নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, একটি সংসদের মেয়াদ ৫ বছর। আগামী ২৯ জানুয়ারি এ সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। তাই নির্বাচন না করার সুযোগ নেই, নির্বাচন করতেই হবে। কারণ নির্বাচন না করা হলে তখন সরকারে কে থাকবে। নির্বাচন না হলে শূন্যতা সৃষ্টি হবে, শূন্যতার দায়ভার নির্বাচন কমিশন নেবে না। জাতিও নিতে পারে না, সরকারও নিতে পারে না। তাই ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে এতে সন্দেহ নেই।
আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকালে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে বিএনপি যদি এসে বলে আমরা নির্বাচন করব, আমাদের প্রস্তুতি কম বা প্রস্তুতি নেই। আমাদের জন্য নির্বাচনের সিডিউল যতটুকু পেছানো সম্ভব ততটুকু পেছান, সে ক্ষেত্রে আমরা কনসিডার করব। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অলরেডি বলেছেন, আমরা মনে করি সেক্ষেত্রে কমিশন বিবেচনা করবে।’
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে এমন জোর দিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার সবই করা হবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দেখভাল করার জন্য যারা আছেন, বা নিবার্চন পরিচালনা করার জন্য যারা দায়িত্বে থাকবেন সবার চেষ্টা থাকবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য যত রকম চেষ্টা নেওয়া দরকার তার সবগুলো নিয়েছি। আমরা আশা করি, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর আরও বলেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মাঠে নামানোর
সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে অতীতের যেহেতু সকল জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহীনি ছিল,
এবারও সেনাবাহিনীর মাঠে থাকার সম্ভবানা রয়েছে।