নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের জাতীয় নিরাপদ খাদ্যদিবস পালন।
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার বিকালে কেন্দ্রীয় ভাবে ঢাকা আগারগাঁও, কামরাংগীরচর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া ও নরসিংদী পথসভা, র্যালীর লিফলেট বিতরণ ও ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজন করে voice for Safe Food (নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ)।
এবারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে ‘নিরাপদ খাদ্য, সমৃদ্ধ জাতি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চাবিকাঠি‘ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এই আয়োজন করা হয়।
নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চ চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা কেন্দ্রীয় ভাবে এই অনুষ্টানের উদ্বোধন করেন।
মহাসচিব মোঃ আকবর হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা ও র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেত্রী বৃন্দ।
বিকাল ৪ টায় আগারগাঁও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর থেকে র্যালী শুরু হয়ে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে গিয়ে পথসভার মাধ্যমে শেষ হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন িরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এস এম হাবিবুর রহমান, জি এম রোস্তম খান, মোর্শেদ আলম, জমশেদ আলী খান, রুনাল এন্ড্রোজ, বীর মুক্তি যোদ্ধা নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড। মোঃ জাহাংগীর আলম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য অধিকার মঞ্চের অর্থসম্পাদক তানিয়া শেখ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লাবনী আহমেদ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাহবাল আহমেদ জনি,যুগ্ম প্রচার সম্পাদক সাদনাম সাব্বির,সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা, মোঃ শামীম হোসেন,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা জেলা শাখা, প্রভাত সমাজকল্যান সংস্থা ও মোঃ রইস উদ্দীন প্রভাত সমাজকল্যান সংস্থা।
উপস্থিত ছিলেন স্বদেশমৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক বৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
বক্তাগণ বলেন, সুস্বাস্থ্য ছাড়া জীবনের সকল অর্জনই বৃথা। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য যেমন প্রয়োজন, সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য। যে খাদ্য দেহের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয় পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ করে তাই স্বাস্থ্যসম্মত বা নিরাপদ খাদ্য।
নিরাপদ খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই খাদ্য উৎপাদনকারী কৃষক, কোম্পানি, ভোক্তা থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের মানুষকে সচেতন হতে হবে। খাদ্য উৎপাদন করতে কিটনাশক, স্যার বা অন্যান্য ক্যামিক্যালসহ যা ব্যবহার করছি তা অনুমোদিত কিনা, উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহণ বিপণন যথাযথ ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় হচ্ছে কিনা তার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীলের ভূমিকা রাখতে হবে।
আমরা সবাই ভোক্তা প্রতিটি ভোক্তাকে উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ আছে কিনা, কিকি উপাদান দিয়ে খাদ্যটি তৈরী ইত্যাদি বিষয় নিজ দায়িত্বে জানার মাধ্যমে নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করার চেষ্টা করতে হবে।