স্বদেশ সময় প্রতিবেদক

স্বদেশ সময় প্রতিবেদক
ভালোবাসার ছায়ায় শিক্ষার আলো
স্বপ্ন দেখে যারা বইয়ের পাতায়, কলমের আঁচড়ে, সেইসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে আজ হাসি ফুটেছে—স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, নরসিংদী শাখার আঙিনায়।
১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার, সকাল ১০টায়
স্থান: স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, নরসিংদী
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আন্তরিক প্রয়াসে অনুষ্ঠিত হলো এক মহতী আয়োজন—শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, একবেলা আহার ও অভিভাবক সমাবেশ।
শত শত নিষ্পাপ মুখের আনন্দে মুখর ছিলো পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
এই আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন, যিনি শুধু একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেননি—নির্বাক শিশুর স্বপ্নে রেখেছেন আশার আলো।
উপস্থিত ছিলেন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ, ভাইস-চেয়ারমযান-জান্নাতুন নাঈম ইরা , যুগ্ম মহাসচিব মো. বাবুল হোসেন, মো. আকবর হোসেন নান্নু, পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাগর, নরসিংদী শাখা প্রধান কান্তা শেখ এবং শিক্ষকবৃন্দ সান্তা শেখ, সানজিদা আক্তার, রুমিসহ আরও অনেকেই।
অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার গুরুত্ব, সন্তানদের ভবিষ্যৎ গঠন এবং সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে সংবেদনশীল আলোচনা হয়। শিক্ষকদের হাতে, অভিভাবকদের আশ্বাসে ও অতিথিদের ভালোবাসায় দিনটি হয়ে ওঠে সত্যিকারের "আলোকিত দিন"।
চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন-এর হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্য বলেন:
“আজ যখন দেখি, ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের চোখে স্বপ্নের দীপ্তি—তখন মনে হয়, আমাদের পরিশ্রম সার্থক। এই শিশুরা একসময় পথে ঘুরে বেড়াতো, বই খাতা ছিল না, ছিল না কোনো ঠিকানা। আজ তারা স্কুলের বেঞ্চে বসে, কলম ধরে, স্বপ্ন আঁকে।স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন শুধুমাত্র একটি স্কুল নয়—এটি ভালোবাসার প্রতীক, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন।
আমি বিশ্বাস করি, একটা বই, একমুঠো খাবার আর একটু ভালোবাসা যদি দিতে পারি—তবে আমরা একটি প্রজন্ম বদলে দিতে পারবো। আমাদের এই যাত্রায় আপনারা পাশে থাকুন, তাহলেই শিশুগুলো আলোর মুখ দেখবে।”
আকবর হোসেন নান্নু- বলেন :
“এই শিশুদের চোখের দিকে তাকালেই বুঝি, তারা কী চায়—একটু মমতা, একটু সুযোগ, একটু আলোর পথ।
আমরা চেষ্টা করি তাদের সেই পথটা দেখাতে। প্রতিদিন যখন দেখি কেউ একজন নিজের নাম লিখতে শিখেছে, ছোট্ট করে একটা কবিতা বলছে, তখন বুকটা গর্বে ভরে যায়।
এই স্কুল শুধু আমাদের দায়িত্ব নয়, এটা আমাদের হৃদয়ের টান। যতদিন বাঁচি, ততদিন এসব নিষ্পাপ মুখের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাবো।
ভাইস-চেয়ারমযান-জান্নাতুন নাঈম ইরা বলেন :
আমরা চাই না তারা দয়া পাক, আমরা চাই তারা অধিকার পাক—শিক্ষার অধিকার, ভালো থাকার অধিকার।”
এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়—একটি বই, একটি খাতা, একটি কলম আর কিছু ভালোবাসা বদলে দিতে পারে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ।
🌍 জলবায়ু পরিবর্তনের আমাদের করণীয়, ✍️ মো. আকবর হোসেন
জলবায়ু পরিবর্তন আজ বৈশ্বিক সংকট। উষ্ণতা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়া, অনিয়মিত বৃষ্টি, খরা, ঘূর্ণিঝড়—এসবই এর ভয়াবহতা প্রতিনিয়ত আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আজ শুধু সচেতনতা নয়, বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণও জরুরি।
বিশ্বের ধনী ও উন্নত দেশগুলো যতটা দায়ী শিল্পায়নের জন্য, ততটাই দায় আমাদেরও নিজেদের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার জন্য। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের নিতে হবে কিছু তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ।
করণীয়:
১️. ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা গড়ে তোলা:
প্রতিদিনকার ছোট ছোট অভ্যাস—বিদ্যুৎ অপচয় না করা, পানির অপচয় রোধ, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো ইত্যাদি—বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।
২️. গাছ লাগানো ও সবুজায়ন:
প্রতিটি মানুষ বছরে অন্তত ২টি গাছ লাগালে দেশের বনায়ন বাড়বে, বায়ু থাকবে বিশুদ্ধ, জলবায়ুর ভারসাম্য কিছুটা হলেও ফিরে আসবে।
৩। নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া:
সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ—এইসব পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
৪️. প্রশাসনিক ও সামাজিক উদ্যোগ:
শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলবায়ু শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫️. শিশু-কিশোরদের পরিবেশ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা:
পরবর্তী প্রজন্মকে এখন থেকেই পরিবেশ সচেতনতায় শিক্ষিত করলে ভবিষ্যতে এর সুফল পাওয়া যাবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের দায় শুধু বড় দেশগুলোর নয়। আমাদের প্রত্যেকের জীবনধারায় পরিবর্তন আনাই পারে এই পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য করে তুলতে। আমরা যদি এখনই না জাগি, তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে দায়ী থাকতে হবে আমাদেরই।
“জলবায়ু নয়, বদল হোক আমাদের মনোভাব!”
আজ রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের জেনেটিক প্লাজায় অনুষ্ঠিত হলো মাসিক পত্রিকা প্রিয়পাতা এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ Green Stem Indoor Plants Shop এর মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সমঝোতা চুক্তি।
প্রিয়পাতার সম্পাদক নাসরীন সুলতানা এবং Green Stem-এর স্বত্বাধিকারী ও পরিবেশ আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী জনাব ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed) উভয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে উভয় পক্ষ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে পরস্পরকে সহযোগিতা করার এবং একটি সুন্দর, সবুজ ও নান্দনিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
Green Stem হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যারা প্রথমবারের মতো সিরামিক টবে ইনডোর প্লান্ট সরবরাহ শুরু করেছে। এই অভিনব উদ্যোগ ইতোমধ্যেই সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে। সিরামিক টবের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি গৃহসজ্জায় ইনডোর গাছ রাখার সংস্কৃতি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে প্রিয়পাতা সম্পাদক নাসরীন সুলতানা বলেন, “প্রতিটি ঘরে যেন একটি করে ইনডোর প্লান্ট থাকে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।” তিনি আরও বলেন, “প্রিয়পাতার সার্কুলেশন এবং নান্দনিক প্রকাশনা ভবিষ্যতে আরও সবার প্রিয় হয়ে উঠবে।”
এদিকে Green Stem-এর স্বত্বাধিকারী এবং প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, “বাংলাদেশে পরিবেশ উন্নয়নে আমরা নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। প্রিয়পাতা ও Green Stem মিলে এই পথে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।”
এই সমঝোতা চুক্তি নিঃসন্দেহে পরিবেশ সচেতনতা, নান্দনিকতা এবং গৃহসজ্জার আধুনিক চর্চাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত — আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন
📍 ফুলপুর, ময়মনসিংহ
"সবার আগে পরিবেশ, তার পর আমার স্বদেশ" — এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে গত ২০ বছর ধরে ফুলপুর-তারাকান্দা এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন একদল নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ও চিকিৎসক।
প্রতিমাসেই ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার পয়ারী গ্রামে আয়োজিত হয় আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন-এর বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প। এই ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মরহুম আমজাদ আলী মিয়া'র স্মৃতির উদ্দেশ্যে। তাঁর পরিবারের ২৭ জন চিকিৎসক নিয়মিতভাবে এই মহৎ কাজ পরিচালনা করছেন।
আজকের কর্মসূচির শুরু হয় বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে—পরিবেশ রক্ষায় এক বলিষ্ঠ বার্তা দেয় এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
🔹 Professor AKM Aminul Hoque
🔹 Brigadier General Azizul Hoque
🔹 Professor Dr. Sayedul Hoque
🔹 Professor Col. Awal Bhuiyan
🔹 Professor Firoza Khatun
🔹 Amdadul Hoque
🔹 Muzammel Hoque
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি-র মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed Rana) এবং পয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মফিজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার Iqbal Hossain সহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ফাউন্ডেশনটি শুধু চিকিৎসা নয়, দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। সমাজ সেবায় আমজাদ আলী মিয়ার পরিবার সত্যিই বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
🌱 পরিবেশ রক্ষায় এবং সমাজ উন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ যেন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে—এই কামনায় দিনটির কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
স্পেনের সেভিলাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন “ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)”-এর প্রাক্কালে নাগরিক সমাজের দাবি সকল অবৈধ ও জনবিরোধী ঋণ এখনই বাতিল করুন
স্পেনের সেভিলাতে আগামী ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফাইনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট (FfD4)’- বিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন যা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই সম্মেলনে দেশীয় সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, ঋণনীতি সংস্কার ও জলবায়ু অর্থায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আর্থিক ইস্যু আলোচিত হবে, যা বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য খাতের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করলে বর্তমান এসডিজির উন্নয়নের বিপরীতে একটি অন্ধকার চেহারা দেখা যায়। যেমন, জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ তম বিপদাপন্ন দেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬% (প্রায় ৯০ মিলিয়ন) জলবায়ু ইস্যুতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। জাতীয় দারিদ্র্যের হার ১৮.৭% এবং যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাল্য বিবাহের বর্তমান হার ৫১.৪০%, ইত্যাদি।
এ প্রেক্ষাপটে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে “ঋণ নয়, চাই ন্যায্যতা: অন্যায় ঋণ বাতিল করো, ব্যবস্থা বদলাও” শীর্ষক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা দুর্নীতিপূর্ণ কর নীতি, অবৈধ অর্থ পাচার ও ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের শর্ত পূরণে সরকার জনগণের উপর চাপ সৃষ্টি করে কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে, যা সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকাকে বিপর্যস্ত করছে। বক্তারা জানান, ২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ৩৩% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ১৫ বছরে ২৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়েছে, যা বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের চেয়ে বেশি। তারা এই পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান। সেই সঙ্গে, বিশেষ করে মেগা প্রকল্পগুলোর ঋণ প্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবিও জানান।
এ মানববন্ধনটি “গ্লোবাল ডে অফ অ্যাকশন অন ফাইন্যান্স” আন্দোলনের অংশ হিসেবে এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (APMDD) এর উদ্যোগে কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইক্যুইটিবিডি, টিইউএস, বিএসজেএফ, এনডিএফ, এনআরডিএস, সিপিআরডি, সিপিডি, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, উদয়ন বাংলাদেশ, প্রকাস ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন ইক্যুটিবিডি-সচিবালয় সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল আকন্দ।
ইক্যুটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, ইউএই, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম এই ধনী দেশগুলোকে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ গ্রহণ বন্ধ করতে হবে এবং সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে। তিনি বলেন, পূর্বে মেগা প্রকল্পে নেওয়া ঋণ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন না করেই গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি এসব অন্যায় ঋণ পরিশোধ না করা এবং মওকুফের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান এবং জাতিসংঘের নেতৃত্বে একটি গ্লোবাল টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান, যাতে অবৈধ অর্থপাচার বন্ধ করা যায়। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদের আলোচনার বাইরে যেন আর কোনো নতুন ঋণ অনুমোদন না হয়।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের শরীফ জামিল বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বসে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশভিত্তিক অভিযোজন ব্যবস্থাপনার জন্য অনুদানভিত্তিক অর্থায়নের দাবি জানানো উচিত। ইক্যুইটিবিডির মো. ইকবাল উদ্দিন বলেন, উন্নত দেশগুলো এখনো তাদের জিএনআই অনুপাতে অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্স (ODA) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি এবং তারা অনুদানের বদলে আমাদের উপর আরও ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। তিনি এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে তাদের যে অঙ্গীকার তা বাস্তবায়নের দাবি জানান। প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি র মূখপাত্র এবং এনডিএফের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবি জানান। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও অর্থ ফেরতের দাবি তোলেন।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোহাম্মদ আলী জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থতার জন্য জরুরি ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। উদয়ন বাংলাদেশের শেখ আসাদুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়, তাই জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রকাস-এর এএসএম আমানুল হাসান তৈমুর ঋণের ক্রমবর্ধমান বোঝা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ইক্যুইটিবিডির ওমর ফারুক ভূঁইয়া আইএমএফের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কর সংস্কারের সমালোচনা করেন এবং অবিলম্বে সব দ্বিপাক্ষিক,বহুপাক্ষিক ও বেসরকারি অবৈধ ঋণ বাতিলের দাবি জানান। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সাংবাদিক ফোরামের মো. মোতাহার হোসেন বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন আমাদের অধিকার, দয়া নয়।
স্পেনের ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের আহবান
সহায়তা প্রদানের চেয়ে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরত দিন
ঢাকা, ২৩ জুন ২০২৫: ফাইনান্সিং ফর ডেভলপমেন্ট (এফএফডি-৪) বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কারণ এখানে স্থানীয় সম্পদ আহরণ, বৈদেশিক দেনা বিষয়ক নীতিমালা এবং জলবায়ু অর্থায়ন ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে যা আগামী বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বাংলাদেশ একটি অনুন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাবে। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য খাতের সাম্প্রতিক সময়ের কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করলে বর্তমান এসডিজির উন্নয়নের বিপরীতে একটি অন্ধকার চেহারা দেখা যায়। যেমন, জলবায়ু ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৭ তম বিপদাপন্ন দেশ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৬% (প্রায় ৯০ মিলিয়ন) জলবায়ু ইস্যুতে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। প্রায় ১.৭৮ মিলিয়ন শিশুরা শিশুশ্রমে নিযুক্ত। জাতীয় দারিদ্র্যের হার ১৮.৭% এবং যা দেশটির সাম্প্রতিক দারিদ্র্যতা বৃদ্ধির হারকে নির্দেশ করছে। বাল্য বিবাহের বর্তমান হার ৫১.৪০%, ইত্যাদি।
আজ সহায়তা প্রদানের চেয়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের পাচারকৃত টাকা ফেরৎ দিন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ এসব তথ্য তুলে ধরেন। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন যে, যখন বিদেশি উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশ কিভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে পারবে? অন্যদিকে আইএমএফ এর অন্যায্য কর ব্যবস্থা, মানি লন্ডারিং, বড় রকমের বৈদেশিক ঋণের বোঝা বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। বক্তারা আরো বলেন যে, গত ১৫ বছরে, বিদেশে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পাচার হয়ে গেছে। এই অর্থ আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের সমান। এটি দেশের মোট বৈদেশিক দেনারও সমান। এই অর্থ যদি পাচার না করা হত তবে এটি বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত বৈদেশিক দেনাকে পরিশোধ করতে পারতো। বক্তারা এফএফডি-৪ সম্মেলনের প্রাক্কালে এই পাচারকৃত অর্থ ফেরতের জোর দাবি জানান।
কোস্ট ফাউন্ডেশন, ইক্যুইটিবিডি, বিসিজেএফ, এনডিএফ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, উদয়ন এবং ওয়াটার কিপারর্স বাংলাদেশ যৌথভাবে এফএফডি-৪ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রাক্কালে আজ রাজধানী ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এফএফডি-৪ স্পেনের সেভিলা শহরে আগামী ৩০ জুন থেকে ৩ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের মোঃ ইকবাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে মূল দাবিগুলো তুলে ধরেন এবং ইক্যুইটিবিডির প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম চৌধুরী এতে সঞ্চালনা করেন।
মোঃ ইকবাল উদ্দিন বলেন যে, এফএফডি-৪ কে অবশ্যই বৈশ্বিক অর্থ পাচার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং ইতোমধ্যে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ভূক্তভোগী দেশগুলোকে ফেরৎ দিতে হবে। রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন যে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম ইতোমধ্যে তাদের বৈদেশিক সহায়তা প্রদান কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তারা আমাদের এসডিজি অর্জনে আর তেমন সহায়তা করতে পারবে না। তাই সহায়তা প্রদানের চেয়ে বরং তাদের বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরৎ দেয়া উচিৎ এবং অবৈধ অর্থ পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের শরীফ জামিল বলেন, যদি উন্নতদেশগুলোতে টাকা পাচারের ব্যবস্থা না থাকতো তাহলে আমাদের মতো দেশগুলো থেকে টাকা পাচার হওয়া বন্ধ হয়ে যেত। তিনি এফএফডি-৪ কে টাকা পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন। এনডিএফ এর ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি বৈশ্বিক দায়। বাংলাদেশের উপর এটি চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তিনি এর জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা বলেন। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র পাচারকৃত অর্থ ফেরৎ এনে উপকূলের বিপদাপন্ন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যয় করার দাবি জানান। উদয়নের অসাদুজ্জান বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ি নয়। তাই বাংলাদেশের জলবায়ু সংক্রান্ত সকল অবৈধ দেনাগুলো বাতিল করতে হবে এবং সেগুলোকে সহায়তা আকারে প্রদান করতে হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের ওমর ফারুক ভূইয়া আইএমএফ এর কর ব্যবস্থা সংস্কারের সমালোচনা করে বলেন যে সেগুলো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধেই যায়। তিনি জাতিসংঘের নেতৃত্বে বৈশ্বিক ট্যাক্স কনভেনশনের আওতায় বাংলাদেশের কর ন্যায্যতা নির্ধারণের দাবি জানান।
টাঙ্গুয়ার হাওর রক্ষায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে
ঢাকা, ১৮ জুন ২০২৫
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা টাঙ্গুয়ার হাওরকে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত কার্যকর ও সুনির্দিষ্ট সরকারিভাবে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণসহ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
“বিপর্যয়ের হাত থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরকে বাঁচান”—এই মূল শ্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত মানববন্ধনে হাওর অঞ্চলবাসী, ঢাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে হাওর অঞ্চলবাসী সমন্বয়ক ড.হালিমদাদ খান সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য জাকিয়া শিশির, প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মূখপাত্র এবং নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “টাঙ্গুয়ার হাওর শুধু সুনামগঞ্জবাসীর নয়, এটি জাতীয় সম্পদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। অথচ এটি প্রতিনিয়ত অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, অবৈধ শিকার, দূষণ এবং যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে হুমকির মুখে পড়ছে।”
তারা আরও বলেন, “সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে দায়িত্ব বিভাজনের অভাবে সঠিক ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হচ্ছে। তাই টাঙ্গুয়ার হাওরের সুরক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা জরুরি, যেখানে সংরক্ষণ, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা এবং টেকসই পর্যটনের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।”
আয়োজক ‘হাওর অঞ্চলবাসী, ঢাকা’ জানিয়েছে, তারা এই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করবে এবং ভবিষ্যতেও ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত ,প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর অংশগ্রহণে ১৫ জুন ১লা আষাঢ় বর্ষা উৎসব উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানটি বিকাল ৫ টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।
আবহমান বাংলার প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ এর সাথে বর্ষার গুরুত্ব এবং বর্ষার অবদান নিয়ে আলোচনা, স্মৃতিচারণ, বর্ষার গান, বর-বধু বরণ কবিতা, কৌতুক, গল্প আড্ডায় মেতে উঠেন একদল প্রাণ প্রকৃতি প্রবীণ তারুণ্যময় পরিবেশ কর্মী।
রাজধানীর বিজয় সরণী রেংগস টাওয়ার এর থাইচি রেস্টুরেন্ট এর খোলা বাড়ান্দায় বসে বর্ষা উপভোগ্য আড্ডা মেলায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি এড. শফিকুর রহমান।
বর্ষা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সচিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএমএইচ নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন সাবেক এম্বাসেডর মাজেদা রফিকুন নেসা, বিজিএমইএ ফ্যাশন টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসর, লেখক রাজা জলিল, জনপ্রীয় গীতিকবি ও লেখক শহীদুল্লাহ ফরায়েজি।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা এবং প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর সভাপতি শাহিদা ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে যারা ছিলেন-
প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর ভাইপ্রেসিডেন্ট, ফটোগ্রাফার ( সাবেক (রয়টার) রফিকুর রহমান।
নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লেখিকা নাসরিন আকতার।
প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ এবং প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা কমিটির সিনিয়র সদস্য রাজিয়া সুলতানা।
সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আরজুমান্দ আরা বকুল। নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা
বিমান বাংলাদেশ এর সাবেক কর্মকর্তা দিলরুবা জেফু, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর সহ সভাপতি ইয়াকুব আলী ফকির, প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ চাই এর সিনিয়র সহসভাপতি লেখক নুরুল করিম খসরু।
রাষ্ট সংস্কার আন্দোলন এরং প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য জাকিয়া শিশির, সৈয়দা রত্না, সমন্বয়ক, কলাবাগান তেতুলতলা মাঠ রক্ষা আন্দোলন।
মোঃ আকবর হোসেন, চেয়ারম্যান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা, কে এম ওবায়েদুর রহমান, ডিরেক্টর, ওয়েস্ট নীট লিমিটেড। বহরম খান, সিনিয়র রিপোটার, ডেইলি স্টার, আয়শা বেনজির, প্রবীণ তারুণ্য বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বেগম রোকেয়া ইসলাম এবং নির্বাহী সদস্য
লেখিকা মাহি ফারহানা, মেজর বদরুল আলম, বিজিবি, এমএস সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (অব)।
মহিউদ্দিন আহমেদ, আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।
মোস্তফা কামাল আকন্দ, পরিচালক, কোষ্ট ট্রাস্ট, জেসমিন আবেদিন, প্রধান শিক্ষক, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাকীম মোহাম্মদ শামীম, মোখলেসুর রহমান, পর্যটন গবেষক।
সহকারী এটনি জেনারেল এড. সুলতান মাহমুদ বান্না, ব্যাংকার সাফিয়ার রহমান, নাগরিক আন্দোলনের নেতা রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ডিউক হুদা। দুর্নীতি বিরোধী জোট এর জনাব হাবিবুর রহমান।ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান। প্রমুখ।
![]() |
নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম এর পক্ষে নগদ টাকা তুলে দেন স্বদেশ মৃত্তিক মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আকবর হোসেন |
ঢাকা, ৯ জুন ২০২৫:
একজন হতভাগ্য রিক্সা চালক—নামটি হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু তাঁর কষ্ট, তাঁর যুদ্ধটা খুব বাস্তব। মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। জরুরি চিকিৎসা না করলে তার জীবন বাঁচানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু হাত ছিল খালি, চোখে ছিল একরাশ অনিশ্চয়তা।
ঠিক এমনই এক মুহূর্তে সাহস ও মানবতার দীপ্ত আলো হয়ে সামনে আসেন নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার অসাধারণ টিম।
সংগঠিতভাবে তারা দ্রুত অর্থ সংগ্রহ করেন, চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং এই অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়ান।
এখন তিনি চিকিৎসাধীন, ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। ৯ জুন ২০২৫ রাতে বাড়ি ফিরেন তিনি।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, এখনও সমাজে এমন মানুষ আছেন যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ান।
নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিমের এই উদ্যোগ শুধু একটি প্রাণই রক্ষা করেনি—জাগিয়ে তুলেছে আশার আলো, ছড়িয়ে দিয়েছে মানবতার বার্তা।
নুরুস সাবাহ মিঠু ও স্বদেশ মৃত্তিকার এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম সমাজে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পথের একজন সাধারণ রিক্সাওয়ালার জীবন বাঁচাতে তারা যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয়। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed) নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed)
সম্প্রতি Bio Diversity & Climate Conference 2025 এর আয়োজনে , পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য এক বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তার নেতৃত্বে নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ সংরক্ষণ, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
একইসঙ্গে, প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় তার বলিষ্ঠ ভূমিকা জাতীয় পর্যায়েও প্রশংসিত হয়েছে। এই সম্মাননা তার দায়িত্ববোধ, নিষ্ঠা ও দেশের প্রতি অঙ্গীকারেরই একটি স্বীকৃতি।
Bio Diversity & Climate Conference 2025 শীর্ষক সেমিনার
২৯ মে ২০২৫
ঢাকা, ১২ মে ২০২৫:
শিক্ষাক্ষেত্রে দীর্ঘ দুই দশকের অবিচল ও নিষ্ঠাবান অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা পেলেন স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক তানিয়া শেখ। প্রতিষ্ঠানটির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তাঁকে এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তানিয়া শেখ স্বদেশ মৃত্তিকার শুরু থেকেই জড়িত। প্রতিষ্ঠার প্রথম দিন থেকেই তিনি শিশুদের মানসম্মত ও মানবিক শিক্ষা প্রদানে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাঁর নেতৃত্বে স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং হয়ে উঠেছে একটি সামাজিক আন্দোলনের অংশ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, সাবেক শিক্ষার্থীরা এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “তানিয়া শেখ শুধু একজন শিক্ষক নন, তিনি শিক্ষার মাধ্যমে একটি প্রজন্মকে বদলে দেওয়ার সংগ্রামী প্রতীক।”
সম্মাননা গ্রহণের সময় আবেগাপ্লুত তানিয়া শেখ বলেন,
“এই সম্মান শুধু আমার একার নয়। এটি আমাদের স্কুলের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং যারা নীরবে-নিভৃতে এই পথচলায় পাশে ছিলেন, তাঁদের সকলের। শিক্ষাই পারে সমাজে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে—এই বিশ্বাস থেকেই আমি কাজ করে যাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, স্বদেশ মৃত্তিকা গত দুই দশক ধরে সমাজের নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের জন্য মানসম্মত ও মানবিক শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে আসছে। তাদের ব্যতিক্রমী পাঠদর্শন, জীবনমুখী শিক্ষা এবং মূল্যবোধনির্ভর শিক্ষাক্রম ইতোমধ্যেই বহু শিক্ষার্থীকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছে।
এই সম্মাননা শুধুমাত্র একজন শিক্ষকের প্রাপ্তি নয়, এটি সমাজে পরিবর্তনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া হাজারো নির্ভীক মানুষের স্বীকৃতির প্রতীক।
স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন পরিবেশবিদ ইবনুল সাঈদ রানা
ঢাকা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয় সংস্থার উপদেষ্টা ও খ্যাতনামা পরিবেশবিদ ইবনুল সাঈদ রানা-কে।
শিক্ষা, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর নিরলস ভূমিকা ও মানবিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পরিবেশবান্ধব শিক্ষা বিস্তারে তাঁর প্রচেষ্টা এবং নীতিগত সহায়তা স্বদেশ মৃত্তিকার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাঁর অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সমাজে টেকসই পরিবর্তনের জন্য এমন উদ্যোগকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।
ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, “এই সম্মাননা আমাকে আরও দায়িত্বশীলভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও পরিবেশ, শিক্ষা ও মানবিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।”
স্বদেশ মৃত্তিকা দুই দশক ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ও মানবিক বিকাশে কাজ করে চলেছে, যা দেশের সামাজিক উন্নয়নের পথে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ভিজিট করতে: www.swadeshmrittika.org
সমাজসেবায় সম্মাননা পেলেন ড. তারিক উজ জামান
স্বদেশ মৃত্তিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয় স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট লেখক ড. তারিক উজ জামানকে।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে নিষ্ঠাভরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রজ্ঞা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিক নেতৃত্ব স্বদেশ মৃত্তিকার কর্মকাণ্ডে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। স্বদেশ মৃত্তিকার মতো একটি মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে তাঁর সক্রিয় সম্পৃক্ততা এবং দিকনির্দেশনা অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে শত শত সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে, যারা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
এই সম্মাননা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত কৃতিত্বের স্বীকৃতি নয়, বরং এটি একটি আদর্শের সম্মান—যা তিনি জীবনের প্রতিটি পরতে বহন করে চলেছেন।
ড. তারিক উজ জামানকে অভিনন্দন ও শুভকামনা।
স্বদেশ মৃত্তিকা ২০ বছর পূর্তিতে শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক হিসেবে ‘স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম।
ঢাকা, ৭ মে ২০২৫:
২০ বছর পূর্তিতে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা উদযাপন করলো তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দীর্ঘ দুই দশক ধরে শিক্ষা, সমাজসেবা ও মানবিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে আসা এই সংস্থাটি রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এই উৎসবের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ উপস্থাপক হিসেবে ‘স্বদেশ মৃত্তিকা চ্যারিটি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম।
শেখ নজরুল ইসলাম, যিনি বহু বছর ধরে বাংলাদেশ বেতারে দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন,
শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, "এই সম্মান আমার জন্য অনেক গর্বের। আমি বিশ্বাস করি, একজন উপস্থাপক শুধু কথা বলেন না, তিনি অনুভব তৈরি করেন, মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন। স্বদেশ মৃত্তিকার মতো একটি মানবিক সংস্থার অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও সিইও মো. আকবর হোসেন, তিনি বলেন,
"আজকের এই দিনটি শুধু আমাদের অর্জনের উৎসব নয়—এটি তাদের সম্মান জানানোর দিন, যারা সমাজ পরিবর্তনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছেন। শেখ নজরুল ইসলাম তার সৃজনশীলতা ও কণ্ঠশক্তি দিয়ে আমাদের প্রতিটি আয়োজনকে আরও অর্থবহ করে তুলেছেন।”
অনুষ্ঠানে আরও ছিল সংস্থার শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং আগত অতিথিদের উন্মুক্ত মতবিনিময়।
এই আয়োজনে অতিথিরা বলেন, স্বদেশ মৃত্তিকার এই উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের অন্যতম দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নারী উদ্যোক্তা হিসেবে রূপা আহমেদ বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত
ঢাকা, ৭ মে ২০২৫:
দীর্ঘ দুই দশক ধরে শিক্ষা ও মানব উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে আসা স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা উদযাপন করলো তাদের গৌরবময় ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। রাজধানীর এক জমকালো অনুষ্ঠানে সংস্থার বর্তমান ও সাবেক সদস্য, শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে এই দিনটি উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল সমাজ ও উন্নয়নে অবদান রাখা ব্যক্তিদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান।
এ বছর নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বিশেষ সম্মাননা লাভ করেন রূপা আহমেদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে নারী ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা নিয়ে কাজ করছেন।
রূপা আহমেদ বলেন,
"একজন নারী হিসেবে উদ্যোক্তা হওয়া সহজ ছিল না। তবে আমি বিশ্বাস করি—উদ্যম, আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আজকের এই সম্মাননার জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং আরও বেশি নারীদের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার আহ্বান জানাই।"
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বদেশ মৃত্তিকার চেয়ারম্যান ও সিইও মো. অোকবর হোসেন যিনি বলেন,
"আমরা বিশ্বাস করি—শিক্ষা, সমাজসেবা ও নারী উন্নয়নের মধ্য দিয়েই একটি টেকসই সমাজ গঠন সম্ভব। আজ যারা সম্মাননা পেয়েছেন, তারা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর।"
অনুষ্ঠানে আরও ছিল শিশুদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা,
অনুষ্ঠান শেষে আগামী ৫ বছরে দেশের ২০টি নতুন উপজেলায় কার্যক্রম বিস্তারের ঘোষণা দেওয়া হয়।