স্বদেশ সময় প্রতিবেদক

স্বদেশ সময় প্রতিবেদক
ভালোবাসার ছায়ায় শিক্ষার আলো
স্বপ্ন দেখে যারা বইয়ের পাতায়, কলমের আঁচড়ে, সেইসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে আজ হাসি ফুটেছে—স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, নরসিংদী শাখার আঙিনায়।
১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার, সকাল ১০টায়
স্থান: স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন, নরসিংদী
স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আন্তরিক প্রয়াসে অনুষ্ঠিত হলো এক মহতী আয়োজন—শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, একবেলা আহার ও অভিভাবক সমাবেশ।
শত শত নিষ্পাপ মুখের আনন্দে মুখর ছিলো পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
এই আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন, যিনি শুধু একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেননি—নির্বাক শিশুর স্বপ্নে রেখেছেন আশার আলো।
উপস্থিত ছিলেন সংস্থার মহাসচিব তানিয়া শেখ, ভাইস-চেয়ারমযান-জান্নাতুন নাঈম ইরা , যুগ্ম মহাসচিব মো. বাবুল হোসেন, মো. আকবর হোসেন নান্নু, পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সাগর, নরসিংদী শাখা প্রধান কান্তা শেখ এবং শিক্ষকবৃন্দ সান্তা শেখ, সানজিদা আক্তার, রুমিসহ আরও অনেকেই।
অভিভাবক সমাবেশে শিক্ষার গুরুত্ব, সন্তানদের ভবিষ্যৎ গঠন এবং সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে সংবেদনশীল আলোচনা হয়। শিক্ষকদের হাতে, অভিভাবকদের আশ্বাসে ও অতিথিদের ভালোবাসায় দিনটি হয়ে ওঠে সত্যিকারের "আলোকিত দিন"।
চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন-এর হৃদয়ছোঁয়া বক্তব্য বলেন:
“আজ যখন দেখি, ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের চোখে স্বপ্নের দীপ্তি—তখন মনে হয়, আমাদের পরিশ্রম সার্থক। এই শিশুরা একসময় পথে ঘুরে বেড়াতো, বই খাতা ছিল না, ছিল না কোনো ঠিকানা। আজ তারা স্কুলের বেঞ্চে বসে, কলম ধরে, স্বপ্ন আঁকে।স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন শুধুমাত্র একটি স্কুল নয়—এটি ভালোবাসার প্রতীক, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন।
আমি বিশ্বাস করি, একটা বই, একমুঠো খাবার আর একটু ভালোবাসা যদি দিতে পারি—তবে আমরা একটি প্রজন্ম বদলে দিতে পারবো। আমাদের এই যাত্রায় আপনারা পাশে থাকুন, তাহলেই শিশুগুলো আলোর মুখ দেখবে।”
আকবর হোসেন নান্নু- বলেন :
“এই শিশুদের চোখের দিকে তাকালেই বুঝি, তারা কী চায়—একটু মমতা, একটু সুযোগ, একটু আলোর পথ।
আমরা চেষ্টা করি তাদের সেই পথটা দেখাতে। প্রতিদিন যখন দেখি কেউ একজন নিজের নাম লিখতে শিখেছে, ছোট্ট করে একটা কবিতা বলছে, তখন বুকটা গর্বে ভরে যায়।
এই স্কুল শুধু আমাদের দায়িত্ব নয়, এটা আমাদের হৃদয়ের টান। যতদিন বাঁচি, ততদিন এসব নিষ্পাপ মুখের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাবো।
ভাইস-চেয়ারমযান-জান্নাতুন নাঈম ইরা বলেন :
আমরা চাই না তারা দয়া পাক, আমরা চাই তারা অধিকার পাক—শিক্ষার অধিকার, ভালো থাকার অধিকার।”
এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়—একটি বই, একটি খাতা, একটি কলম আর কিছু ভালোবাসা বদলে দিতে পারে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ।
🌍 জলবায়ু পরিবর্তনের আমাদের করণীয়, ✍️ মো. আকবর হোসেন
জলবায়ু পরিবর্তন আজ বৈশ্বিক সংকট। উষ্ণতা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়া, অনিয়মিত বৃষ্টি, খরা, ঘূর্ণিঝড়—এসবই এর ভয়াবহতা প্রতিনিয়ত আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আজ শুধু সচেতনতা নয়, বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণও জরুরি।
বিশ্বের ধনী ও উন্নত দেশগুলো যতটা দায়ী শিল্পায়নের জন্য, ততটাই দায় আমাদেরও নিজেদের অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার জন্য। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের নিতে হবে কিছু তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ।
করণীয়:
১️. ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা গড়ে তোলা:
প্রতিদিনকার ছোট ছোট অভ্যাস—বিদ্যুৎ অপচয় না করা, পানির অপচয় রোধ, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো ইত্যাদি—বড় পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।
২️. গাছ লাগানো ও সবুজায়ন:
প্রতিটি মানুষ বছরে অন্তত ২টি গাছ লাগালে দেশের বনায়ন বাড়বে, বায়ু থাকবে বিশুদ্ধ, জলবায়ুর ভারসাম্য কিছুটা হলেও ফিরে আসবে।
৩। নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া:
সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ—এইসব পরিবেশবান্ধব শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
৪️. প্রশাসনিক ও সামাজিক উদ্যোগ:
শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়ন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলবায়ু শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৫️. শিশু-কিশোরদের পরিবেশ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা:
পরবর্তী প্রজন্মকে এখন থেকেই পরিবেশ সচেতনতায় শিক্ষিত করলে ভবিষ্যতে এর সুফল পাওয়া যাবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের দায় শুধু বড় দেশগুলোর নয়। আমাদের প্রত্যেকের জীবনধারায় পরিবর্তন আনাই পারে এই পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য করে তুলতে। আমরা যদি এখনই না জাগি, তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছে দায়ী থাকতে হবে আমাদেরই।
“জলবায়ু নয়, বদল হোক আমাদের মনোভাব!”
আজ রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কের জেনেটিক প্লাজায় অনুষ্ঠিত হলো মাসিক পত্রিকা প্রিয়পাতা এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ Green Stem Indoor Plants Shop এর মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সমঝোতা চুক্তি।
প্রিয়পাতার সম্পাদক নাসরীন সুলতানা এবং Green Stem-এর স্বত্বাধিকারী ও পরিবেশ আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী জনাব ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed) উভয়ে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে উভয় পক্ষ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে পরস্পরকে সহযোগিতা করার এবং একটি সুন্দর, সবুজ ও নান্দনিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
Green Stem হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যারা প্রথমবারের মতো সিরামিক টবে ইনডোর প্লান্ট সরবরাহ শুরু করেছে। এই অভিনব উদ্যোগ ইতোমধ্যেই সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে। সিরামিক টবের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি গৃহসজ্জায় ইনডোর গাছ রাখার সংস্কৃতি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে প্রিয়পাতা সম্পাদক নাসরীন সুলতানা বলেন, “প্রতিটি ঘরে যেন একটি করে ইনডোর প্লান্ট থাকে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।” তিনি আরও বলেন, “প্রিয়পাতার সার্কুলেশন এবং নান্দনিক প্রকাশনা ভবিষ্যতে আরও সবার প্রিয় হয়ে উঠবে।”
এদিকে Green Stem-এর স্বত্বাধিকারী এবং প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, “বাংলাদেশে পরিবেশ উন্নয়নে আমরা নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। প্রিয়পাতা ও Green Stem মিলে এই পথে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।”
এই সমঝোতা চুক্তি নিঃসন্দেহে পরিবেশ সচেতনতা, নান্দনিকতা এবং গৃহসজ্জার আধুনিক চর্চাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সমাজ উন্নয়নে অনন্য দৃষ্টান্ত — আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন
📍 ফুলপুর, ময়মনসিংহ
"সবার আগে পরিবেশ, তার পর আমার স্বদেশ" — এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে গত ২০ বছর ধরে ফুলপুর-তারাকান্দা এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন একদল নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ও চিকিৎসক।
প্রতিমাসেই ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার পয়ারী গ্রামে আয়োজিত হয় আমজাদ আলী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন-এর বিনামূল্যে চিকিৎসা ক্যাম্প। এই ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মরহুম আমজাদ আলী মিয়া'র স্মৃতির উদ্দেশ্যে। তাঁর পরিবারের ২৭ জন চিকিৎসক নিয়মিতভাবে এই মহৎ কাজ পরিচালনা করছেন।
আজকের কর্মসূচির শুরু হয় বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে—পরিবেশ রক্ষায় এক বলিষ্ঠ বার্তা দেয় এই আয়োজন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
🔹 Professor AKM Aminul Hoque
🔹 Brigadier General Azizul Hoque
🔹 Professor Dr. Sayedul Hoque
🔹 Professor Col. Awal Bhuiyan
🔹 Professor Firoza Khatun
🔹 Amdadul Hoque
🔹 Muzammel Hoque
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটি-র মুখপাত্র ইবনুল সাঈদ রানা (Ibnul Syed Rana) এবং পয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মফিজুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার Iqbal Hossain সহ অন্যান্য স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ফাউন্ডেশনটি শুধু চিকিৎসা নয়, দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। সমাজ সেবায় আমজাদ আলী মিয়ার পরিবার সত্যিই বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
🌱 পরিবেশ রক্ষায় এবং সমাজ উন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ যেন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে—এই কামনায় দিনটির কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
বিশ্বাসই সম্পর্ক
কলমে: মো. আকবর হোসেন
সম্পর্কের জন্য চাই না ধন-সম্পদ,
নয় কোনো রাজপ্রাসাদ কিংবা বাহাদুরি পদ।
বয়স, জাত, বর্ণ—এসব তো শুধু ছায়া,
ভালোবাসা যেখানে থাকে, সেখানেই মেলে মায়া।
চাই না দামি গাড়ি, বিলাসী জীবন,
চাই শুধু একটি বিশ্বস্ত মন, একটুখানি মমতাবরণ।
সিনিয়র-জুনিয়র হিসাব করে লাভ নেই,
ভালোবাসা তো বয়স দেখে নয়—হৃদয় যেখানে ঢেউ খেলেই।
যার পকেটে টাকা না থাকলেও
হৃদয়ে থাকে অফুরন্ত ভালোবাসা,
যে কাঁধে ভর করে হাঁটতে পারি,
তুমুল ঝড়ে কিংবা নীরব আশ্বাসে।
সম্পর্কের জন্য দরকার শুধু—
একজন মানুষ, সত্যিকারের আপন,
যার চোখে ভরসা, কথায় শান্তি,
আর হৃদয়ে থাকে এক সমুদ্র ভালোবাসার ঘ্রাণ।
যার চোখে আছে ভরসার ছায়া,
যার স্পর্শে ঘুচে যায় দিনের ক্লান্তি-ব্যথা।
টাকা নেই, হোক! চলবে দু’জনে হাত ধরে,
ভালোবাসা থাকলেই জীবনটা হাসে প্রতিদিন ভোরে।
বিশ্বাস যেখানে, সম্পর্ক সেখানে টিকে,
ভালোবাসা শুধু শব্দ নয়—তা জীবনের ইতিকথা লিখে।
তাই, চাই না কিছুই অতিরিক্ত বা মিথ্যে সাজানো,
চাই শুধু একজন—যার হৃদয়টা একেবারে আমার জন্য গড়া।