ফিচার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ফিচার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

🌍 “জলবায়ু নয়, বদল হোক আমাদের মনোভাব!” ✍️ মো. আকবর হোসেন

🌍 “জলবায়ু নয়, বদল হোক আমাদের মনোভাব!” ✍️ মো. আকবর হোসেন


🌍 জলবায়ু পরিবর্তনের আমাদের করণীয়,  ✍️ মো. আকবর হোসেন

জলবায়ু পরিবর্তন আজ বৈশ্বিক সংকট। উষ্ণতা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়া, অনিয়মিত বৃষ্টি, খরা, ঘূর্ণিঝড়—এসবই এর ভয়াবহতা প্রতিনিয়ত আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আজ শুধু সচেতনতা নয়, বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণও জরুরি।

বিশ্বের ধনী ও উন্নত দেশগুলো যতটা দায়ী শিল্পায়নের জন্য, ততটাই দায় আমাদেরও নিজেদের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার জন্য। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের নিতে হবে কিছু তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ।
 

করণীয়:

১️. ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা গড়ে তোলা:

প্রতিদিনকার ছোট ছোট অভ্যাস—বিদ্যুৎ অপচয় না করা, পানির অপচয় রোধ, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো ইত্যাদি—বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।

২️. গাছ লাগানো ও সবুজায়ন:

প্রতিটি মানুষ বছরে অন্তত ২টি গাছ লাগালে দেশের বনায়ন বাড়বে, বায়ু থাকবে বিশুদ্ধ, জলবায়ুর ভারসাম্য কিছুটা হলেও ফিরে আসবে।
 

৩। নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া:

সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ—এইসব পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

৪️. প্রশাসনিক ও সামাজিক উদ্যোগ:

শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলবায়ু শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৫️. শিশু-কিশোরদের পরিবেশ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা:

পরবর্তী প্রজন্মকে এখন থেকেই পরিবেশ সচেতনতায় শিক্ষিত করলে ভবিষ্যতে এর সুফল পাওয়া যাবে। 

জলবায়ু পরিবর্তনের দায় শুধু বড় দেশগুলোর নয়। আমাদের প্রত্যেকের জীবনধারায় পরিবর্তন আনাই পারে এই পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য করে তুলতে। আমরা যদি এখনই না জাগি, তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে দায়ী থাকতে হবে আমাদেরই।


“জলবায়ু নয়, বদল হোক আমাদের মনোভাব!”


মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫

 একজন অসহায় রিক্সাচালকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সমাজসেবক নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম

একজন অসহায় রিক্সাচালকের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে এলেন সমাজসেবক নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম

 

             নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিম এর পক্ষে নগদ টাকা তুলে দেন স্বদেশ মৃত্তিক মানব উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আকবর হোসেন

  ঢাকা, ৯ জুন ২০২৫:

একজন হতভাগ্য রিক্সা চালক—নামটি হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু তাঁর কষ্ট, তাঁর যুদ্ধটা খুব বাস্তব। মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। জরুরি চিকিৎসা না করলে তার জীবন বাঁচানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু হাত ছিল খালি, চোখে ছিল একরাশ অনিশ্চয়তা।

ঠিক এমনই এক মুহূর্তে সাহস ও মানবতার দীপ্ত আলো হয়ে সামনে আসেন নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার অসাধারণ টিম।
সংগঠিতভাবে তারা দ্রুত অর্থ সংগ্রহ করেন, চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং এই অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়ান। 

এখন তিনি চিকিৎসাধীন, ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। ৯ জুন ২০২৫ রাতে বাড়ি ফিরেন তিনি। 

এই ঘটনা প্রমাণ করে, এখনও সমাজে এমন মানুষ আছেন যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ান।
নুরুস সাবাহ মিঠু ও তার টিমের এই উদ্যোগ শুধু একটি প্রাণই রক্ষা করেনি—জাগিয়ে তুলেছে আশার আলো, ছড়িয়ে দিয়েছে মানবতার বার্তা।

 নুরুস সাবাহ মিঠু ও স্বদেশ মৃত্তিকার এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম সমাজে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পথের একজন সাধারণ রিক্সাওয়ালার জীবন বাঁচাতে তারা যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং অনুকরণীয়। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫

পথশিশু ও শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আসুন

পথশিশু ও শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আসুন

শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না, কুয়াশাচ্ছন্ন সূর্যবিহীন দিন যাচ্ছে। সূর্যের দেখা না পাওয়ায় প্রচণ্ড ঠান্ডায় লোকজন পথশিশুরা শুকনো কাঠ, ঘাস শুকনো ময়লা আবর্জনা স্তূপে আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাপ নিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

কনকনে শীতে শীতবস্ত্রহীন অসহায় মানুষ এবং পথশিশুরা রাতযাপন করছেন ফুটপাতে। এমন দৃশ্য খবরের কাগজ টিভির পর্দায় দেখতে পাওয়া যায়। শীত আসে ধনীদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে আর অসহায় গরীব পথশিশুদের জন্য আসে দুঃখ হয়ে। সমাজের ধনী শ্রেণির মানুষের দামি লেপ কম্বল সহজেই শীতের রাত আরামদায়ক করছে। ঘুমও ভালো হয় শীতের সময়।

অন্যদিকে অসহায় গরীব-দুঃখী, পথশিশুদের জন্য চরম কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। কারণ দামি শীতবস্ত্র, লেপ-কম্বল কেনার সামর্থ্য নেই তাদের। পথশিশু ফুটপাতে জীবন অতিবাহিত করা লোকজনের শরীর ঢাকার মতো পোশাক পর্যন্ত থাকেনা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারেন না তারা। ফলে সারাদিন দুমুটো ভাত পর্যন্ত জোটে না। দুই-তিনদিন পার হয়ে যায় অর্ধাহারে,অনাহারে। কোনো এক উষ্ণ জায়গায় কুঁজো দিয়ে দিনরাত পার করে দেন।

সবচেয়ে বেশি কষ্ট পান বৃদ্ধ এবং শিশুরা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাতরাতে থাকে। অনেকে ঠান্ডাজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি তীব্র ঠান্ডায় অনেকে মারাও যায়। এমতাবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

আমাদের দেশে আঞ্চলিক কিছু কথা আছে, ‘পৌষের শীতে ভূত কাপে আর মাঘের শীতে বাঘ ডোরে’(গর্জন)পৌষ গেল, মাঘ আইল শীতে কাঁপে বুক/দুঃখীর না পোহায় রাতি হইল বড় দুখ।গ্রামবাংলার কথাগুলোর মাধ্যমে আমাদের দেশের অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের শীতকালীন দৃশ্য ফুটে উঠে। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে ঋতুর পালাবদল ঘটে। এই পালা বদলের হাত ধরেই শীত আসে আবার যায়। এটা স্রষ্টা প্রদত্ত প্রকৃতির নিয়ম যা ঋতুর চক্রাকারে হতে থাকে।

দেশের গরীব দুঃখী অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র বিতরণে মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফুটানো শীত থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করা উচিত। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদের শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে আমাদের নজর দিতে হবে ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু বয়স্কদের প্রতি। মানবতার পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে সর্বোত্তম কাজ। যা একজন মানুষকে উদার বড় করে তোলে।

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, তাই গরিব-অসহায়, দুস্থের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা প্রদর্শন সহানুভূতিশীল হওয়া অত্যাবশ্যক। সব মানুষের উচিত সমগ্র সৃষ্টির প্রতি দয়া-মায়া, অকৃত্রিম ভালোবাসা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি সহানুভূতি বজায় রাখা। তাই দেশের সর্বস্তরের ধনাঢ্য, বিত্তবান, শিল্পপতি ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি, আপনারা চলতি শীত মৌসুমে শীতার্ত গরিব, অসহায়, দুঃখী মানুষকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পাড়া-মহল্লায় নতুন বা পুরোনো কিছু শীতবস্ত্র বিতরণে অকাতরে সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করুন।

সমাজের সামর্থ্যবান বিত্তশালীরা এসব শীতার্ত মানুষের প্রতি সাহায্য সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করলেই হাড় কাঁপুনি শীত থেকে তারা মুক্তি পেতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র সরবরাহ করে সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে এসে মানবিক সহায়তায় এগিয়ে এলেই শীত নিবারণের পাশাপাশি তাদের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব। আসুন, আমরা সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই। এটি আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আমাদের দায়িত্ববোধই হতে পারে অসহায়ের সহায়।