স্বদেশসময়.২৪.কম
১৫ই জুলাই (শনিবার) ২০২৩ইং বিকাল ৪.০০টায় জাতীয় যাদুঘরের সামনে শাহবাগের মোড়ে নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠন এর কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ হতে এক সচেতনতামুলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
সারা দেশে এই প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ডেংগু ও চিকুনগুনিয়ার আক্রান্তের প্রকোপ অধিকহারে বেড়ে গেছে , বর্তমানে হাসপাতাল গুলিতে ডেংগু রুগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে আর হাসপাতাল কতৃপক্ষ সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে। ডেংগু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিকার সচেতনতা। তাই জনসচেতনতা সৃষ্টি করতেই আজ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠন এর কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন শিপলু, সঞ্চালনে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মো: জমসেদ আলী খান কিরন, অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠন এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব উম্মে সালমা।
বিশেষ বক্তা হিসেবে ছিলেন নিরাপদ চিকিৎসা চাই সামাজিক সংগঠন এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আকবর হোসেন ।
আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য শামীমা আক্তার ও সায়মা রহমান।
ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতন হোন ডেঙ্গু মশাবাহিত ভাইরাস জ্বর যা এডিস মশা দ্বারা ছড়ায়। এ বছর অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে এখন সারাদেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগীই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালের রোগী ভর্তি এখন দুরূহ ব্যাপার। বিভিন্ন তথ্যমতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখের অধিক।
সাধারন চিকিৎসাতেই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সেরে যায়, তবে হেমোজেরিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে। বর্ষার মৌসুমে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই বর্ষায় অধিক সতর্ক থাকুন। ডেঙ্গু সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে নিরাপদ চিকিৎসা চাই অতীতের মতো এবারও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিভাবে বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে- জ্বরের মাত্রা অনেক বেশি, সাথে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, চোখ ব্যথা, কোমর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা ও শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে অসহনীয় ব্যথা। - জ্বর শুরু হওয়ার ২-৫ দিন পর সারা শরীরে লাল র্যাশ দেখা যেতে পারে (তবে হাত ও পায়ের তলাতে কোন র্যাশ থাকে না)। ■ ডাক্তারের পরামর্শে রক্তের পরীক্ষা CBC, Dengue NSI Antigen, Antibody এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে করনীয়-
দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ। পূর্ণ বিশ্রাম। জ্বর/ ব্যথার জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ছাড়া ব্যথানাশক অন্য কোন ঔষধ খাওয়া যাবে না। বেশি বেশি ফলের জুস, ডাবের পানি, স্যুপ ও তরল জাতীয় খাবার খাবেন। ■ প্রাপ্ত বয়স্কদের দৈনিক ৩লিটার পানি পান করতে হবে। এর মধ্যে ১লিটার সঠিক মাত্রায় বানানো খাবার স্যালাইন খেতে হবে। জ্বর কমে যাওয়ারও ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ঝুকিপূর্ণ; এই সময় অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। দিনে দুইবার ব্লাড প্রেসার মাপতে হবে। ব্লাড প্রেসার ১০০ এর নিচে নেমে আসলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে গর্ভবর্তী, লিভার, কিডনী, উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সচেতনতা প্রয়োজন। প্রতিরোধের উপায়- স্বল্প জলাবদ্ধতার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। যাতে পানি জমতে না পারে (বিশেষ করে এসির পানি, ফ্রিজের পানি, টবের পানি, পরিত্যাক্ত টায়ারে জমা পানি)।
দিনের বেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিসহ সকলকেই মশার কামড় হতে সতর্ক থাকতে হবে প্রয়োজনে মশারি ব্যবহার করতে হবে।কার্যকর এরোসল স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। গাড়িতে মশার কামড় হতে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। - ফুলহাতা জামা পরিধান করতে হবে এবং মশার নিধন ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। ডেঙ্গু মশা আলোতে কামড়ায়; এছাড়া সকাল-সন্ধ্যার আলোতে বিশেষভাবে সতর্ক থাকবেন। আসুন সবাই মিলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনত হই।।