মঙ্গলবার
দুপুরে জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞার কাছে এ আবেদন করেন ওই ঘটনার একটি মামলার
বাদী সেলিনা।
আবেদনে
পিপি ওয়াজেদ আলী খোকনের বিরুদ্ধে ‘অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও সাত খুন
মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও তারেক সাঈদের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে
মামলার সাক্ষীদের বিভ্রান্ত করে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা এবং বাদীকে বিভিন্নভাবে
হয়রানির করে আসামিদের সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত
আবেদনে বিউটি বলেন, “আমার দায়ের করা মামলাটি
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। কিন্তু অত্যন্ত
দুঃখের বিষয় এই যে, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন
মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
“তিনি নূর হোসেন ও তারেক সাঈদ মোহাম্মদের কাছ অর্থ নিয়ে সাক্ষ্য
দেওয়ার আমাকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত এবং আসামিদের নাম প্রকাশে নিষেধ করেন “
এছাড়া
সাক্ষীদের আসামিদের রক্ষা করে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করে বলে আবেদনে অভিযোগ করেন
বিউটি।
আবেদনে
মামলার এ বাদী বলেন, “এসব কারণে আমরা উপরোক্ত মামলার বিচারের ক্ষেত্রে খুবই
উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। এই পিপি মামলা পরিচালনা করলে পরবর্তী সাক্ষীরাও সঠিকভাবে
সাক্ষ্য দিতে পারবে না। ফলে মামলা প্রমাণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।”
“তাই পিপি ওয়াজেদ আলী খোকনকে অব্যাহতি দিয়ে যোগ্য কাউকে
পিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।”
তবে
অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়াজেদ আলী খোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।। মামলার বাদী যে অভিযোগ
করেছেন তা সত্য নয়।”
এ বিষয়ে
জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, “আমার কাছে যে কেউ যে কোনো
বিষয়ে আবেদন দিতে পারে। তবে এ ঘটনায় দেওয়া আবেদনের ব্যাপারে আমার কী করার আছে সে
ব্যাপারে আইন-কানুন পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেব।”
0 coment rios: