সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১৬

আগামীকাল বিএফডিসি-তে ফরিদ আলীর জানাজা

আগামীকাল বিএফডিসি-তে ফরিদ আলীর জানাজা

স্বদেশসময় টোয়েন্টিফোর ডটকম:


বিনোদন প্রতিবেদক : আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিএফডিসি-তে আনা হবে মুক্তিযোদ্ধা ও কৌতুক অভিনেতা ফরিদ আলীর মরদেহ। এদিন দুপুরবেলা বিএফডিসিতে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর রাজধানীর বনানী কবর স্থানে তাকে সামাহিত করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। 
মঙ্গলবার সকালে চ্যানেল আই চত্বরে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। 
আজ রোববার (২২ আগস্ট) বিকাল ৪টায় রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অনেক দিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সিসিইউতে রাখা হয়েছিল। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবদুল কাদের আখন্দের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
গত ১৯ আগস্ট ফরিদ আলী ও স্ত্রী মনোয়ারা দম্পতির ৪১তম বিবাহবার্ষিকীর আয়োজন করা হয়েছিল। এদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ অনুভব করায় তাকে ওয়ারী বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ওই দিনই সেখানে ভর্তি করানো হয়। 
কয়েকমাস আগে ফরিদ আলীর চিকিৎসার জন্য পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাডেমিক শিক্ষায় তেমন অগ্রসর না হয়েও তিনি অভিনয় জগতে দেখিয়েছেন পারদর্শিতা। কৌতুক অভিনয়ে তিনি দর্শক মনে এখনো দাগ কেটে রয়েছেন। বিশেষ করে ‘টাকা দেন দুবাই যাব, বাংলাদেশে থাকব না’ এই সংলাপটির সঙ্গে যারা পরিচিত তারা এক বাক্যেই উচ্চারণ করবেন অভিনেতা ফরিদ আলীর নাম। শুধু অভিনয় নয়, নাটক লেখা ও নির্দেশনায়ও সিদ্ধ হস্ত ছিলেন এই শিল্পী।

১৯৬২ সালে শহীদুল আমীনের লেখা ‘কনে দেখা’ নাটকে একটি মাত্র নারী চরিত্রে মাধ্যমে অভিনয় যাত্রা শুরু করেন ফরিদ আলী। অসংখ্য মঞ্চ নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। প্রফেসর মুনীর চৌধুরীর লেখা ‘একতলা দোতলা’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে তিনি প্রথম টিভিতে দৃশ্যমান হন।  তার নিজের লেখা প্রথম টিভি নাটক ‘নবজন্ম’। অভিনেতা ফরিদ আলীর চলচ্চিত্রে পদার্পন ১৯৬৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘ধারাপাত’ সিনেমার মাধ্যমে। তখন থেকে একাধারে বহু সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- জীবন তৃষ্ণা, শ্লোগান, চান্দা, দাগ, অধিকার ইত্যাদি।