সাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

 ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো  এনার্জিপ্যাক

‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক

[ঢাকা, ৬ মে, ২০২৪] আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের এবারের স্লোগান ‘পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের নিশ্চয়তা’র সাথে সঙ্গতি রেখে সম্প্রতি ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’
পালন করে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। এ উপলক্ষে গাজীপুরে এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, খুলনার জি-গ্যাস এলপিজি মাদার প্ল্যান্ট ও রূপগঞ্জের জি-গ্যাস স্যাটেলাইট প্ল্যান্ট-১০১, অর্থাৎ এনার্জিপ্যাকের সকল কারখানায় বিশেষ ব্রিফিং, র‍্যালি সমাবেশ ও ফটো সেশনের আয়োজন করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রমশ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর মাঝেও নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটে। কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে এনার্জিপ্যাক অত্যন্ত সচেতন। এমন প্রত্যয় দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য-বিষয়ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে থাকে, যেন কর্মীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে পারে। কর্মস্থলের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে প্রতিষ্ঠানটির সকল কারখানায় নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয়।
এ বিষয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন, “এনার্জিপ্যাক সবসময় নিরাপত্তা, কর্মীদের স্বাস্থ্য ও টেকসই পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করে। আমাদের সকল প্রচেষ্টাতেই এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। এমনকি সামনের দিনেও আমরা সকল কর্মীর জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করবো।”

রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

যা হলে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক...

যা হলে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক...

বলা হয় বিপদ কখনো বলে–কয়ে আসে না। বলা নেই কওয়া নেই, হুট করে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু—এমনটা আমরা প্রায়ই শুনি। এই রকম হঠাৎ হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়াকে বলে ‘মুভি হার্ট অ্যাটাক’। তবে বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকের আগে আমাদের শরীর সংকেত দেয়। প্রথমে বুকে অল্প ব্যথার সঙ্গে একটা অস্বস্তি থাকে। ওই সংকেত বুঝে দ্রুত পদক্ষেপ নিলে ভয়ংকর কোনো পরিণতি থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।

বিভিন্ন কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপ ইত্যাদি অন্যতম কারণ। আবার অনেক সময় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে করোনারি রক্তনালি ব্লক হয়ে জায়গাটি বন্ধ হয়ে যায়। কিছু লক্ষণ রয়েছে যা জানা থাকলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক প্রতিরোধে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া যায়। লক্ষণগুলো যদি দীর্ঘদিন বা অন্তত এক মাস ধরে ঘটতে থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
১. বেশির ভাগ সময় হার্ট অ্যাটাকে বুকের মাঝখানে চাপ বোধ হয়, যা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে থাকে। ব্যথাটা মাঝেমধ্যে চলে যায়, আবার ফিরে আসে। একটা অস্বস্তিকর চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভব হয়।
২. অনেক সময় বাহু, পিঠে, ঘাড়ে, চোয়ালে অথবা পাকস্থলীতেও অস্বস্তি অনুভব হয়।
৩. অনেক সময় বুকে অস্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে আসে।
৪. অন্য লক্ষণগুলোর মধ্যে ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব বা হালকা মাথাব্যথা হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে আলাদা রকমের হয়ে থাকে। পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে অন্য লক্ষণগুলো বেশি দেখা যায়, যেমন ছোট শ্বাস, বমি বমি ভাব, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা।

স্ট্রোকের লক্ষণ
১. হঠাৎ করে মুখ, হাত-পা, বিশেষত শরীরের এক পাশে দুর্বলতা বা অচল অনুভূত হয়।
২. হঠাৎ করে বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়া। কথা বলা বা কথা বুঝতে সমস্যা হওয়া।
৩. হঠাৎ করে চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া বা ঝাপসা দেখা।
৪. হঠাৎ করে হাঁটতে সমস্যা হওয়া, মাথা ঘোরা বা শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা।
৫. কোনো কারণ ছাড়াই প্রচণ্ড মাথাব্যথা।

স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে একটুও সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়া উচিত। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে চলে যাওয়া সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।

তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৪

একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক পুরুষের ১২টি লক্ষণ

একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক পুরুষের ১২টি লক্ষণ

একটা সময় ছিল যখন পুরুষেরা নিজের ব্যাপারে বিশেষ মনযোগ দিতেন না। ভাবছেন, পুরুষ মানুষ এক রকম হলেই হলো! সেই দিন এখন বদলেছে। প্রত্যেক সচেতন পুরুষই এখন নিজের শরীর ও ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে দারুণ মনযোগী। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনি সুস্থ আছেন? কীভাবে বুঝবেন আপনার শরীর ও মন স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে, চমৎকার আছে আপনার জীবন?

একজন সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ মানুষ হিসেবে আপনার মধ্যে কিছু লক্ষণ থাকা খুবই জরুরি।

তাই আসুন আজ জেনে নেই সেই লক্ষণগুলোর কথা......

যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা স্বাস্থ্যসুরক্ষায় অনেক কিছুই করে থাকেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম এবং সঠিকভাবে জীবনযাপন। এছাড়াও নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চেকআপ তো আছেই। এতোসব করার একটাই কারণ সুস্থ দেহের অধিকারী হওয়া।

কারণ আমরা সকলেই জানি স্বাস্থ্যই হলো সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে আমাদের সুখ শান্তি বজায় থাকে।

১. একজন সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ মানুষের সাধারণ অবস্থায় হার্টবিট রেট হয় ৭০ বা এর কাছাকাছি। সুস্থ আছেন কিনা জানতে চাইলে আজই পরীক্ষা করে দেখুন।

২. মানুষ মাত্রই যৌনতার প্রতি আগ্রহ থাকবে। আপনি যদি একজন সক্ষম পুরুষ হয়ে থাকেন এবং তারপরেও যৌনতার প্রতি আগ্রহ বোধ না করেন, তবে বুঝবেন আপনি কোনো মানসিক জটিলতায় ভুগছেন। অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। একজন সুস্থ পুরুষের যৌনতার প্রতি অতি অবশ্যই কৌতূহল থাকবে এবং তিনি প্রতিদিন যৌনমিলনে সক্ষম হবেন।

৩. এবার একবার আপনার হাতের নখের দিকে তাকান। আপনার নখ যদি বেশ শক্ত হয় এবং নখে হালকা গোলাপি আভা দেখতে পান তবে বুঝে নেবেন আপনি একজন সুস্থ দেহের অধিকারী পুরুষ।

৪. নিজের ইউরিন নিজে পরীক্ষা করে দেখুন। যদি আপনি সুস্থ দেহের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে আপনার ইউরিন এর রঙ খড়ের রঙ এর মত হবে।

৫. একজন সুস্থ পুরুষ হিসেবে আপনার ২০টি পুশআপ করার ক্ষমতা থাকবে। আজই চেষ্টা করে দেখুন ২০টি পুশআপ করতে পারেন কিনা।

৬. আপনি সুস্থ দেহের অধিকারী হলে বিনা বাধায় ১৫ মিনিটের মধ্যে এক মাইল দৌঁড়াতে পারবেন ।

৭. সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষ মানুষের প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে বাথরুম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনিয়মিত এবং নির্ধারিত সময়ে বাথরুম না হওয়া অসুস্থতার লক্ষণ।

৮. ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে একজন সুস্থ দেহের মানুষের এলার্ম এবং অন্য কারো সাহায্য ছাড়াই প্রতিদিন সকালে প্রায় একই সময়ে ঘুম ভাঙে।

৯. ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী মানুষের ওজন উচ্চতা অনুযায়ী আদর্শ ওজনের ৫ কেজি কম বেশি হতে পারে, কিন্তু এর বাইরে নয়।

১০. সুস্থ দেহের অধিকারী মানুষেরা ভারী কাজ বা ব্যায়াম বা দৌঁড়ানোর পর হার্টবিট রেট ৫ মিনিটের মধ্যে সাধারণে নেমে আসে।

১১. অতিরিক্ত শুচিবায়ুতা মানসিক বিকারের লক্ষণ। আবার অতিরিক্ত নোংরা ও আগোছালো থাকাও তাই। একজন সুস্থ পুরুষ নিজেকে গুছিয়ে রাখতে ভালবাসবেন।

১২. আপনি যা খাচ্ছেন, সেটা ঠিক মত হজম হচ্ছে তো? গ্যাস বা বুক জ্বালা পোড়ার সমস্যা না থাকলে আপনি শারীরিকভাবে একজন সুস্থ মানুষ।

রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে স্বদেশ মৃত্তিকায় সচেতনাতা মূলক আলোচনা

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে স্বদেশ মৃত্তিকায় সচেতনাতা মূলক আলোচনা

 আজ ৪ ফেব্রুয়ারী(রবিবার) বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘আসুন ক্যান্সার সেবায় বৈষম্য দূর করি’।

দিবসটি উপলক্ষে আজ স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উদ্যাগে, স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের বিভিন্ন শাখার সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি পালন করে সংগঠন টি।

এসময় ঢাকা আগারগাঁও ,স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  আলোচনায় অংশগ্রহন করেন লেখক, গবেষক ও  স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্ঠা ড. তারিক উজ জামান, 

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ, শিক্ষক রাশিদা আক্তার ও সোহাগী আক্তার।

 এসময় ড.তারিক উজ জামান বলেন, ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রয়োজন সচেতনতার। তবে এ সচেতনতা শুধু ব্যক্তিগত না থেকে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। তবেই সম্ভব ক্যান্সারের মতো রোগ জয় করা।

 তানিয়া শেখ বলেন নিজের শরীরের প্রতি  সব সময় যত্নবান হবে। উদ্ভিজ্জ খাবার বেশীবেশী গ্রহন করবে। বিশেষ করে সাইট্রাস জাতীয় ফল, অর্থাৎ ভিটামিন সি নিয়মিত গ্রহন করবে ও সুষম খাবার খাবে। শরীর নিয়মিত চেকআাপ করাবেন। সবাই ভাল থাকবে।


সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণায় "স্বদেশ মৃত্তিকা"

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণায় "স্বদেশ মৃত্তিকা"

 swadeshsomoy24.com 

 

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার এই আয়োজন।

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশে যথাযথ পদক্ষেপ এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় ‘আমাদের চার পাশ পরিস্কার রাখবো, ডেংগু মশা প্রতিরোধ করবো’ স্লোগানে লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। লিফলেট প্রদানের পাশাপাশি স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন ও গ্রামের মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার নানা দিক তুলে ধরেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার কেন্দ্রীয় সদস্যবৃন্দ।

 এলাকার সবাই এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থারকে ধন্যবাদ জানান। 

 স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যা মো. আকবর হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গু মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের নিজেদের যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি অন্যকেও সচেতন করতে হবে। 

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্ঠা ও নিরাপদ ডেভেলপম্যান্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা জানান, একটু সচেতন হলেই এডিস মশার বংশবিস্তার এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভ। কিন্তু সচেতনতার ঘাটতি দেখা দিচ্ছে দেশজুড়ে। সবচেয়ে বেশি অসচেতন দরিদ্র শ্রেণির মানুষজন। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং করণীয় দিক সম্পর্কে মানুষকে জানাতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছি আমরা।

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্ঠা আনোয়ার হোসেন শিবলু বলেন ডেংগু থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবার আগে প্রয়োজন প্রতিরোধ গড়ে তোলা, সচেতন হওয়া।

স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ বলেন,আমরা প্রত্যেকে যদি একটু সচেতন হই, নিজের বাড়ির আশপাশের ডোবা-নালা পরিষ্কার রাখি, তবেই ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

 স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী সদস্য ইমরান আহমেদ বলেন, এডিস মশা নোংরা পানিতে নয় বরং পরিষ্কার স্বচ্ছ পানিতে জন্মে থাকে। সুতরাং সরকারি বেসরকারি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার মিলে সচেতন নাগরিক হিসেবে যদি একটি পদক্ষেপ নেই তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব।

স্টুডেন্ট এডুকেশনাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দলমত নির্বিশেষে সবাই হাতেহাত মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ছোট ছোট কাজ করে ডেঙ্গু বিস্তার রোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাবুল হোসেন, যুগ্মসচিব, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা। জাহাঙ্গীর আলম, নির্বাহী সদস্য, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা।সাদমান সাব্বির, প্রচার সম্পাদক, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা। কান্তা শেখ, সভাপতি, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা। নরসিংদী শাখা।
মামুন হুজুর, স্মৃতি শেখ, শিক্ষক শান্তা শেখ, সানজিদা আকতার, মুক্তা বেগমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
 

 

 

শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

 ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচারনায় "নিরাপদ চিকিৎসা চাই"

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচারনায় "নিরাপদ চিকিৎসা চাই"

 স্বদেশসময়.২৪.কম

চলছে বর্ষা মৌসুম, এসময় সাধারণত ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে, আর এর প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে ঢাকার শাহাবাগ, যাদুঘরের সামনে "নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা)" দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পথচারীদের মাঝে সচেতনতা মূলক পরামর্শ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন।

১৫ই জুলাই (শনিবার) ২০২৩ইং বিকাল ৪.০০টায় জাতীয় যাদুঘরের সামনে শাহবাগের মোড়ে নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠন এর কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ হতে এক সচেতনতামুলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। 

সারা দেশে এই প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ডেংগু ও চিকুনগুনিয়ার আক্রান্তের প্রকোপ অধিকহারে বেড়ে গেছে , বর্তমানে হাসপাতাল গুলিতে ডেংগু রুগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে আর হাসপাতাল কতৃপক্ষ সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে। ডেংগু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিকার সচেতনতা। তাই জনসচেতনতা সৃষ্টি করতেই আজ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠন এর কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন শিপলু, সঞ্চালনে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মো: জমসেদ আলী খান কিরন, অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠন এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব উম্মে সালমা।

 বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠন এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আকবর হোসেন ।

আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য শামীমা আক্তার ও সায়মা রহমান।

ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতন হোন ডেঙ্গু মশাবাহিত ভাইরাস জ্বর যা এডিস মশা দ্বারা ছড়ায়। এ বছর অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে এখন সারাদেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগীই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালের রোগী ভর্তি এখন দুরূহ ব্যাপার। বিভিন্ন তথ্যমতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখের অধিক। 

সাধারন চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সেরে যায়, তবে হেমোজেরিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। বর্ষার মৌসুমে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই বর্ষায় অধিক সতর্ক থাকুন। ডেঙ্গু সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে নিরাপদ চিকিৎসা চাই অতীতের মতো এবারও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে- জ্বরের মাত্রা অনেক বেশি, সাথে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, চোখ ব্যথা, কোমর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা ও শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে অসহনীয় ব্যথা। - জ্বর শুরু হওয়ার ২-৫ দিন পর সারা শরীরে লাল র্যাশ দেখা যেতে পারে (তবে হাত ও পায়ের তলাতে কোন র্যাশ থাকে না)। ■ ডাক্তারের পরামর্শে রক্তের পরীক্ষা CBC, Dengue NSI Antigen, Antibody এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে।

 ডেঙ্গু জ্বর হলে করনীয়- 

দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ। পূর্ণ বিশ্রাম। জ্বর/ ব্যথার জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ছাড়া ব্যথানাশক অন্য কোন ঔষধ খাওয়া যাবে না। বেশি বেশি ফলের জুস, ডাবের পানি, স্যুপ ও তরল জাতীয় খাবার খাবেন। ■ প্রাপ্ত বয়স্কদের দৈনিক ৩লিটার পানি পান করতে হবে। এর মধ্যে ১লিটার সঠিক মাত্রায় বানানো খাবার স্যালাইন খেতে হবে। জ্বর কমে যাওয়ারও ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ঝুকিপূর্ণ; এই সময় অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। দিনে দুইবার ব্লাড প্রেসার মাপতে হবে। ব্লাড প্রেসার ১০০ এর নিচে নেমে আসলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে গর্ভবর্তী, লিভার, কিডনী, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সচেতনতা প্রয়োজন। প্রতিরোধের উপায়- স্বল্প জলাবদ্ধতার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। যাতে পানি জমতে না পারে (বিশেষ করে এসির পানি, ফ্রিজের পানি, টবের পানি, পরিত্যাক্ত টায়ারে জমা পানি)।

দিনের বেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিসহ সকলকেই মশার কামড় হতে সতর্ক থাকতে হবে প্রয়োজনে মশারি ব্যবহার করতে হবে।কার্যকর এরোসল স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। গাড়িতে মশার কামড় হতে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। - ফুলহাতা জামা পরিধান করতে হবে এবং মশার নিধন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। ডেঙ্গু মশা আলোতে কামড়ায়; এছাড়া সকাল-সন্ধ্যার আলোতে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন। আসুন সবাই মিলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনত হই।।


শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব

 স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব
 
শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে  নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের সহযোগিতায়, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয় ৪৫ পশ্চিম আগারগাঁওয়ে স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে মৌসুমী ফল উৎসব উপলক্ষে ফল খাওয়ানো হয়। 
 
মৌসুমী ফল উৎসবে সভাপতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের মহাসচিব মোঃ আকবর হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ। নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার উপদেষ্টা জামশেদ আলী খান কিরণ , নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চে ক্রিড়া সম্পাদকও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের নির্বাহী সদস্য শাহবাল আহমেদ জনি ও  রাজিউদ্দিন রাজা , প্রচার সম্পাদক সাদমান সাব্বির, শিক্ষক মন্ডলী, সিনিয়র শিক্ষক রাশেদা আক্তার, হাফেজ মাওলানামোঃ আসাদুল্লাহ, মুনিয়া মুন্নি, সোহাগী আক্তার সহ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। 
 
 এসময় স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন বলেন- ফল উৎসবের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আমাদের স্বদেশ মৃত্তিকা কর্তৃক পরিচালিত স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের ৩ টি শাখায় (ঢাকার আগারগাওঁ, কামরাংগীর চর ও নরসিংদী) দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করা। আমরা চাই এই আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকুক। পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানা কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছে স্বদেশ মৃত্তিকা,। 

তিনি আরো বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আমাদের বাচ্চাদের চেয়েও স্বাধীন কিন্তু তাদের জীবন অনিশ্চয়তায় ভরা। এদের প্রতিভা আরও বিকশিত করতে স্বদেশ মৃত্তিকা কাজ করে যাচ্ছে ।

 
 
 
 
 
 
 
 
 
তে বক্তারা সামজিক কাজের পাশাপাশি পটিয়া এপেক্স ক্লাব মানবিক যে কাজ করে যাচ্ছেন তার প্রশংসা করেন এবং আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

Credit goes to: https://news71online.com/

Copyright © News71online.Com
 
 
 
 মৌসুমি ফল উৎসব স্বাগত ভাষন প্রধান করেন  স্কুলের  প্রধান শিক্ষক তানিয়া শেখ।  এ সময় তিনি বলেন, মৌসুমি ফল উৎসবের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশীয় নানা ফল এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবে। সুবিধা বঞ্চিত এসব শিশুরা ফল হাতে পাওয়ার পর তাদের মুখে মিষ্টি হাসিই বুঝিয়ে দেয় তারা কতটা খুশি। এমন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ফল পৌঁছে দিতে পেরে ‘স্বদেশ মৃত্তিকা’র প্রত্যেক সদস্যরাও খুশি হয়েছে।
 
জামশেদ আলী খান কিরণ জানান, মধুমাসের মৌসুমী ফলগুলো যেন কমলমতি শিশুদের কাছে মধুমাসের সুচনার স্বাদ বয়ে আনে।  এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যদি সবার সহযোগিতা পায় তাহলে ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।
 
 শাহবাল আহমেদ জনি বলেন সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুরা রাস্তা রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব রয়েছে। এই সংগঠনটি প্রতি বছর পথশিশুদের পুষ্টির কথা বিবেচনা করে মৌসুমি ফল উৎসব করে থাকে। আশা করছি এই ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে।
 
তে বক্তারা সামজিক কাজের পাশাপাশি পটিয়া এপেক্স ক্লাব মানবিক যে কাজ করে যাচ্ছেন তার প্রশংসা করেন এবং আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

Credit goes to: https://news71online.com/

Copyright © News71online.Com
 
হাফেজ মাওলানামোঃ আসাদুল্লাহ বলেন মানবতার কল্যাণে মানব সেবায় এই প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি।
 

শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের  বিষ ও ক্যামিকেল মুক্ত মৌসুমি ফলের দাবীতে র‍্যালী ও মানববন্ধন

নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের বিষ ও ক্যামিকেল মুক্ত মৌসুমি ফলের দাবীতে র‍্যালী ও মানববন্ধন

 স্বদেশসময়২৪.কম:

 বিষ ও ক্যামিকেল মুক্ত মৌসুমি ফল এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার দাবীতে  র‍্যালী ও মানববন্ধন

০২ জুন ২০২৩ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সঞ্চালনায় সংগঠনের মহাসচিব জনাব আকবর হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভ এর নির্বাহী পরিচালক এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞ জনাব এম.জাকির হোসেন খান, বক্তব্য রাখেন নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ এর ভাইস চেয়ারম্যান জনাব ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জামশেদ আলী খান কিরন, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন শিপলু, যুগ্ম-মহাসচিব এম. ইমরান আহমেদ,ক্রীড়া সম্পাদক শাহাবাল আহমেদ জনি,দপ্তর সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদন উম্মে সালমা, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক সাদমান সাব্বির , সম্মানিত সদস্য রাজি উদ্দিন রাজা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার সদস্য পুরান ঢাকার হাজী আনছার আলী শেখ। মাওলানা আসাদুল্লাহ্,শামীমা আক্তার, মুন্সিগঞ্জ জেলার ইউপি সদস্য মোঃ রনি, আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্রীনগর থানার সদস্য সাংবাদিক মো: আল আমিন শেখ,সহ প্রমূখ।

 প্রতিদিন খাবার গ্রহণের সময় নানা প্রশ্নে জর্জরিত হচ্ছি আমরা। যা খাচ্ছি তা বিষ নয় তো? ফলমূলে কেমিকেল, মাছে ফরমালিন, মাংসে ক্ষতিকর হরমোন, শাকসবজিতে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ- এ ধরনের অনেক সংশয় ও আতঙ্কের মধ্যেই আমরা বেঁচে আছি। শুধু অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে নয়, অনেক সময় উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের কাছ থেকেও আমরা এ ধরনের কথা শুনতে পাই। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এক বিরাট চ্যালেঞ্জ আমাদের। তাই খাদ্যের যেসব ঝুঁকি নিয়ে আমরা সবসময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য, আমরা অনেকেই পরিমিত ও সুষম খাবারের দিকে খেয়াল করে খাবার গ্রহণ করি না। যারাও বা বোঝেন, তাদের একটি বিরাট অংশের ধারণা হল পুঁথিগত, যার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। পরিমিত সুষম খাবার বিভিন্ন উৎস থেকে নিলে খাদ্যে ঝুঁকির পরিমাণ কমে যাবে।

শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ভয়েস ফর সেফ ফুড  ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক মত বিনিময় সভা ৪৫ পশ্চিম আগারগাও, ঢাকাতে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়। মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রান, সভা পরিচালনায় ছিলেন Voice for Safe Food ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ এর মহাসচিব মোঃ আকবর হোসেন। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেনভয়েস ফর সেফ ফুড ও নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ এর ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক তানিয়া শেখ, দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রাশিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা,ক্রীড়া সম্পাদক শাহবাল আহমেদ জনি, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক সাদনাম সাব্বির ও মোঃ আজমল মাস্টার।

শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

জামালপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত

জামালপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত

জামালপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত
জামালপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত। নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ, এসপিকে , নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, তৃনমুল উন্নয়ন সংস্থা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস এর আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। জামালপুর পিটিআই মোর এসপিকে এর অডিটরিয়ামে অনুষ্টিত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের আলোচনা সভা পরিচালনা করেন এসপিকে এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন এসপিকে এর কর্মকর্তা বৃন্দ এবং জামালপুর এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। জামালপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত। নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ, এসপিকে , নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, তৃনমুল উন্নয়ন সংস্থা, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস এর আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। জামালপুর পিটিআই মোর এসপিকে এর অডিটরিয়ামে অনুষ্টিত জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের আলোচনা সভা পরিচালনা করেন এসপিকে এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক। সভায় উপস্থিত ছিলেন এসপিকে এর কর্মকর্তা বৃন্দ
নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের জাতীয় নিরাপদ খাদ্যদিবস পালন।

নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের জাতীয় নিরাপদ খাদ্যদিবস পালন।

নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের জাতীয় নিরাপদ খাদ্যদিবস পালন।
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার বিকালে কেন্দ্রীয় ভাবে ঢাকা আগারগাঁও, কামরাংগীরচর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া ও নরসিংদী পথসভা, র‍্যালীর লিফলেট বিতরণ ও ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে voice for Safe Food (নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ)। এবারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ‘নিরাপদ খাদ্য, সমৃদ্ধ জাতি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি‘ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই আয়োজন করা হয়। নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা কেন্দ্রীয় ভাবে এই অনুষ্টানের উদ্বোধন করেন। মহাসচিব মোঃ আকবর হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা ও র‍্যালীতে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেত্রী বৃন্দ।
বিকাল ৪ টায় আগারগাঁও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর থেকে র‍্যালী শুরু হয়ে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে পথসভার মাধ্যমে শেষ হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন িরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, জি এম রোস্তম খান, মোর্শেদ আলম, জমশেদ আলী খান, রুনাল এন্ড্রোজ, বীর মুক্তি যোদ্ধা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড। মোঃ জাহাংগীর আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের অর্থসম্পাদক তানিয়া শেখ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লাবনী আহমেদ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাহবাল আহমেদ জনি,যুগ্ম প্রচার সম্পাদক সাদনাম সাব্বির,সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা, মোঃ শামীম হোসেন,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা জেলা শাখা, প্রভাত সমাজকল্যান সংস্থা ও মোঃ রইস উদ্দীন প্রভাত সমাজকল্যান সংস্থা। উপস্থিত ছিলেন স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক বৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
বক্তাগণ বলেন, সুস্বাস্থ্য ছাড়া জীবনের সকল অর্জনই বৃথা। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য যেমন প্রয়োজন, সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য। যে খাদ্য দেহের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয় পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ করে তাই স্বাস্থ্যসম্মত বা নিরাপদ খাদ্য। নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই খাদ্য উৎপাদনকারী কৃষক, কোম্পানি, ভোক্তা থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের মানুষকে সচেতন হতে হবে। খাদ্য উৎপাদন করতে কিটনাশক, স্যার বা অন্যান্য ক্যামিক্যালসহ যা ব্যবহার করছি তা অনুমোদিত কিনা, উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহণ বিপণন যথাযথ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় হচ্ছে কিনা তার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীলের ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা সবাই ভোক্তা প্রতিটি ভোক্তাকে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ আছে কিনা, কিকি উপাদান দিয়ে খাদ্যটি তৈরী ইত্যাদি বিষয় নিজ দায়িত্বে জানার মাধ্যমে নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করার চেষ্টা করতে হবে।
নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) মানববন্ধন কর্মসূচির

নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) মানববন্ধন কর্মসূচির

নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) মানববন্ধন কর্মসূচির
নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং রোজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। "চিকিৎসা সেবায় ব্যয় হ্রাসের জন্য স্বাস্থ্য বীমার গুরুত্ব" বীমা বা ইন্সুইরেন্স হচ্ছে একধরনের বিপদের সময় প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধা আর স্বাস্থ্য বীমা হলো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনায় প্রাপ্ত চিকিৎসা খরচ।স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসার আর্থিক যোগান খুবই গুরুত্বপূর্ণ অন্যথায় বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে খুবই কষ্ট পেতে হয় পরিশেষে মৃত্যু বরন করতে হয়।আবার চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর দরিদ্র পরিবার আরো দরিদ্র হচ্ছে। চিকিৎসার ব্যয় হ্রাস এবং দেশের জনগনকে দারিদ্র্যসীমা থেকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য বীমার গুরুত্ব অপরিসীম। একগবেষনায় জানা যায় বাংলাদেশের সরকার জনগনকে নুন্যতম স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে আর বাকীটা জনগন বাংলাদেশের রোগীরা ৭৫% নিজ উৎস থেকে মেটায়। দিন দিন অসংক্রামক রোগ,,জটিল রোগ দিন দিন বেড়েই চলছে। যেমন-ক্যান্সার,হ্নদরোগ,স্ট্রোক,লিভার,কিডনি,ডাবেটিকস আর দুর্ঘটায় কবলিত অংগহানী সহনীয় রোগীর সংখ্যা প্রতি বছর তুলনামুলক বেড়েই চলছে।আবার অন্যদিকে জন্মের পর প্রতিবন্ধী অটিজম,শারীরিক এইসব রোগী একজন অসচ্ছল বা মধ্যবিত্ত পরিবারের থাকে তাহলে তারাই বুঝে চিকিৎসার জন্য অর্থ যোগান দেয়া কতটা কষ্টকর। চিকিৎসার ব্যয়, ঔষধ এর আকাশচুম্বী দাম,পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ,হাসপাতালের এডমিশন চার্য,বেড চার্য,ডাক্তার ফি,অপারেশন চার্য,ডায়ালাইসিস এর উচ্চতর চার্য,আইসিইউ, সিসিইউ,লাইফসাপোর্ট এমন অনেক চিকিৎসা খাত আছে যার ব্যয় ভার বহন করতে করতে ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার নি:স্ব হয়ে যায় পরর্বতীতে এই পরিবারগুলো অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করে।অন্যদিকে প্রতিবন্ধী আর দুর্ঘটনায় কবলিত রোগীরা চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। চিকিৎসার জন্য ব্যয় মেটাতে মেটাতে পরিবারগুলো অসহায় দরিদ্র হয়ে পরছে।এমতাবস্থায় এর প্রতিকারের জন্য স্বাস্থবীমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসার আকাশচুম্বী মুল্যের জন্য দেশের জনগনের একাংশ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের নিকট যাচ্ছে না।এখন নির্মম সত্য হলো এই চিকিৎসার জন্য অনেক পরিবার নিজেদের সব সম্পত্তি হারিয়ে পথে বসেছে।এই সব অনাকাঙ্ক্ষিত সময় থেকে রক্ষার জন্য স্বাস্থবীমার গুরুত্ব রয়েছে।
স্বাস্থ্যবীমা বা ইন্সুইরেন্স হচ্ছে,,,বীমা কোম্পানির সাথে ব্যাক্তির একটি চুক্তি, ব্যাক্তির প্রদত্ত, প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বীমা কোম্পানি আকস্মিক আর্থিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপুরন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া।এখন স্বাস্থ্য বীমা করা থাকলে ব্যাক্তির প্রদত্ত অর্থের কারনে বীমার সুবিধা পাবে উল্লেখিত ব্যক্তি ফলে চিকিৎসার জন্য বিপদে পরতে হবে না এবং দারিদ্র্যতার কষাঘাতে থেকে রক্ষা পাবে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই স্বাস্থ্য বীমার গুরুত্ব থাকলেও বাংলাদেশে এর তেমন কোন ভুমিকা নাই।যদিও স্বাস্থ্যবীমা চিকিৎসার নিশ্চয়তা প্রদান করে তবুও আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবা গুরুত্বহীন হয়ে আছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে স্বাস্থ্যসেবার জন্য মাথাপিছু প্রয়োজন হবে ১৪৬ ডলার। সেখানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় ৪৬ ডলার, যার ৭৫ শতাংশ ব্যক্তির নিজের ব্যয়। ফলে আকস্মিক স্বাস্থ্য ব্যয় নিজের পকেট থেকে মেটাতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর জনগণের বিশাল অংশ দরিদ্র হয়ে পড়ছে।প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১০কোটি মানুষ এই চিকিৎসার জন্য দরিদ্র থেকে হতদরিদ্র হচ্ছে।তাই দেশের নাগরিকদের দারিদ্র্যের কবল থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যবীমার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।আগে টাকা দিবো পরে চিকিৎসা নিবো এই মানসিকতা থেকে বের করতে হবে। এই দায়িত্ব বীমা কোম্পানি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারীভাবে উদ্দ্যেগ নিতে হবে।জনগনকে আগ্রহী ও সচেতন করে স্বাস্থবীমার প্রচলন করে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করার প্রতিও জোর দিতে হবে। আজ মানববন্ধনের সভাপতি ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) সামাজিক সংগঠন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যুবরাজ খান। সঞ্চালনে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জমসেদ আলী খান কিরন, বক্তব্য দিয়েছেন মো:আনোয়ার হোসেন শিপলু, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব উম্মে সালমা,ঢাকা মহানগর দক্ষিন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালেহ আকবর এবং আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩

 'ভয়েস ফর সেইফ ফুড' এর নতুন পথচলা শুরু

'ভয়েস ফর সেইফ ফুড' এর নতুন পথচলা শুরু

'ভয়েস ফর সেইফ ফুড'(Voice for Safe Food(VSF) নতুন বছরে নতুন পথচলা শুরু করেছে।
সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য কীভাবে নিশ্চিত করা যায় এ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইবনুল সাঈদ রানা জানান নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি বর্তমানে বেশ আলোচিত। নানাভাবে খাদ্যে ভেজাল ও কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষ এ খাবার গ্রহণ করছে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। মানুষের সুস্থ জীবনের জন্য নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে না পারলে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করার কথা চিন্তাও করা যায় না। কৃষিতে ঢালাওভাবে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার হচ্ছে। মাংস উৎপাদনে অসচেতনভাবে ভেটেরিনারি ডোজ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কর্তৃপক্ষকে বাজারে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য ও স্বাস্থ্য একটি আরেকটির পরিপূরক। ইউএসএআইডি নিরাপদ খাদ্যের ওপর জোর দেওয়ার সঙ্গে খাদ্যের উৎপাদন ও অন্য বিষয়গুলো তদারক করে। সর্বোপরি সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে সরকারি, বেসরকারি খাতসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সচেতনাতার সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের এই কার্য্যক্রম শুরু হলো।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ আকবর হোসেন স্বদেশ সময়কে জানান বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সচেতনতার মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করতে হবে। সর্বোপরি নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। কৃষক বাজারজাত করার সময় খাদ্য দূষিত করে, ক্রেতা ভালো পণ্যের সঙ্গে ভেজাল পণ্যের মিশ্রণ ঘটিয়ে খাদ্যের দূষণ ঘটায়। এই দূষণ রোধ করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বাজারের তাজা মাছ কোন পরিবেশে বড় হয়েছে, সেটি কিন্তু মাছের গুণগত মান নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। মাছকে যে খাবার দেওয়া হয়, তা থেকেও মানুষের শরীরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। এ জন্য উৎপাদনের পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর করতে হবে। নতুবা ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাবে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করতে হবে। গবেষণার ফলের ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করতে হবে।

শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২

২০ ডিসেম্বর থেকে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ  দেওয়ার কার্যক্রম।

২০ ডিসেম্বর থেকে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম।

আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম। কোনো ধরনের জটিলতা দেখা না দিলে নতুন বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) থেকে সারা দেশে এ কার্যক্রম চালু হবে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুর কবির। তিনি বলেন, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, সম্মুখযোদ্ধা ও যাদের একাধিক জটিল রোগ আছে, তাদেরকে প্রথমে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৭ নভেম্বর) টিকার চলমান ক্যাম্পেইন শেষ হচ্ছে। তাই, এবার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। আহমেদুল কবির বলেন, ‘চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনায় রাজধানীর সাতটি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সাতটি কেন্দ্র হচ্ছে—ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এসএমএসের মাধ্যমে আগের দিন নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষামূলকভাবে যাদেরকে টিকা দেওয়া হবে, তাদের দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কোনো ধরনের জটিলতা দেখা না দিলে ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে এ কার্যক্রম শুরু হবে। চতুর্থ ডোজ দেওয়ার কারণ উল্লেখ করে আহমেদুল কবির বলেন, টিকা নেওয়ার চার মাস পর সাধারণত অ্যান্টিবডির মাত্রা কমে যেতে থাকে। এছাড়া, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২

ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ২৫৩

ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ২৫৩

সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক দিনে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ১৭১ জন। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৩০ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২৩ জন। বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৮৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রয়েছেন ৪৮৮ জন। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু-আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৮ হাজার ১৮ জন।

রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৬

দেশীয় ওষুধেই হেপাটাইটিস সি নির্মূল

দেশীয় ওষুধেই হেপাটাইটিস সি নির্মূল

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:

দেশীয় ওষুধেই হেপাটাইটিস সি নির্মূল বাংলাদেশে তৈরি ওষুধে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল হয় এবং  এতে আরোগ্য লাভের মাত্রাও অনেক বেশি। মুখে খাওয়ার এ ওষুধের দাম রোগীদের সাধ্যের মধ্যে। এ ছাড়া এসব ওষুধ অনেকটাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।

রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাব কমিটির উদ্যোগে ‘হেপাটাইটিস সি : এন আপডেট’ শীর্ষক এ  মাসিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে উত্থাপিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, দুই-তিন বছর আগেও হেপাটাইটিস সির তেমন কার্যকরী চিকিৎসা ছিল না। তখন হেপাটাইটিস সির চিকিৎসায় ইজেকশনের মাধ্যমে শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা হতো। ওই চিকিৎসা ছিল দীর্ঘমেয়াদী, ব্যয়বহুল, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াযুক্ত এবং আরোগ্য লাভের মাত্রা ছিল সামান্য। কিন্তু গত দুই থেকে তিন বছরে হেপাটাইটিস সির চিকিৎসায় মুখে খাওয়া ওষুধে ব্যাপক পরিবর্তন ও সাফল্য পরিলক্ষিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার সাব কমিটির সভাপতি এবং শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল।

সেমিনারে হেপাটাইটিস সির ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ ও ডা. রাজিবুল আলম।
 

বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৬

ঘুমানোর আগে যেসব অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত

ঘুমানোর আগে যেসব অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত

প্রতীকী ছবি ভালো ঘুম ভালো দিনের শুরু করে। শরীর মন সতেজ থাকে। কাজের উদ্যম থাকে দ্বিগুণ। কোনো কাজ করতে গেলে প্রফুল্লতা পাওয়া যায়।
শরীর সুস্থ রাখার জন্যও ভালো ঘুমের দরকার। আর সেই ঘুমকে ভালো রাখার জন্য আমাদের কয়েকটা নিয়ম মেনে চলা দরকার। ঘুমোতে যাওয়ার আগে আমাদের অনেকের অনেক অভ্যাস আছে। তবে তা সব ভালো বা খারাপ নয়। আমাদের জেনে নেওয়া উচিত কখন কোন কাজটি করা দরকার।  ঘুমানোর আগের কিছু কাজ আছে যা কখনোই করা উচিত নয়। এছাড়া ভালো ঘুমের জন্যও কিছু কাজ করা উচিত। আসুন সেগুলো জেনে নিই।
* ঘুমানোর ঠিক আগে পানি খাবেন না: ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে পানি খাওয়া উচিত নয়। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করুন। আর তা না হলে ঘুমানোর সময় অস্বস্তি হতে পারে। মাঝরাতে কয়েক বার উঠতে হতে পারে টয়লেট ঘরে যাওয়ার জন্য।
* ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করবেন না: ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করা ঠিক না। বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ব্যায়াম সেরে ফেলতে পারেন। ব্যায়াম করার পর কমপক্ষে তিন ঘণ্টা পর ঘুমানো উচিত।

* দিনের মাঝামাঝি তন্দ্রান্বিত না হওয়া: আপনার রাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম না হয় তাহলে আপনার দিনের বেলা তন্দ্রা হবে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার রাতের বেলা ঘুম যেন পরিপূর্ণ হয়। ঠিক সময় ধরে প্রতিদিন ঘুমাতে যেতে হবে।

* ইলেকট্রনিক্সের ডিভাইস দূরে রাখা: ঘুমানোর সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এগুলো দূরে সরিয়ে রাখুন। কারণ এই ডিভাইসগুলো কিছুক্ষণ পর পর রেডিয়েশন পাঠায় আর তা শরীরের জন্য খুবই খারাপ। তাই ঘুমানোর পূর্বে এই ডিভাইসগুলো সরিয়ে রাখুন।

* বিছানায় শুয়ে না পড়া: অনেকে রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে বই পড়তে পছন্দ করেন। এটা করবেন না। ঘুমানোর আগে বসে বই পড়ে তারপর ঘুমাতে যাবেন।

* উজ্জ্বল নম্বরের অ্যালার্ম ঘড়ি না কেনা: সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠার জন্য অ্যালার্ম ঘড়ির দরকার আছে। তাই বলে উজ্জ্বল নম্বর ওয়ালা ঘড়ি কিনবেন না। এতে আপনার ঘুমের অসুবিধা হতে পারে।

* বিছানা ভালো হতে হবে: আপনি যেখানে ঘুমাবেন সেই ঘুমানোর জায়গা যদি ভালো না হয় তাহলে ঘুমের অসুবিধা হওয়াটা স্বাভাবিক। তাই আরামদায়ক ঘুমের জন্য ভালো বিছানা বা ম্যাট্রেস দরকার।
* রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেতে হবে: রাতে ভালো ঘুমের জন্য রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। তা না হলে ঘুমানোর সময় অস্বস্তি হতে পারে। ঠিকমতো ঘুম নাও হতে পারে। তাই রাতের খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পরে ঘুমান।
* পা গরম রাখা: পা ঠান্ডা থাকলে ঘুম আসে না তাই ঘুমানোর সময় পা গরম রাখা উচিত। পা গরম থাকলে ঘুম ভালো হয়।
* বেড টাইম রুটিন: সবার একটা বেড টাইম রুটিন থাকা দরকার। যেমন টয়লেটে যাওয়া, দাঁত ব্রাশ করা, ঘুমানোর জন্য বিছানা তৈরি তারপর ঘুমাতে যাওয়া।

* কফি খাবেন না: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কফি খাবেন না। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। অপর্যাপ্ত ঘুম হবে।

* শোয়ার ধরন হতে হবে আরামদায়ক: রাতে এমনভাবে শুয়ে ঘুমানো উচিত যাতে করে ভালো ঘুম হয়। আপনি যদি ঠিকভাবে শুতেই না পারেন তাহলে ঘুমাবেন কীভাবে। তাই আপনার শোয়ার ধরনের ওপরও ভালো ঘুম নির্ভর করে।
সুস্থ শরীর ও সুস্থ মনের জন্য ভালো ঘুম অবশ্যই দরকার। আর তাই ওপরের নিয়মগুলো মেনে চলুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে আপনি কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন না। তাই পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান এবং সুস্থ থাকুন।
 

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

শোক দিবসে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

শোক দিবসে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:


শোক দিবসে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাসচিবালয় প্রতিবেদক :  জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট দেশের সব সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেবে সরকার।

এদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিনামূল্যে হাসপাতালগুলোতে এই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। পাশাপাশি রোগীর রক্ত পরীক্ষা, ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষাও বিনামূল্যে করাতে পারবেন।

জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেয়। সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

সভায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি এদিন সকাল ৭টায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন  কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন, সব হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কালো ব্যাজ ধারণ।

শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬

সুস্থ থাকার কিছু উপায়

সুস্থ থাকার কিছু উপায়

শরীর এবং দাঁত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ব্যবহৃত জিনিসপত্রআমাদের মধ্যে কেউই অসুস্থ হতে চায় না। কারণ অসুস্থতা মানেই ঝামেলা এবং খরচের ব্যাপার। অসুস্থ হলে যে শুধু খারাপ লাগে তা-ই নয়, এর ফলে একজন ব্যক্তি কাজে বা স্কুলে যেতে পারেন না, অর্থ উপার্জন করতে পারেন না অথবা নিজ পরিবারের দেখাশোনাও করতে পারেন না। উপরন্তু সেই ব্যক্তির দেখাশোনা করার জন্য আরেকজন লোকের প্রয়োজন হয় এবং তাকে হয়তো দামি দামি ওষুধ কেনার অথবা চিকিৎসা করানোর জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
একটা সুপরিচিত প্রবাদ বলে, “বিপদ আসার আগেই সাবধান হওয়া ভালো।” এটা ঠিক যে, কিছু কিছু রোগ এড়ানো যায় না। তবে, সহজেই অসুস্থ না হওয়ার অথবা অসুস্থতা রোধ করার জন্য আপনি অনেক কিছু করতে পারেন। পাঁচটা বিষয় বিবেচনা করুন, যেগুলো আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

 ১ উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন

মেয়ো ক্লিনিকের মতে, “অসুস্থতা এবং রোগ সংক্রমণ এড়ানোর সবচেয়ে ভালো একটা উপায়” হল, হাত ধোয়া। সর্দিকাশি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, হাতে জীবাণু থাকা অবস্থায় নাক বা চোখ ঘষা। এই ধরনের জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল, নিয়মিতভাবে হাত ধোয়া। উত্তম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বিভিন্ন মারাত্মক রোগের সংক্রমণও এড়ানো যায় যেমন, নিউমোনিয়া এবং ডায়েরিয়া। এই ধরনের রোগের কারণে প্রতি বছর কুড়ি লক্ষেরও বেশি শিশু মারা যায়, যাদের বয়স পাঁচ বছরের নীচে। হাত ধোয়ার মতো সাধারণ অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে এমনকী মারাত্মক ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণের হার কমানো যেতে পারে।
বিশেষভাবে নির্দিষ্ট কিছু সময়ে হাত ধোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি নিজেকে ও অন্যদের সুস্থ রাখতে পারেন। মূলত এই সময়গুলোতে হাত ধোয়া উচিত:
  • টয়লেট ব্যবহার করার পরে।
  • বাচ্চাদের ডায়াপার বদলানোর পর অথবা তাদের টয়লেট করানোর পরে।
  • ক্ষতস্থান অথবা কাটা জায়গা পরিষ্কার করে ওষুধ লাগানোর আগে এবং পরে।
  • কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার আগে এবং পরে।
  • খাবার প্রস্তুত করার, তা পরিবেশন করার অথবা খাওয়ার আগে।
  • হাঁচি দেওয়ার, কাশি দেওয়ার এবং নাক ঝাড়ার পরে।
  • কোনো পশুর গায়ে হাত দেওয়ার অথবা তাদের মল-মূত্র পরিষ্কার করার পরে।
  • আবর্জনা পরিষ্কার করার পরে।
আর সঠিকভাবে হাত ধোয়ার বিষয়টাকে হালকাভাবে নেবেন না। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই পরে হাত ধোয় না অথবা ধুলেও, সঠিকভাবে ধোয় না। কীভাবে হাত ধোয়া উচিত?
  • পরিষ্কার জলের নীচে হাত ভেজান এবং সাবান লাগান।
  • দু-হাত ঘষে ফেনা তৈরি করুন ও সেইসঙ্গে অবশ্যই নখ, বৃদ্ধাঙ্গুল, হাতের পিছন দিক এবং আঙুলের মাঝের জায়গা পরিষ্কার করুন।
  • অন্ততপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষুন।
  • পরিষ্কার জলের নীচে হাত ধোন।
  • কোনো পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে হাত মুছুন।
যদিও এই বিষয়গুলো খুবই সাধারণ কিন্তু এগুলো অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা করার এবং জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী।

 ২ বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করুন

এক গ্লাস বিশুদ্ধ জল এবং কয়েক টুকরো লেবু
কিছু কিছু দেশে পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ জল সরবরাহ করা রোজকার বিষয়। কিন্তু, পৃথিবীর যেকোনো জায়গায়ই বিশুদ্ধ জল পাওয়া সেই সময় কঠিন হয়ে উঠতে পারে, যখন বন্যা, ঝড়, পাইপ ভেঙে যাওয়া অথবা অন্যান্য কারণে জলের প্রধান উৎস দূষিত হয়ে পড়ে। জলের উৎস যদি নিরাপদ না হয় এবং জল সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখা না হয়, তা হলে এতে রোগজীবাণু জন্মাতে পারে ও সেইসঙ্গে কলেরা, প্রাণনাশক ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগ হতে পারে। একটা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর ১৭০ কোটি লোক ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয় আর এর একটা প্রধান কারণ হল, দূষিত জল পান করা।
সহজেই অসুস্থ না হওয়ার অথবা অসুস্থতা রোধ করার জন্য আপনি অনেক কিছু করতে পারেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসুস্থ ব্যক্তির মলের দ্বারা দূষিত জল ও খাবার খাওয়ার কারণে কলেরা হয়ে থাকে। এই ধরনের এবং অন্যান্য জল দূষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য আপনি কোন পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন, এমনকী তা যদি কোনো দুর্যোগের ঠিক পরেও হয়ে থাকে?
  • লক্ষ রাখুন যাতে পানীয় জল ও সেইসঙ্গে দাঁত ব্রাশ করার, আইস কিউব তৈরি করার, খাবার ও বাসনপত্র ধোয়ার অথবা রান্না করার জল নিরাপদ উৎস থেকে আসে; সেই উৎস হতে পারে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সরবরাহকৃত ভালোভাবে পরিশোধিত জল অথবা নির্ভরযোগ্য কোম্পানির দ্বারা সরবরাহকৃত সিল করা বোতল।
  • কোনোভাবে যদি পাইপের জল দূষিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তা হলে সেই জল ব্যবহার করার আগে ফুটিয়ে নিন অথবা উপযুক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে জল পরিশোধন করে নিন।
  • বিভিন্ন কেমিক্যাল যেমন, ক্লোরিন অথবা জল পরিশোধক ট্যাবলেট ব্যবহার করার সময় প্রস্তুতকারী সংস্থার নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে তা অনুসরণ করুন।
  • গুণগত মানসম্পন্ন জলের ফিলটার ব্যবহার করুন, যদি তা সহজেই পাওয়া যায় এবং কেনার সামর্থ্য থাকে।
  • এমনকী জল পরিশোধন করার কেমিক্যালও যদি পাওয়া না যায়, তা হলে ঘরে ব্যবহারযোগ্য ব্লিচ ব্যবহার করুন, ১ লিটার জলে দু-ফোঁটা (১ গ্যালন জলে আট ফোঁটা) ব্লিচ ভালোভাবে মিশিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন এবং এরপর ব্যবহার করুন।
  • পরিশোধিত জল সবসময় পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে রাখুন, যাতে তা আবারও দূষিত হয়ে না যায়।
  • লক্ষ রাখুন যাতে জল তোলার পাত্র পরিষ্কার থাকে।
  • পরিষ্কার হাতে জলের পাত্র ব্যবহার করুন এবং জল তোলার সময় হাত ও আঙুল জলের মধ্যে ডোবাবেন না।

 ৩ খাবারের প্রতি খেয়াল রাখুন

বিভিন্ন প্রকারের পুষ্টিকর খাবার
পুষ্টি ছাড়া ভালো স্বাস্থ্য সম্ভব নয় আর পুষ্টি লাভ করার জন্য স্বাস্থ্যকর, সুষম খাবার প্রয়োজন। আপনার খাদ্য তালিকার মধ্যে লবণ, চর্বি ও শর্করাযুক্ত খাবার থাকতে হবে, তবে লক্ষ রাখবেন যেন তা অতিরিক্ত হয়ে না যায়। এই তালিকার মধ্যে যেন ফলমূল ও শাকসবজিও থাকে আর খাবারে যেন বৈচিত্র্য থাকে। পাউরুটি, সিরিয়াল, পাস্তা অথবা চাল কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে লেখা উপকরণের তালিকা দেখে নিন, যাতে আপনি ভুসিযুক্ত খাবার বেছে নিতে পারেন। ভুসি ছাড়ানো শস্য থেকে তৈরি খাবারের বিপরীতে এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ফাইবার থাকে। প্রোটিন পাওয়ার জন্য অল্প পরিমাণ এবং কম চর্বিযুক্ত মাংস খান আর সপ্তাহে অন্ততপক্ষে কয়েক বার মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। কিছু দেশে উদ্ভিদ থেকে প্রস্তুত এমন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার পাওয়া যায়।
আপনি যদি শর্করা-জাতীয় খাবার এবং প্রচুর চর্বি রয়েছে এমন খাবার খুব বেশি খান, তা হলে আপনি অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। এই ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে, এমন পানীয়ের পরিবর্তে জল খান। শর্করা-জাতীয় ডেজার্টের পরিবর্তে বেশি করে ফল খান। যে-খাবারগুলোতে প্রচুর চর্বি রয়েছে সেগুলো কম খান, যেমন সসেজ, মাংস, মাখন, কেক, চিজ ও কুকিজ। আর রান্নার জন্য মাখন অথবা ঘি ব্যবহার করার পরিবর্তে, স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো এমন তেল ব্যবহার করুন।
আপনার খাদ্য তালিকার মধ্যে যদি এমন খাবার থাকে, যেগুলোতে অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়াম রয়েছে, তা হলে সেটা আপনার রক্তচাপ মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার যদি এই সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে সোডিয়ামের মাত্রা কমানোর জন্য প্যাকেটজাত খাবারের গায়ে উপকরণের তালিকা দেখে নিন। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য লবণের পরিবর্তে বিভিন্ন পাতা বা মশলা ব্যবহার করুন।
আপনি কী খান, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, এর পাশাপাশি আপনি কতটা খান, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই, খাওয়ার সময় খিদে শেষ হয়ে গেলেও খেতে থাকবেন না।
পুষ্টির সঙ্গে ফুড পয়জনিংয়ের বিষয়টাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেকোনো খাবারেই আপনার ফুড পয়জনিং হতে পারে, যদি তা ভালোভাবে তৈরি করা ও সংরক্ষণ করা না হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র (WHO) রিপোর্ট অনুসারে এইরকম খাবার খাওয়ার কারণে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ লোক অসুস্থ হয়। যদিও অনেকে এগুলোর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়, কিন্তু এগুলোর ফলে কেউ কেউ তাদের প্রাণ হারায়। এই ঝুঁকি কমানোর জন্য আপনি কী করতে পারেন?
  • শাকসবজিতে হয়তো সার দেওয়া থাকতে পারে, তাই সেগুলো ব্যবহার করার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন।
  • প্রতিটা খাবার তৈরি করার আগে আপনার হাত, কাটিং বোর্ড, কাটার যন্ত্রপাতি, বাসনপত্র এবং রান্নাঘরের উপরিভাগের মেঝে গরম জল ও সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
  • খাবার যাতে আবারও দূষিত না হয়ে পড়ে, তাই কখনোই এমন কোনো জায়গায় অথবা পাত্রে খাবার রাখবেন না, যেখানে আগে কাঁচা ডিম, মাংস অথবা মাছ রাখা হয়েছিল। এইরকম কোনো জায়গা বা পাত্র ব্যবহার করার আগে তা ধুয়ে নিন।
  • সঠিক তাপমাত্রায় না পৌঁছানো পর্যন্ত খাবার রান্না করুন এবং সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এমন যেকোনো খাবার সঙ্গেসঙ্গে না খেলে তাড়াতাড়ি তা ফ্রিজে রাখুন।
  • ঘরের তাপমাত্রা যদি ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে, তা হলে সেখানে সহজেই নষ্ট হয়ে যায় এমন খাবার এক বা দু-ঘন্টার বেশি সময় থাকলে, সেটা ফেলে দিন।

 ৪ শারীরিক পরিশ্রম করুন

একটা ফুটবল এবং ফুটবল খেলার জুতো
আপনার বয়স যা-ই হোক না কেন, সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিতভাবে শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন। আজকাল লোকে যথেষ্ট ব্যায়াম করে না। ব্যায়াম করা কেন গুরুত্বপূর্ণ? শারীরিক পরিশ্রম করা আপনাকে এই বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে:
  • ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন।
  • সচল থাকবেন।
  • মজবুত হাড় এবং শক্তিশালী পেশি গড়ে তুলতে পারবেন।
  • ওজন ঠিক রাখতে অথবা ওজন সঠিক মাত্রায় নিয়ে আসতে পারবেন।
  • বিষণ্ণতা রোগের ঝুঁকি কমাতে পারবেন।
  • অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারবেন।
আপনি যদি শারীরিক পরিশ্রম না করেন, তা হলে আপনার হয়তো এই বিষয়গুলো হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে:
  • হার্টের রোগ।
  • টাইপ ২ ডায়াবেটিস।
  • উচ্চ রক্তচাপ।
  • হাই কোলেস্টেরল।
  • স্ট্রোক।
কোন ধরনের শরীরচর্চা আপনার জন্য উপযুক্ত, সেটা যেহেতু আপনার বয়স এবং স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে, তাই কোনো নতুন ব্যায়াম শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বিজ্ঞতার কাজ। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতে, ছোটো ছেলে-মেয়ে এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৬০ মিনিট হালকা থেকে শুরু করে ভারী ব্যায়াম করা উচিত। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হালকা ব্যায়াম অথবা ৭৫ মিনিট ভারী ব্যায়াম করা উচিত।
আপনি করতে উপভোগ করেন এমন বিষয় বেছে নিন। আপনি হয়তো এই বিষয়গুলো করতে পারেন, যেমন বাস্কেটবল, টেনিস ও ফুটবল খেলা, জোরে হাঁটা, সাইকেল চালানো, বাগান করা, কাঠ কাটা, সাঁতার কাটা, নৌকা চালানো, জগিং করা অথবা অন্যান্য এয়ারোবিক্‌স করা। কোনটা হালকা ব্যায়াম অথবা কোনটা ভারী ব্যায়াম, সেটা আপনি কীভাবে নির্ধারণ করতে পারেন? সাধারণত হালকা ব্যায়াম করার সময় আপনার ঘাম হবে কিন্তু ভারী ব্যায়াম করার সময় আপনি কথা বলতে পারবেন না।

 ৫ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান

নিরিবিলি ও আরামদায়ক এক বেডরুম
কার কতটা ঘুমের প্রয়োজন, সেটা ব্যক্তি-বিশেষের উপর নির্ভর করে। অধিকাংশ নবজাত শিশু দিনে ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা ঘুমায়; ১-৩ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা প্রায় ১৪ ঘন্টা এবং ৩-৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা প্রায় ১১ অথবা ১২ ঘন্টা ঘুমায়। স্কুলে যায় এমন ছেলে-মেয়েদের অন্ততপক্ষে ১০ ঘন্টা, কিশোর-কিশোরীদের প্রায় ৯ অথবা ১০ ঘন্টা এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কারণগুলোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো প্রয়োজন:
  • ছোটো ছেলে-মেয়ে এবং কিশোর-কিশোরীদের বৃদ্ধি ও বিকাশ।
  • নতুন তথ্য জানা ও তা মনে করে রাখা।
  • হরমোনের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা, যা বিপাকক্রিয়ায় ও ওজনের উপর প্রভাব ফেলে।
  • হার্ট ভালো রাখা।
  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি।
পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে স্থূলতা, বিষণ্ণতা, হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস এবং বিভিন্ন দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিশ্চিতভাবেই, এই বিষয়গুলোর জন্য আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়ার উত্তম কারণ রয়েছে।
তাই, আপনি যদি বুঝতে পারেন যে, আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাচ্ছেন না, তা হলে কী করতে পারেন?
  • প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।
  • আপনার বেডরুমের পরিবেশ যেন নিরিবিলি, অন্ধকার ও আরামদায়ক থাকে এবং রুমের তাপমাত্রা যেন খুব বেশি বা খুব কম না হয়।
  • বিছানায় শুয়ে টেলিভিশন দেখবেন না অথবা ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহার করবেন না।
  • আপনার বিছানা যেন যতটা সম্ভব আরামদায়ক হয়।
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার অথবা মদ্য-জাতীয় পানীয় খাবেন না।
  • এই পরামর্শগুলো কাজে লাগানোর পরও আপনি যদি অনিদ্রা রোগে ভোগেন অথবা আপনার ঘুমের অন্যান্য সমস্যা হয়, যেমন দিনে অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া অথবা ঘুমানোর সময় শ্বাসকষ্ট হওয়া, তা হলে আপনি উপযুক্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।