সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

লিবারেল ইসলামিক জোটে’র আত্মপ্রকাশ

লিবারেল ইসলামিক জোটে’র আত্মপ্রকাশ

 

নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ৬টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে নতুন একটি ইসলামিক জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

 সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’ নামের নতুন এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। আত্মপ্রকাশের দিনেই ঐক্যবদ্ধভাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নতুন জোটের নেতারা।

নতুন এই জোটে রয়েছে- বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি), কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি) এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ ভাসানী)।

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে ৬ দলীয় এই জোটের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। এছাড়া আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান শাহ সূফী সৈয়দ আলম নূরী আল সুরেশ্বরী, বাংলাদেশ জনদলের (বিজেডি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি) চেয়ারম্যান ফারাহনাজ হক চৌধুরী, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) চেয়ারম্যান মো. হাসরত খান ভাসানী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীকে জোটের চেয়ারম্যান ও মিছবাহুর রহমান চৌধুরীকে নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র এবং বাকি দলীয় প্রধানদের কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। কো-চেয়ারম্যান ফারাহনাজ হক চৌধুরীকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে ৬টি সংগঠন নিয়ে নতুন এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এরমধ্যে সুপ্রিম পার্টি শুধু নিবন্ধিত। অন্য একটি সংগঠন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও নিবন্ধন পায়নি। আমরা নতুন জোটের ঘোষণা দিয়েছি। সামনের দিনে আমরা আরও কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিশেষ করে চাল, ডাল, আটা, তেল, পেঁয়াজ ও লবণে ভর্তুকি দিয়ে স্বল্পমূল্যে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের কমপক্ষে ৫ কোটি মানুষকে ক্রয়ের সুবিধা দেওয়া; সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হোতাদের গ্রেফতার করা; শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করতে সকল রাজনৈতিক দলকে যথাযথ সুযোগ দেওয়া; জনগণের স্বতস্ফূর্ত ভোটাধিকার নিশ্চিত করাসহ ইত্যাদি।