বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন(রায়পুরায় ) এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন(রায়পুরায় ) এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিদ্যা বাড়ি সংগঠনের আর্থিক ব্যবস্থাপনায়, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে, নরসিংদী,রায়পুরা,বালুয়াকান্দী স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন এর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ ২০২৩) বেলা নরসিংদী,রায়পুরা,বালুয়াকান্দী এলাকায় স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতন মাঠ প্রাঙ্গণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আকবর হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, সবুজ পরিবেশ আন্দোলনের জেলা সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ আবুল হোসেন (হানিফ)। স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের মহাসচিব তানিয়া শেখ এর সঞ্চালনায় উদ্বোধন করেন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও শিল্পপতি বি এম সেলিম। পৃষ্টপোষকতায় ছিলেন বিদ্যা বাড়ি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও হাজী আবেদ আলী কলেজের প্রভাষক বেলাল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, বাবুর হাট গ্রীণফিল্ড কলেজের প্রভাষক মারুফ হোসেন, আমীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কবির হোসেন, আমীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য শ্রী পরশ মনি, স্বদেশ মৃত্তিকা আদর্শ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক শান্তা শেখ, সহকারী শিক্ষক কান্তা শেখ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আ: মোমেন, বালুয়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদস্য ডা: ওবায়দুল্লাহ ও ওমর ফারুক প্রমূখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্টুডেন্ট এডুকেশনাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, স্বদেশ মৃত্তিকা মানব উন্নয়ন সংস্থার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সাগর, মো. খাইরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক, বালুয়া কান্দি অনিবার্ণ সংগঠন, কোষাধক্ষ্য ,মোঃ মমিন মিয়া, মাসুদ রানা,নাঈম হাসানসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। দৌড়, বস্তা দৌড়, কচ্ছপের গতিতে চলা, বাংলার নারী শাড়িতে মানায় , জলে ডাঙ্গায়, সতীনের ছেলে কেউ নেয়না কোলে, বল বল বাহু বল, বিস্কেট খেলা, বালিশ নিক্ষেপসহ ১৫ টি ইভেন্টে অংশ নেয় শতাধিক প্রতিযোগী। এছাড়াও নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও অভিনয় ইভেন্টে অংশ নেন অর্ধশত প্রতিযোগী। এবং আমন্ত্রিত মহিলাদের জন্য ‘বালিশ খেলা’ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল বিশেষ উপভোগ্য। খেলা দেখতে শত শত মানুষের ভীড় জমে। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। বিদ্যালয়ে আগত সকলে মিলে আনন্দের সঙ্গে সারা দিন দিন কাটান। আবার মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যা দেখে মেতে থাকে ছোট বড় সকল দর্শকেরা।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. শেখ আবুল হোসেন বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের এবং অভাবী পরিবারের জন্য একটি দুর্দান্ত উদ্যোগ। আমরা তাদের পাশে থাকবো থাকতে চাই, তা্রা যেনো লেখাপড়ার অভাবে খারাপ পথ বেছে না নেয় সে দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।"
প্রভাষক বেলাল আহমেদ এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, ‘এটা শুধু সরকারের করার বিষয় নয়। আমরা যে যেখানে আছি, সেখান থেকে তাদের সহযোগিতা করতে হবে।’ এই শিশুদের মধ্যে যত প্রতিভা আছে, সম্ভাবনা আছে, তার সবকিছুকে পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ করে দেব। সেই সুযোগ যেন তারা কাজে লাগাতে পারে, সে জন্য পাশে থাকব।’
উল্লেখ্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠদান, পোশাক, শুকনো খাবার বিতরন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন ও মহাসচিব তানিয়া শেখ বলেন, দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের আমরা লেখাপড়া করতে সহযোগিতা করছি। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাই সকল শিশুকে শিক্ষা গ্রহণ করার সহজ ব্যবস্থাগ্রহণ করত হবে। এই স্কুলের ৩ টি শাখায় প্রায় ২ শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত ও হতদরিদ্র শিশু বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।