টাকায়। ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে বছরপ্রতি ডেটা রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে
১৪.২ শতাংশ, যা সাবস্ক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রাজস্ব প্রবৃদ্ধির পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে
কাজ করেছে।”

“৬১ শতাংশ মার্জিন নিয়ে ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ বৃদ্ধি
পেয়েছে ২.৭ শতাংশ। ২০.৯ শতাংশ মার্জিন নিয়ে এ প্রান্তিকে নিট মুনাফা হয়েছে ৭৭৯.৭ কোটি
টাকা। গত বছর তরঙ্গ অধিগ্রহণের উচ্চ অবচয়, নতুন সাইট চালু করা এবং বেশি আর্থিক
ব্যয়ের কারণে বছরপ্রতি নিট মুনাফার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। এ প্রান্তিকে ফোরজি
নেটওয়ার্ক, কাভারেজ বিস্তৃতি ও তরঙ্গ স্থাপনে গুরুত্বারোপ করে গ্রামীণফোন মূলধন ব্যয়
(লাইসেন্স, লিজ ও এআরও ব্যতীত) হিসেবে ৬৯১.২৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।

 চ্যাম্পিয়ন সিরিজের সি৩৩ ফোনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এলো রিয়েলমি

চ্যাম্পিয়ন সিরিজের সি৩৩ ফোনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এলো রিয়েলমি



স্বদেশসময়২৪.কম: [ঢাকা, ০৫ মে, ২০২৩] 

 তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি এর চ্যাম্পিয়ন সিরিজ থেকে সি৩৩
ফোনের ৪ জিবি র‍্যাম ও ১২৮ জিবি রম সহ একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট বাজারে নিয়ে এসেছে। স্টাইলিশ এই ডিভাইসটিতে রয়েছে ৮.৩ মিলিমিটার আলট্রা স্লিম বাউন্ডলেস সি ডিজাইন।

ডিভাইসটির স্লিম ডিজাইনের কারণে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই ফাস্ট সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের নাগাল পাবেন। এই ডিজাইনের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর ডায়নামিক ভিজ্যুয়াল লাইট ইফেক্টের কারণে ডিভাইসটি বিভিন্ন দিক থেকে অনিন্দ্য সুন্দর দেখায়। পাশাপাশি যারা আধুনিক ডিজাইন পছন্দ করেন তাদের জন্য অ্যাকুয়া ব্লু ও যারা ক্লাসিক ডিজাইন পছন্দ করেন তাদের জন্য নাইট সি, এই দু’টি রঙে পাওয়া যাচ্ছে স্টাইলিশ রিয়েলমি সি৩৩ স্মার্টফোনটি। ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৫ ইঞ্চি এইচডি+ এলসিডি ডিসল্পে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য দুর্দান্ত দেখার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে ঝকঝকে পরিস্কার  এইচডি রেজ্যুলুশন ও স্মুথ রিফ্রেশ রেট।

ডিভাইসটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল মেইন ক্যামেরা, যা ৩০ এফপিএসে (ফ্রেম পার সেকেন্ড) ১০৮০
পিক্সেলের ভিডিও ধারণে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, যা ৩০ এফপিএসে ৭২০ পিক্সেলের ভিডিও ধারণে সক্ষম। এই ক্যামেরাগুলো ব্যবহারকারীদের দিচ্ছে একদম নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তোলার নিশ্চয়তা। এছাড়া, ডিভাইসটিতে ব্যবহৃত সিএইচডিআর অ্যালগরিদম টেকনোলোজির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত দিনের আলোতেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে পারবেন।
রিয়েলমি সি৩৩ ফোনের নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে আরও রয়েছে ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি।

ডিভাইসে সারা দিন চার্জ থাকার নিশ্চয়তা দিচ্ছে শক্তিশালী এই ব্যাটারি। এই ফোনে আরও আছে ৩৭ দিন
পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই সুবিধা। শক্তিশালী এই ব্যাটারির মাধ্যমে ব্যাবহারকারীরা মাত্র একবার চার্জ দিয়েই
৩৬.৭ ঘণ্টা পর্যন্ত কথা বলার সুযোগ পাবেন; পাশাপাশি, ৮৪.৭ ঘণ্টা একটানা গান শোনা যাবে এবং ভিডিও কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। মাত্র ৫ শতাংশ চার্জেও ডিভাইসটি ৪৩.৬ ঘণ্টা পর্যন্ত সচল থাকবে।৪ জিবি র‍্যাম ও ১২৮ জিবি রম সহ নতুন ভ্যারিয়েন্টের এই রিয়েলমি সি৩৩ স্মার্টফোন এখন পাওয়া যাচ্ছেমাত্র ১৫,৯৯৯ টাকায়।

শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩

চীনা বাজারে আসছে রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি সিরিজ, সাথে নতুন মাস্টার ডিজাইন

চীনা বাজারে আসছে রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি সিরিজ, সাথে নতুন মাস্টার ডিজাইন

স্বদেশসময়২৪.কম:
[ঢাকা, ২৯ এপ্রিল ২০২৩] তরুণ প্রজন্মের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি চীনা বাজারে নিয়ে আসছে এর নতুন ১১ প্রো ফাইভজি সিরিজ। সম্প্রতি ব্র্যান্ডটি এই সিরিজের অফিসিয়াল লঞ্চের তারিখ নিশ্চিত করেছে। রিয়েলমি ১১ প্রো+ ফাইভজি ও রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি এই দু’টি ভ্যারিয়েন্টে আগামী ১০ মে চীনা বাজারে উন্মেচিত হবে এই সিরিজের ফোন। রিয়েলমি ডিজাইন স্টুডিও এবং গুচি’র প্রাক্তন প্রিন্টস ডিজাইনার ম্যাটিও মেনোটো যৌথভাবে তৈরি করেছে আকর্ষণীয় নতুন মাস্টার ডিজাইন। এই ডিজাইনের ব্যাকে আছে লাইচি লেদার এবং ক্যামেরা মডিউলের চারপাশে আছে লেইসের মতো স্ট্রিপ, যা সরাসরি স্মার্টফোনের নীচের দিক পর্যন্ত বর্ধিত। মিলান শহরের অপরূপ সৌন্দর্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ফোনের রঙ ডিজাইন করা হয়েছে। সূর্য উদয়ের সময় মিলানের বিভিন্ন স্থাপত্যের নান্দনিক সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়, সেই সৌন্দর্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই ফোনে সানরাইজ বেইজ রঙ নিয়ে আসা হয়েছে। সাথে আছে আরও দু’টি আকর্ষণীয় রঙ - ওয়েসিস গ্রিন এবং অ্যাস্ট্রাল ব্ল্যাক। রিয়েলমি ডিজাইন স্টুডিওর সাথে যৌথভাবে ম্যাটিও রিয়েলমি ১১ প্রো ফাইভজি’র টেক্সচার ও প্রিন্টস ডিজাইন করেছে এবং এই ফোনে বিলাসবহুল অনুষঙ্গে দেখা যায় এমন কারুকাজ সংযোজন করা হয়েছে। প্রিমিয়াম লিচি লেদার ব্যাক ছাড়াও, প্রিমিয়াম অনুভূতি নিশ্চিত করতে এই ফোন ডিজাইন করার সময় ব্যবহার করা হয়েছে থ্রিডি-কটিউর লেভেল সিম এবং এই খাতের প্রথম থ্রিডি ওভেন টেক্সচার টেকনিক। রিয়েলমি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যে জানতে চোখ রাখুন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩

উদ্ভাবনে অবদানের জন্য দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করলো  অপো

উদ্ভাবনে অবদানের জন্য দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করলো অপো

স্বদেশসময়২৪.কম:
[ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩] উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্টফোন খাতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্প্রতি দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে অপো। ২০২৩ এডিসন বেস্ট নিউ প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডস – এ এআর ক্যাটাগরিতে অপো এয়ার গ্লাস সিলভার পুরস্কার অর্জন করেছে। এছাড়া, বিজনেস মিডিয়া ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত এ বছরের এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো। গত ২০ এপ্রিল ফ্লোরিডায় এই অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়। বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পণ্য, ডিজাইন এবং প্রযুক্তি এই তিনটি ক্ষেত্রে স্বীকৃতি প্রদানকারী বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি এডিসন অ্যাওয়ার্ডস, যা বিখ্যাত উদ্ভাবক টমাস এডিসনের সম্মানে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ৩০০০ জনের বেশি সিনিয়র বিজনেস এক্সিকিউটিভস ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত প্যানেল কন্সেপ্ট, ভ্যালু, ডেলিভারি ও ইম্প্যাক্ট – এ চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই এডিসন অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিজয়ী নির্বাচন করে। উদ্ভাবনী ডিজাইন ও নিজস্ব প্রযুক্তির জন্য অপো এয়ার গ্লাস এই প্রতিযোগিতায় সিলভার জিতে নিয়েছে। বিশ্বের প্রথম ডিট্যাচেবল মনোকল এআর গ্লাস অপো’র এই এয়ার গ্লাস। এর ওজন মাত্র ৩০ গ্রাম, যার ফলে এটি অনেক আরামদায়ক এবং সারাদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক। ডিভাইসটিতে অপো’র স্পার্ক মাইক্রো প্রজেক্টর, অত্যাধুনিক মাইক্রো এলইডি এবং ডিফ্র্যাকশন অপটিক্যাল ওয়েভগাইড ডিসপ্লে সহ বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে অপো এয়ার গ্লাসে নোটিফিকেশন, নেভিগেশন, টেলিপ্রম্পটার এবং রিয়েল-টাইম অনুবাদের মতো ফিচার ব্যবহার করা যাবে। ২০২১ সালে উন্মোচিত এয়ার গ্লাসটি গত বছর রেড ডট ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড এবং আইএফ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। সবার জন্য সেরা প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অপো গত বছরের ইনো ডে ২০২২ ইভেন্টে এই ডিভাইসের একটি আপগ্রেডেড সংস্করণ, অপো এয়ার গ্লাস ২, উন্মোচন করে। উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাহায্যে অপো এয়ার গ্লাস ২ আরও বেশি ব্যবহারকারীর জন্য স্মার্ট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে। এছাড়া, ফাস্ট কোম্পানি দ্বারা প্রকাশিত এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর (২০২৩) তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো। ফাস্ট কোম্পানির সম্পাদকীয় দল প্রতি বছর বিভিন্ন বিভাগে সেরা উদ্ভাবক নির্বাচন করতে শত শত কোম্পানির উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মূল্যায়ন করে থাকে। অপো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন একটি সিস্টেম-লেভেল ব্যাটারি হেলথ অপ্টিমাইজিং সলিউশন। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ডেড লিথিয়ামের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি। অপো’র এই দুর্দান্ত ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন ১,৬০০টি চার্জ সাইকেলে ব্যাটারির সক্ষমতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বজায় রাখতে পারে। ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ মূলমন্ত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অপো ব্যবহারকারী-বান্ধব উদ্ভাবন নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) অপো সুপারভুক এস পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ, পরিবেশ-বান্ধব জিরো- পাওয়ার ট্যাগ এবং ম্যারিসিলিকন ওয়াই ফ্ল্যাগশিপ ব্লুটুথ অডিও এসওসি সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উন্নত পণ্যের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জীবনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে অপো। এডিসন বেস্ট নিউ প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডস নিয়ে আরও জানতে ভিজিট করুনঃ https://edisonawards.com/2023-winners-dev/ । ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত শীর্ষ ১০টি এশিয়া- প্যাসিফিক কোম্পানি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ https://www.fastcompany.com/90846729/most-innovative-companies-asia-pacific-2023 ।