রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

৫২তম বাংলাদেশ লিও ডে উদযাপন

৫২তম বাংলাদেশ লিও ডে উদযাপন

 

৫২তম বাংলাদেশ লিও ডে উদযাপন

 

Leo Club of Dhaka Aristocrat এবং Leo Club of Aristocrat Sunshine, স্পন্সরকৃত Lions Club of Dhaka AristocratLions Club of Dhaka Banani Model Town-এর উদ্যোগে এবং স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন-এর সহযোগিতায় আয়োজিত হলো দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠান।

২৩ আগস্ট, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো লিও আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সেই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এ বছর পালিত হলো ৫২তম বাংলাদেশ লিও ডে

অনুষ্ঠানে পাঁচটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়—
১. কুরআন তেলাওয়াত
২. গান
৩. নৃত্য
৪. কবিতা আবৃত্তি
৫. চিত্রাঙ্কন

শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অংশগ্রহণ করে এবং নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শন করে। বিচারকমণ্ডলীর সামনে প্রতিযোগীরা দুর্দান্ত পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। প্রতিটি ক্যাটাগরির সেরা প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করা হয়, যাতে তারা অনুপ্রাণিত হয়ে আরও বড় স্বপ্ন দেখতে পারে এবং জীবনে এগিয়ে যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে একটি কেক কাটা হয় এবং ১২০ জন অংশগ্রহণকারীর জন্য সুস্বাদু মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।

পুরো অনুষ্ঠানটি সম্মানিত অতিথিদের উপস্থিতিতে আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। উপস্থিত ছিলেন—

  • Past District Governor Ln. Halen Akhter Nasrin PMJF

  • Past District Governor Ln. Md. Lutfor Rahman MJF

  • Spouse of First Vice Governor (24-25) Ln. Rozina Shaheen Muna

  • Second Vice Governor (24-25) Ln. Dr. Khandaker Mazharul Anwar MJF

  • Region Chairperson (HQ) (24-25) Ln. Rafiqul Bari Mukta

  • Cabinet Secretary (23-24) Ln. Ashiquzzaman Chowdhury Emon

ক্লাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন—

  • Leo Club Advisor Ln. Shireen Akhter Ruby

  • Lions Club President Ln. Roksana Akhter

  • Lions Club Secretary Ln. Asma Akter

এছাড়াও স্বদেশ মৃত্তিকা থেকে উপস্থিত ছিলেন—

  • স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থা ও স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ আকবর হোসেন

  • পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাগর

  • মিডিয়া অফিসার নুপুর আক্তার

  • শিক্ষক রাশিদা আক্তার, সোহাগী আক্তার ও জাবেদ হোসেন

দুই ক্লাবের ৩০ জন লিওস সদস্য যৌথভাবে অনুষ্ঠানের প্রতিটি ধাপ সুপরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এ অনুষ্ঠানের সব খরচ লিও সদস্যরা নিজেরাই বহন করেছেন, যা তাদের লিও আন্দোলনের প্রতি দায়বদ্ধতা ও নিবেদনকে প্রকাশ করে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা আর নেই

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা আর নেই

 বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা আর নেই

 


বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা (৭৯) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ২২শে আগস্ট রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৪৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভোলা জেলার সদর উপজেলার কানাই নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতা ছিলেন আলী হোসেন মিয়া এবং মাতা আছিয়া খাতুন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এপ্রিল মাসে তিন সপ্তাহের গেরিলা ট্রেনিং শেষে তৎকালীন এমপিএ তোফায়েল আহম্মেদের নেতৃত্বে এবং ভোলার হাইকমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান গ্রুপের সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন। বাংলাবাজারের টুনিরহাট, দেউলা তালুকদার বাড়ি, বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠ, দৌলতখান ও পেয়ার আলীর বেপারী বাড়ির ক্যাম্পে রাজাকার ও পাক সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। ভোলাকে পাক হানাদার মুক্ত করতে তাঁর অবদান অনন্য।

যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁর সহযোদ্ধাদের মধ্যে ছিলেন ছিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ শাহাজাহান, মাফুজুর রহমানসহ আরও অনেকে। মুক্তিযুদ্ধকালে সংগ্রাম পরিষদের প্রধান হিসেবেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন ভোলা জেলা ইউনিটের প্রাক্তন জেলা কমান্ডার, ধনিয়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, ভোলা আইন কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক, ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির ১৯৭৪-৭৬ মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক এবং হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। এছাড়া তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত হাইকোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ভোলা সদরের মতিয়র রহমানের কন্যা হাসিনা বেগমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই পুত্র ও এক কন্যার জনক। বড় ছেলে মোহাম্মদ খায়রুল হাসান বাংলা৫২নিউজের এইচআর এডমিন এবং ছোট ছেলে মো. মেহেদী হাসান (শিমুল) হাইকোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী।

গত বছর ১৩ই সেপ্টেম্বর তাঁর সহধর্মিনী হাসিনা বেগম মৃত্যুবরণ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্টে বাদ জোহর এবং দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তাঁর বাসস্থান পল্লবীর মোল্লা জামে মসজিদে। জানাজা শেষে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল অবদান, ত্যাগ ও কর্মজীবন আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।